আমরা এ বছরের আশুরার রোজা কিভাবে রাখতে পারি? আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি যিলহজ্জ মাস কি ২৯ দিন; নাকি ৩০ দিন। এমতাবস্থায় আমরা আশুরার দিবস কিভাবে নির্দিষ্ট করব?
আমরা এ বছরের আশুরার দিবস কিভাবে জানব?
প্রশ্ন: 10263
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
যদি আমরা জানতে না পারি- যিলহজ্জ মাস কি পরিপূর্ণ ৩০ দিন নাকি একদিন কম ২৯ দিন এবং মুহররম মাসের চাঁদ কবে দেখা গিয়েছে সে ব্যাপারে যদি আমাদেরকে কেউ অবহিত না করে তাহলে আমরা মূল অবস্থার উপর আমল করব। মূল অবস্থা হচ্ছে- মাসের দিন সংখ্যা ৩০। তাই যিলহজ্জ মাসকে আমরা ৩০ দিন ধরব। এরপর আশুরার দিবস ঠিক করে নিব।
তবে কোন মুসলিম ভাই যদি আশুরার রোজা রাখার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে চান যাতে তিনি সুনিশ্চিত হতে পারেন যে, আশুরা পেয়েছেন সে ক্ষেত্রে তিনি পরপর দুইদিন রোজা রাখতে পারেন। হিসাব করে দেখবেন যিলহজ্জ মাস ২৯ দিন হলে আশুরা কবে হয় এবং যিলহজ্জ মাস ৩০ দিন হলে আশুরা কবে হয়। সে হিসাব অনুযায়ী এ দুই দিন রোজা রাখবেন। তখন তিনি সুনিশ্চিতভাবে আশুরা পেয়েছেন বলা যাবে। এ অবস্থায় তাকে হয়তো ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ রোজা রাখতে হবে। কিংবা ১০ তারিখ ও ১১ তারিখ রোজা রাখতে হবে। যেটাই করেন না কেন সেটা ভাল। আর যদি তিনি ৯ তারিখে রোজা রাখার ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে চান তাহলে তিনি সে ক্ষেত্রেও দুই দিন রোজা রাখবেন। যে হিসাবের পদ্ধতি ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হল সে হিসাব অনুযায়ী ৯ তারিখ এবং ৯ তারিখের আগেরদিন রোজা রাখবেন। সেক্ষেত্রে তার রোজা হবে হয়তবা ৯, ১০ ও ১১ তারিখ। অথবা ৮, ৯ ও ১০ তারিখ। তিনি যেটাই করেন না কেন সেক্ষেত্রে তিনি ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ রোজা রেখেছেন এটা সুনিশ্চিতভাবে বলা যাবে।
কেউ যদি বলেন, আমি চাকুরীর কারণে একদিনের বেশি রোজা রাখতে পারব না। এক্ষেত্রে আমার জন্য কোনদিন রোজা রাখা উত্তম। সে ব্যক্তিকে আমরা বলব:
আপনি যিলহজ্জ মাসকে ৩০ দিন ধরে এরপর থেকে দশম দিন হিসাব করে রোজা রাখবেন।
এই উত্তর আমি আমাদের শাইখ বিন বায এর মুখে যা শুনেছি তার সার নির্যাস; তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ জবাব দেন।
আর যদি কোন নির্ভরযোগ্য মুসলমানের সূত্রে আমাদের কাছে চাঁদ দেখার সংবাদ পৌঁছে তাহলে আমরা তার কথা গ্রহণ করব। আর গোটা মুহররম মাস রোজা রাখাও সুন্নত। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হচ্ছে- মুহররম মাসের রোজা”[সহিহ মুসলিম (১১৬৩)]
আল্লাহই ভাল জানেন।
সূত্র:
শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ