প্রশ্ন: আমি জেদ্দাতে থাকি। গতবছর আমি ও আমার স্ত্রী ফরজ হজ্জ আদায় করেছি। হজ্জ করার আটদিন আগে আমরা উমরা আদায় করেছি। আমরা নিজেদের ঘর থেকে ইহরাম না বেঁধে আয়েশা মসজিদ থেকে ইহরাম বেঁধেছি। এটি কি ঠিক হল? আমাদেরকে কি ফিদিয়া দিতে হবে? ফিদিয়া দেয়ার পদ্ধতি কি? ফিদিয়া কার মধ্যে বণ্টন করতে হবে?
যে ব্যক্তি জেদ্দাতে থাকে হজ্জের জন্য মক্কা থেকে ইহরাম বেঁধেছে
প্রশ্ন: 127499
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
আলহামদুলিল্লাহ।
জেদ্দাবাসীযদি জেদ্দাথেকে হজ্জ বাউমরার নিয়তকরেন তাহলেতাদেরকেসেখান থেকেইইহরাম বাঁধতেহবে। কারণজেদ্দামীকাতেরভেতরের স্থান।জেদ্দাবাসীরহুকুম হচ্ছেমীকাতের ভেতরেমক্কারআশপাশেঅবস্থানকারীদেরহুকুম। তারাযেখান থেকেনিয়ত করবেসেখান থেকেতাদেরকে ইহরামবাঁধতে হবে।
এর দলিলহচ্ছে বুখারি(১৫২৬) ওমুসলিম (১১৮১)কর্তৃক ইবনেআব্বাস (রাঃ)থেকে বর্ণিতহাদিস- “রাসূলসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম মীকাতগুলোনির্ধারণ করেদিয়েছেন।মদিনার অধিবাসীদেরজন্য- যুলহুলাইফা;সিরিয়ারঅধিবাসীদেরজন্য- জুহফা;নজদ এরঅধিবাসীদের জন্য-ক্বারনুলমানাযিল;ইয়েমেনেরঅধিবাসীদেরজন্য-ইয়ালামলাম। এমীকাতগুলোতাদের জন্য যারাএ স্থানগুলোতেবসবাস করেকিংবা এস্থানগুলোযাদের পথেপড়ে; সে সবব্যক্তিদেরজন্য যারাহজ্জ ও উমরাআদায়ের নিয়তেবেরিয়েছে। আরযে ব্যক্তি এমীকাতগুলোরভেতরেঅবস্থান করেসে তার পরিবারথেকে ইহরামবাঁধবে।অনুরূপভাবেমক্কাবাসীমক্কা থেকেইহরাম বাঁধবে।
শাইখবিন বায বলেন:
উমরাআদায়কারীমক্কায় আসারপথে যে মীকাতদিয়ে পথঅতিক্রম করবেসে মীকাত থেকেইহরাম বাঁধবে;যদি সেমীকাতেরবাহিরেবসবাসকারীহয়।
আর যদিমীকাতেরভেতরেবসবাসকারী হয়;যেমন জেদ্দা,উম্মুস সালম,বাহরা,লাযিমা, শারায়েহইত্যাদিএলাকারঅধিবাসী তারাযেখান থেকেহজ্জ কিংবাউমরার নিয়তকরেছে সেখানইহরাম বাঁধবে।সমাপ্ত[ইসলামী ফতোয়া(২/৬৯০)]
শাইখউছাইমীন (রহঃ)বলেন:
যেজেদ্দাবাসীউমরা করারনিয়ত করেছেতার উপর জেদ্দাথেকে ইহরামবাঁধা ওয়াজিব;জেদ্দা যেনঅতিক্রম নাহয়। সমাপ্ত [লিকাউলবাব আল-মাফতুহ(২৪/১২১)]
পূর্বোক্তআলোচনারভিত্তিতে বলব:
আপনিআয়েশা মসজিদথেকে যে ইহরামকরেছেন সেটা যদিহজ্জের আগে যেউমরা করেছেনসে উমরার ইহরামহয়ে থাকেতাহলে আপনারাইহরাম করারনির্ধারিতস্থান তথামীকাত অতিক্রমকরে ইহরামকরেছেন।যেহেতুআপনাদের অবস্থানস্থলহচ্ছে-জেদ্দা; সেটাইআপনাদের মীকাত।
সতকর্তামূলকআপনাদেরকরণীয় হবে:প্রত্যেকেরপক্ষ থেকেএকটি ছাগলজবাই করা।মক্কাতে জবাইকরে এর গোশতমক্কারগরীবদেরমধ্যে বিতরণকরে দিতে হবে;এ গোশত নিজেরাখাওয়া যাবেনা।
ইবনেউছাইমীন বলেন:
কেউ যদিরাসূলসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামকর্তৃকনির্ধারিতমীকাত থেকেইহরাম না বাঁধেতদুপরি তারইহরাম সহিহহবে; তারহজ্জ-উমরাওসহিহ হবে। তবেআলেমগণ বলেন:মীকাত থেকে ইহরামবাঁধা হজ্জকিংবা উমরারএকটি ওয়াজিবআমল। আর কেউযদি হজ্জকিংবা উমরারকোন একটিওয়াজিব বর্জনকরে তাকেফিদিয়া দিতেহবে। এই আমলেরঘাটতি পূরণকরার জন্য তাকেফিদিয়া দিতেহবে। এইফিদিয়া (পশু)মক্কাতে জবাইকরে এর গোশতমক্কারগরীবদেরমধ্যে বণ্টনকরে দিতে; এরগোশত খাওয়াযাবে না। এরপরআলেমগণ আরওবলেন: যদি কেউসক্ষম না হয়তাহলে সেদশদিন রোজারাখবে। আর কোনকোন আলেমবলেন: তাকেকোন কিছু করতেহবে না। সঠিকমতানুযায়ী যদিফিদিয়া দিতেনা পারে তাহলেতাকে কিছুকরতে হবে না।কারণ এমন কোনসহিহ দলিল নেইযে, কেউ যদি কোনওয়াজিব বর্জনকরে ফিদিয়াদিতে অক্ষম হয়তাকে দশদিনরোজা রাখতেহবে।[লিকাউলবাব আল-মাফতুহ(১৪/১৭৫)]
আরআপনারা আয়েশামসজিদ থেকে যেইহরাম বেঁধেছেনসেটা যদি উমরাআদায় করার পরআপনাদেরহজ্জের ইহরামহয়ে থাকে এবংআপনাদের উমরারইহরাম জেদ্দাথেকে বাঁধাহয়ে থাকে তাহলেআপনাদেরকেকোন কিছু করতেহবে না। যদিওআপনাদের উপরওয়াজিব হচ্ছেমক্কাতেযেখানে অথবাঅন্য যেস্থানেআপনারাউঠেছেন সেখানথেকে ইহরামবাঁধা; আয়েশামসজিদ কিংবাহারামের বাইরেরঅন্য কোনস্থানেযাওয়ার কোনপ্রয়োজন নেই।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব