যে ব্যক্তি মীকাত অতিক্রম করার পর তার সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করে ইফরাদ হজ্জের তালবিয়া পড়েছেন তার হুকুম কি?
ক্বিরান হজ্জ আদায়কারীর জন্য তার নিয়তকে ইফরাদ হজ্জে পরিবর্তন করা কি জায়েয?
প্রশ্ন: 12187
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহঃ) এমন এক প্রশ্নের জবাব দেন। প্রশ্নটি হলো: যে ব্যক্তি তামাত্তু হজ্জের নিয়ত করেছেন এবং মীকাতের পর নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ইফরাদ হজ্জের তালবিয়া দিচ্ছেন তার উপরে কি হাদি ওয়াজিব?
তিনি বলেন: অবস্থাভেদে এর হুকুম ভিন্ন হবে। যদি মীকাতে পৌঁছার আগে নিয়ত করে থাকে যে, তামাত্তু হজ্জ করবে এবং মীকাতে পৌঁছার পর নিয়ত পরিবর্তন করে কেবল হজ্জের ইহরাম বাঁধে তাহলে এতে কোন অসুবিধা নাই এবং তার উপর কোন ফিদিয়া (পশু জবাই) নাই। আর যদি মীকাত থেকে কিংবা মীকাতের আগে থেকে হজ্জ ও উমরা উভয়টির জন্য তালবিয়া পড়ে ফেলেন এরপর সেটাকে শুধু হজ্জে পরিবর্তন করতে চান তাহলে তিনি সেটা করতে পারবেন না। কিন্তু সেটাকে উমরাতে পরিবর্তন করতে কোন বাধা নেই। তবে হজ্জে পরিবর্তন করা যাবে না। ক্বিরান হজ্জকে শুধু হজ্জে পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু উমরাতে পরিবর্তন করা যায়। কেননা সেটি মুমিনের জন্য অধিক সহায়ক। এবং যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীবর্গকে এই নির্দেশই দিয়েছিলেন। অতএব, মীকাত থেকে উভয়টির জন্য ইহরাম বেঁধে পরবর্তীতে যদি শুধু হজ্জ করতে চায় তাহলে সেটি করতে পারবেন না। কিন্তু তিনি এটাকে উমরাতে পরিবর্তন করতে পারেন। এবং এটা করা তার জন্য উত্তম। এক্ষেত্রে তিনি তাওয়াফ, সাঈ এবং মাথার চুল ছাটাই করবেন। এরপর হজ্জের তালবিয়া পড়বেন। এভাবে তিনি তামাত্তু হজ্জকারীতে রূপান্তরিত হবেন।[সমাপ্ত]
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
সূত্র:
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায