প্রশ্ন: রমজান মাসের প্রথম দিন এক বৃদ্ধা আমার সাথে দেখা করেছেন। তাঁর বয়স ১০০ বছরের মত হবে। কখনও তাঁর হুশ থাকে, আবার কখনও থাকে না। তিনি আমার কাছে কফি চাইলেন। আমি তাঁকে কফি বানিয়ে খাইয়েছি। এতে কি আমার গুনাহ হবে? অবশ্য আমি তাঁকে বলেছিলাম আমরা এখন রমজান মাসে আছি। আমাকে এর উত্তর জানিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন।
রমজান মাসের দিনের বেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে খাদ্য ও পানীয় পরিবেশন করতে দোষ নেই
প্রশ্ন: 130290
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
আলহামদুলিল্লাহ।
“যদিবাহ্যতঃ দেখাযায় যে, উনি বেহুঁশএবংবুদ্ধি-বিকলতাওবার্ধক্যেআক্রান্ততবে তাঁকেকফিবানিয়েখাওয়াতে কোনদোষ নেই। কারণ তাঁরউপর সিয়ামপালন আবশ্যক নয়। তার কিছুহুঁশ থাকা যেমন তিনিবলতে পারেন,‘তোমরা এটিকর বা এটি দাও’তারবিবেক-বুদ্ধিবহাল থাকার প্রমাণবহন করে না।অধিকাংশক্ষেত্রে যিনি ১০০বছর বয়সে পৌঁছেছেনতারবিবেকবিপর্যয়ওপরিবর্তন ঘটে। আপনিযদিতাঁরঅবস্থা দেখে বোঝেনযে,তিনিহুঁশ হারিয়েফেলেছেন এবংভারসাম্যহীনতবেতাঁর পানাহার করায়কোন দোষ নেই।আরআপনি যদিদেখেন যে,তারহুঁশ আছে এবংতিনি রোজা পালনেঅবহেলা করছেনতবেকফি বা অন্যকিছু দিবেন না- যাতে করে আপনিগুনার কাজেসাহায্যকারীনা হন।আল্লাহ তাআলাবলেন:
(وَتَعَاوَنُواعَلَىالْبِرِّوَالتَّقْوَىوَلَاتَعَاوَنُواعَلَىالْإِثْمِوَالْعُدْوَانِ) [5 المائدة : 2]
“পুণ্যকাজ ওতাক্বওয়ারব্যাপারেতোমরা পরস্পরকেসহযোগিতা কর,পাপও সীমা লঙ্ঘনেএকে অন্যকেসহযোগিতা করনা।”[৫ সূরাআল-মায়েদা: ২]
তাই কোনসুস্থ মুসলিম রমজানমাসে খাবারচাইলে তাকে তাদেওয়া যাবে না।খাবার,পানীয়,ধূমপানকিছুই করতেদেওয়া যাবে না। কোন গুনাহর কাজেসাহায্য করা যাবে না।আর যাদের হুঁশ নেইযেমন- উন্মাদ, অতিবৃদ্ধ,পাগলও অতিবৃদ্ধাএদেরক্ষেত্রে কোনগুনাহ হবে না।কারণতারারোজা পালনেরদায়িত্ব থেকেমুক্ত।”সমাপ্ত
মাননীয়শাইখ আব্দুলআযীযবিন বাযরাহিমাহুল্লাহ
সূত্র:
ফাতাওয়া সামাহাতিস শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায- ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব