কসম ভঙ্গের কাফ্ফারার তিনটি রোযা লাগাতরভাবে রাখা কি আবশ্যক?
কসম ভঙ্গের কাফ্ফারায় পরম্পরা রক্ষা করা শর্ত নয়
السؤال: 12700
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وبعد.
কসম ভঙ্গের কাফ্ফারা হিসেবে তিনটি রোযা লাগাতরভাবে রাখা আবশ্যক নয়। যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রাখা হয় তাহলেও জায়েয হবে। যেহেতু আল্লাহ্ তাআলার বাণীতে বিষয়টি উন্মুক্তভাবে উদ্ধৃত হয়েছে: “তোমাদের অনর্থক কসমের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। কিন্তু যেসব কসম তোমরা ইচ্ছে করে কর সেগুলোর জন্য তিনি তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন। এর কাফফারা হলো দশজন মিসকীনকে মধ্যম ধরনের খাদ্য দান করা; যা তোমরা তোমাদের পরিবার-পরিজনকে খেতে দাও কিংবা দশজন মিসকীনকে বস্ত্রদান কিংবা একজন দাস মুক্তি। যার এ সবের সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন সিয়াম পালন করা…”।[সূরা মায়িদা, আয়াত: ৮৯] এখানে আল্লাহ্ তাআলা রোযাগুলোকে লাগাতরভাবে রাখার শর্ত করেননি।
ইবনে হাযম ‘আল-মুহাল্লা’ গ্রন্থে (৬/৩৪৫) বলেন: তিনদিনের রোযা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রাখতে চাইলে সেটাও জায়েয হবে। এটি মালিক ও শাফেয়ির অভিমত…। কেননা আল্লাহ্ তাআলা বিচ্ছিন্নভাবে রাখার বদলে লাগাতরভাবে রাখার কথা উল্লেখ করেননি। তাই এ রোযাগুলো যেভাবেই রাখা হোক সেটি যথেষ্ট হবে।[সমাপ্ত]
স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্রে (২২/২৩) এসেছে:
“উত্তম হলো কাফ্ফারার রোযাগুলো লাগাতরভাবে রাখা। কিন্তু যদি পরম্পরায় ছেদ ঘটে তাতেও কোন অসুবিধা নেই।”[সমাপ্ত]
দেখুন: আল-ইনসাফ (১১/৪২), আল-মুগনী (১০/১৫) ও আল-মুদাওওয়ানা (১/২৮০)।
المصدر:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব