আল্লাহ তাআলার বাণী: “ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী— তাদের প্রত্যেককে একশত বেত্রাঘাত করবে”, এবং আল্লাহ্ তাআলার বাণী: “আর যারা সচ্চরিত্রা নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারপর তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে না আসে, তাদেরকে তোমরা আশিটি বেত্রাঘাত কর।” এবং আল্লাহ্ তাআলার বাণী: “আর পুরুষ চোর ও নারী চোর— তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও; তাদের কৃতকর্মের ফল ও আল্লাহর পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” এরা যারা এ ধরণের কবিরা গুনাতে লিপ্ত হয় এবং তাদের উপর শরয়ি শাস্তি কায়েম করার মত কেউ না থাকে এবং তারা তাওবা না করে মারা যায়; তাহলে কিয়ামতের দিন তাদের হুকুম কি হবে?
উপর্যুপরি কবিরা গুনাতে লিপ্ত ব্যক্তিরা মারা গেলে তাদের শেষ পরিণতি
প্রশ্ন: 112113
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
“আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকিদা হলো: মুসলমানদের মধ্যে কেউ যদি ব্যভিচার, অপবাদ-আরোপ, চুরি ইত্যাদির মত কবিরা গুনাতে উপর্যুপরি লিপ্ত অবস্থায় মারা যায় তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহ্র ইচ্ছার অধীন থাকবে। তিনি চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর তিনি চাইলে তাকে উপর্যুপরি লিপ্ত কবিরা গুনাহটির জন্য শাস্তি দিবেন। তবে তার শেষ পরিণতি হবে জান্নাত। যেহেতু আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “নিশ্চয় আল্লাহ্ শির্কের গুনাহ ক্ষমা করবেন না; এর চেয়ে লঘু গুনাহ তিনি যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করবেন।”[সূরা নিসা, আয়াত: ৪৮]
এবং এই মর্মে সহিহ ও মুতাওয়াতির হাদিসগুলোর কারণে; যে হাদিসগুলো প্রমাণ করে যে, গুনাহগার ঈমানদারদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। উবাদা বিন সামেত (রাঃ) এর হাদিসে এসেছে: “আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ছিলাম। তখন তিনি বললেন: তোমরা কি আমার হাতে এই মর্মে বাইআত (অঙ্গীকার) করবে না যে, তোমরা আল্লাহ্র সাথে শির্ক করবে না, ব্যভিচার করবে না, চুরি করবে না…?! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অঙ্গীকার পূর্ণ করবে সে আল্লাহ্র কাছে এর প্রতিদান পাবে। আর যে ব্যক্তি এর কোনটিতে লিপ্ত হবে এবং তাকে এর দণ্ড দেওয়া হবে তাহলে এই দণ্ড তার জন্য প্রতিকার হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি এর কোনটিতে লিপ্ত হয়েছে; কিন্তু আল্লাহ্ তার বিষয়টি গোপন রেখেছেন; তার সিদ্ধান্ত আল্লাহ্র কাছে। তিনি চাইলে তাকে শাস্তি দিতে পারেন এবং চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।”
আল্লাহই উত্তম তাওফিকদাতা, আমাদের নবী মুহাম্মদের প্রতি, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবীবর্গের প্রতি আল্লাহ্র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।[সমাপ্ত]
গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি।
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ্ বিন গাদইয়ান, শাইখ আব্দুল্লাহ্ বিন কুয়ুদ।[ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা (১/৭২৮)]
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব