ডাউনলোড করুন
0 / 0

ফজরের কয়েক মিনিট পূর্ব থেকে রোযা শুরু করা বিদাত

প্রশ্ন: 12602

কোন এক দেশের লোকেরা বলেন রোযা শুরু করার সময় হচ্ছে— ফজরের প্রায় দশ মিনিট পূর্ব থেকে। এ সময় থেকে মানুষ রোযা রাখা শুরু করে এবং পানাহার থেকে বিরত থাকে। তাদের এ কর্ম কি সঠিক?

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

এ কর্ম সঠিক নয়।

কেননা আল্লাহ্‌তাআলা রোযাদারের জন্য ফজর উদিত হওয়া পরিস্ফুট হওয়া অবধি পানাহার করা বৈধ করেছেন। আল্লাহ্‌তাআলা বলেন: “আর কালো রেখা থেকে প্রভাতের সাদা রেখা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত (অর্থাৎ রাতের অন্ধকার চলে গিয়ে ভোরের আলো উদ্ভাসিত না হওয়া পর্যন্ত) তোমরা পানাহার কর।”[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ১৮৭]

ইমাম বুখারী (১৯১৯) ও ইমাম মুসলিম (১০৯২) ইবনে উমর (রাঃ) ও আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, বিলাল (রাঃ) রাত থাকতে আযান দিতেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ‘ইবনে উম্মে মাকতুম আযান দেয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর। কেননা সে ফজর না হলে আযান দেয় না’।

ইমাম নববী বলেন:

“এ হাদিসে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত পর্যন্ত পানাহার ও অন্যান্য বিষয় জায়েয হওয়ার দলিল রয়েছে।”[সমাপ্ত]

হাফেয ইবনে হাজার (রহঃ) ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে (৪/১৯৯) বলেন:

“এ যামানায় রমযান মাসে ইবাদতের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের দোহাই দিয়ে ফজরের প্রায় তেহাই ঘন্টা পূর্বে দ্বিতীয় আযান দেয়া এবং বাতি নিভানোর যে প্রথা চালু করা হয়েছে; যে বাতিগুলো রোযা রাখতে ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্য পানাহার নিষিদ্ধ হওয়ার আলামতস্বরূপ — সেটা নিকৃষ্ট বিদাত।”[সমাপ্ত]

কোন কোন ক্যালেন্ডারে রোযা শুরু করার সময় ফজর হওয়ার ২০ মিনিট পূর্বে নির্ধারণ করা সম্পর্কে শাইখ উছাইমীনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন:

এটি বিদাত। সুন্নাহতে এর কোন ভিত্তি নেই। বরং সুন্নাহ হচ্ছে এর বিপরীত। কেননা আল্লাহ্‌তাআলা তাঁর কিতাবে বলেন: আর কালো রেখা থেকে প্রভাতের সাদা রেখা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত (অর্থাৎ রাতের অন্ধকার চলে গিয়ে ভোরের আলো উদ্ভাসিত না হওয়া পর্যন্ত) তোমরা পানাহার কর[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ১৮৭] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: নিশ্চয় বিলাল রাত থাকতে আযান দেয় অতএব তোমরা ইবনে উম্মে মাকতুমের আযান শুনা পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর কেননা সে ফজর না হলে আযান দেয় না রোযা শুরু করার ক্ষেত্রে কিছু লোক আল্লাহ্‌যতটুকু ফরয করেছেন তার চেয়ে যে সময় বাড়াচ্ছেন এটি বাতিল এবং আল্লাহ্‌র ধর্মের মধ্যে বাড়াবাড়ি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: বাড়াবাড়িকারীগণ ধ্বংস হল বাড়াবাড়িকারীগণ ধ্বংস হল বাড়াবাড়িকারীগণ ধ্বংস হল[সহিহ মুসলিম (২৬৭০)]

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android
at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android