ইফতার করা কি ফরজ না অন্য কিছু? যদি কোন মুসলিম মাগরিবের নামাযের সময় মসজিদে হাজির হয়, যে সময়টি ইফতারেরও সময়; এমতাবস্থায় সে কি আগে ইফতার করে নামায ধরবে; নাকি নামায পড়ে তারপর ইফতার করবে?
অনতিবিলম্বে রোজার ইফতার করা সুন্নত
প্রশ্ন: 13999
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
অনতিবিলম্বে ইফতার করা সুন্নত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস থেকে সে প্রমাণই পাওয়া যায়। সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যতদিন মানুষ অনতিবিলম্বে ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।”[সহিহ বুখারি (১৮২১) ও সহিহ মুসলিম (১৮৩৮)]
সুতরাং যা করা উচিত সেটা হচ্ছে- কয়েক লোকমা মুখে দিয়ে নামাযে যাওয়া; যাতে করে ক্ষুধা দূর হয়। নামায থেকে ফিরে এসে নিজের চাহিদামত খেয়ে নেয়া যায়।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবেই করতেন। আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।”[সুনানে তিরমিজি; রোজা/৬৩২, আলবানী সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থে (৫৬০) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
মুবারকপুরী হাদিসটির ব্যাখ্যায় বলেন: এ হাদিস থেকে অনতিবিলম্বে ইফতার করা মুস্তাহাব- এর পক্ষে জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
সূত্র:
শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ