প্রশ্ন:
মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য এমন কোন শাসককে নির্বাচিত করা কি জায়েয হবে যে আল্লাহর আইন অনুযায়ী শাসন করে না? উল্লেখ্য, তাকে যদি নির্বাচিত করা না হয় তাহলে সে নানাভাবে কোণঠাসা করে রাখবে; এমন কি গ্রেফতারও করতে পারে।
যে শাসক আল্লাহর আইন অনুযায়ী শাসন করে না তাকে কি নির্বাচিত করা যাবে
প্রশ্ন: 103040
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
সমস্তপ্রশংসাআল্লাহরজন্য।
ঈমানদারেরাসুদৃঢ়ভাবেবিশ্বাস করে,আল্লাহরআইনের চেয়েউত্তম কোন আইননেই। আল্লাহরআইন বিরোধীসকল বিধানজাহেলীবিধান।আল্লাহ তাআলাবলেন: “তারাকি তবেজাহিলিয়্যাতেরবিধান চায়? আরনিশ্চিতবিশ্বাসীকওমের জন্যবিধানপ্রদানে আল্লাহরচেয়ে কে অধিকউত্তম?”[সূরা মায়েদা,০৫:৫০]আল্লাহর উপরঈমান ওরাসূলদেরপ্রতি যানাযিল করাহয়েছেসেগুলোরপ্রতি ঈমানআনার পর আল্লাহরআইন বাদ দিয়েঅন্য কোন আইনগ্রহণ করার প্রবণতাকেআল্লাহ তাআলা ‘বিস্ময়কর’ ঘোষণাকরেছেন।আল্লাহ তাআলাবলেন: “আপনি কিতাদেরকেদেখেননি, যারাদাবী করে যে, যা আপনারপ্রতি অবতীর্ণহয়েছে এবংআপনার পূর্বেযা অবতীর্ণহয়েছে আমরা সেবিষয়ের উপরঈমান এনেছি। তারাতাগূতের কাছে বিচারনিয়ে যেতে চায়অথচ তাদেরকে নির্দেশদেয়া হয়েছেতাকেঅস্বীকারকরতে। আর শয়তানচায় তাদেরকেঘোরবিভ্রান্তিতেবিভ্রান্তকরতে।”[সূরানিসা ০৪:৬০]
শানকিতি (রহঃ)বলেন: “আল্লাহতাআলা উল্লেখকরেছেন যে,যারা আল্লাহরআইন বাদ দিয়েঅন্য আইনেশাসন করেআল্লাহ তাদেরঈমানের দাবীরপ্রতি বিস্ময়প্রকাশ করেছেন।কারণ তাগুতেরকাছে বিচারফয়সালা চাওয়ারপরেও ঈমানেরদাবী- মিথ্যাছাড়া আর কিছুনয়। এমনমিথ্যাসত্যিইবিস্ময়কর।” সমাপ্ত
আল্লাহতাআলা তাঁরসত্তার শপথকরে বলছেন:কোন ব্যক্তিজীবনেরপ্রতিটিক্ষেত্রেরাসূলকে ফয়সালাকারীহিসেবে নামানা পর্যন্তঈমানদার হবেনা। রাসূল যেফয়সালাদিয়েছেনসেটাই হক্ব;প্রকাশ্যে ওগোপনে সেটাকেমেনে নিতেহবে। আল্লাহ তাআলাবলেন: “অতএবতোমার রবেরকসম, তারামুমিন হবে নাযতক্ষণ নাতাদের মধ্যেসৃষ্টবিবাদেরব্যাপারে তোমাকেবিচারকনির্ধারণ করে,তারপর তুমি যেফয়সালা দেবেসে ব্যাপারেনিজদের অন্তরেকোন দ্বিধাঅনুভব না করেএবং পূর্ণ সম্মতিতেমেনে নেয়।”। [সূরা নিসা,০৪:৬৫]
আল্লাহতাআলা বিবদমানবিষয়েফয়সালারদায়িত্বরাসূলের উপরছেড়ে দেয়াঅপরিহার্যকরে দিয়েছেন এবংএটাকে ঈমানেরশর্ত হিসেবেউল্লেখ করেছেন।সুতরাংআল্লাহর আইনছাড়া অন্য কোনআইনের শাসন গ্রহণকরা ঈমানেরপরিপন্থী।আল্লাহ তাআলাবলেন: “অতঃপরকোন বিষয়ে যদিতোমরামতবিরোধ করতাহলে তাআল্লাহ ওরাসূলের দিকেপ্রত্যার্পণকর- যদি তোমরাআল্লাহ ও শেষদিনের প্রতিঈমান রাখ। এটিকল্যাণকরএবং পরিণামেউৎকৃষ্টতর।”[সূরানিসা, ০৪:৫৯]।
ইবনে কাছির(রহঃ) বলেন: আয়াতেকারিমা “যদিতোমরা আল্লাহও শেষ দিনেরপ্রতি ঈমানরাখ”নির্দেশকরছে যে, যেব্যক্তি বিবদমানবিষয়েরফয়সালা কুরআনও সুন্নাহ হতেগ্রহণ করে নাএবং এ দুটিরকাছে ফিরে আসেনা সে আল্লাহরপ্রতি ও শেষদিনের প্রতিঈমানদার নয়।
পূর্বোক্তআলোচনারপরিপ্রেক্ষিতেবলা যায় যে, যেব্যক্তিআল্লাহরবিধানঅনুযায়ী শাসনকার্যপরিচালনা করেনা তাকেনির্বাচিতকরা হারাম।কারণ এইনির্বাচনেরমাধ্যমে এইহারামেরপ্রতিসন্তুষ্টি ওএই হারাম কাজেসহযোগিতা করাহলো।
কোনমুসলমানকেযদি ভোট দিতেযেতে বাধ্যকরা হয় তাহলেসে যেতে পারেনগিয়ে এই প্রার্থীরবিপক্ষে ভোটদিতে পারেনঅথবা সম্ভব হলেতার ভোট নষ্টকরে দিতেপারেন। যদি এরকোনটাই তারপক্ষে করাসম্ভবপর না হয়এবং এইপ্রার্থীরপক্ষে ভোট নাদিলে সেনির্যাতিতহওয়ার আশংকাকরে তাহলেআমরা আশা করছিএমতাবস্থায়তার কোন গুনাহহবে না।যেহেতুআল্লাহ তাআলাবলেছেন: “যার উপরজবরদস্তি করাহয় এবং তারঅন্তর বিশ্বাসেঅটল থাকে সে ব্যতীত” [সূরানাহল ১৬:১০৬]এবং রাসূলসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন: আমারউম্মতকে ভুল,বিস্মৃতি ওজবরদস্তিরগুনাহ হতেনিষ্কৃতি দেয়াহয়েছে।”[সুনানেইবনে মাজাহ(২০৪৫), আলবানীসহীহ ইবনে মাজাহগ্রন্থেহাদিসটিকেসহীহ বলেছেন]
আল্লাহইসবচেয়ে ভাল জানেন।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব