প্রশ্ন: কোন কাফের যদি রমজানের দিনের বেলায় ইসলাম গ্রহণ করে তবে সে যেই দিন ইসলাম গ্রহণ করেছে সেই দিনের বাকি অংশ মুফাত্তিরাত (রোজা-ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ) থেকে বিরত থাকা কি তার উপর আবশ্যক?
কোন ব্যক্তি যেদিন ইসলাম গ্রহণ করেছে সেদিনের অবশিষ্ট সময় রোজা ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ হতে বিরত থাকা কি আবশ্যক?
প্রশ্ন: 112150
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
সমস্তপ্রশংসাআল্লাহরজন্য।
“হ্যাঁ, ঐ দিনেরবাকি অংশে মুফাত্তিরাত(রোজা-ভঙ্গকারীবিষয়সমূহ)থেকে বিরতথাকাতারজন্য আবশ্যক।কারণ তিনিএখন যাদেরউপর রোজা পালনকরা ওয়াজিবতাদেরঅন্তর্ভুক্তহয়ে গেছেন। তাইদিনের বাকীসময়মুফাত্তিরাতথেকে বিরতথাকা তারজন্য আবশ্যকহবে।এইমাসয়ালাটি রোজা পালনেপ্রতিবন্ধকতাদূরীভূত হওয়াসংক্রান্তমাসয়ালার বিপরীত।প্রতিবন্ধকতাদূর হলেওদিনের বাকী অংশে মুফাত্তিরাত(রোজা-ভঙ্গকারীবিষয়সমূহ)থেকে বিরতথাকা আবশ্যকনয়। যেমন: যদি কোননারী দিনেরবেলায় হায়েয থেকে পবিত্রহয় তবে তারজন্য ঐ দিনেরবাকি অংশ মুফাত্তিরাত(রোজা-ভঙ্গকারীবিষয়সমূহ)থেকে বিরতথাকা আবশ্যক নয়। একইভাবেযদি কোন রোজা-ভঙ্গকারীরোগী দিনেরমাঝখানে তাররোগ থেকে সুস্থহয়েযায় তবেতার জন্য দিনেরবাকি অংশে মুফাত্তিরাত(রোজা-ভঙ্গকারীবিষয়সমূহ)থেকে বিরতথাকা আবশ্যক নয়।কারণসে মুসলিমহওয়াসত্ত্বেওসেই দিনের রোজা ভঙ্গ করা তার জন্য মুবাহ (বৈধ) ছিল।পক্ষান্তরেযে ব্যক্তি দিনেরবেলায় ইসলামগ্রহণ করেছে দিনেরবাকি অংশে মুফাত্তিরাতথেকে বিরতথাকা তারজন্য আবশ্যক; কিন্তু এ রোজাটি কাযা করা তার উপরআবশ্যক নয়। বিপরীতদিকে হায়েযথেকে পবিত্রনারী ওঅসুস্থতাথেকে সুস্থহওয়াব্যক্তিরজন্য দিনেরবাকি অংশে মুফাত্তিরাতথেকে বিরতথাকা আবশ্যকনয়; কিন্তুরোজাটি কাযাকরাতাদেরউপর আবশ্যক।”সমাপ্ত
ফাদ্বিলাতুশশাইখইবনেউছাইমীনরাহিমাহুল্লাহ
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব