আমি একজন মেয়ে। ফ্রান্সে থেকে আমি পড়াশুনা করছি। ছাত্রদের হাউজিং এরিয়াতে আমি একা বাসা নিয়ে থাকি। এই বাসাটি পাওয়ার জন্য একটি চুক্তি করতে হয়েছে; যাতে ফ্ল্যাটের সাথে সংশ্লিষ্ট সব বিষয় উল্লেখ করা ছিল। এর মধ্যে এটাও ছিল যে, আমি এই ফ্ল্যাটকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারব না কিংবা ভাড়া দিতে পারব না; অর্থাৎ ভাড়া ভাগাভাগি করার উদ্দেশ্যে অন্য কোন ছাত্রীকে ঢুকাতে পারব না। আমার প্রশ্ন হলো: এখানে এই শহরে আমার একজন বান্ধবী থাকে। তার সাথে তার বান্ধবীর ঝগড়া বাধায় সে তাকে বাসা ছেড়ে যেতে বলেছে। বর্তমানে তার কোন থাকার জায়গা নেই। এমতাবস্থায় তাকে আমার ফ্ল্যাটে ঢুকানোর অধিকার কি আমার রয়েছে? উল্লেখ্য, আমি এই কাজ করার মাধ্যমে যে চুক্তিতে সই করেছি সেটা ভঙ্গ করব এবং তারা জানতে পারলে আমাকে এই এরিয়া থেকে বহিস্কার করা হবে এবং হতে পারে আমাকে জরিমানাও দিতে হতে পারে এবং কখনও আমি এই এরিয়াতে আর ফিরতে পারব না। এমতাবস্থায় আমি কী করব?
যে নারী তার বান্ধবীকে নিজের সাথে রাখতে চান; কিন্তু বাসার মালিক শর্ত করেছেন যে, কাউকে সাথে রাখা যাবে না
প্রশ্ন: 147535
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
এক:
কোন মুসলিম নর বা নারীর জন্য অমুসলিম দেশে থাকা জায়েয নয়; তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে জায়েয। মুসলিম নারীর ক্ষেত্রে অমুসলিম দেশে থাকার নিষেধাজ্ঞা আরও বেশি জোরদার হয় যদি তিনি মাহরাম ছাড়া সেই দেশে সফর করেন। যেহেতু এই অবস্থানের মাধ্যমে ব্যক্তির দ্বীনদারি ও আখলাকের উপর অনেক ঝুঁকি রয়েছে।
দুই:
যদি বাসার মালিক ভাড়াটিয়ার ওপর এ শর্তারোপ করে যে, ভাড়াটিয়াকে নিজে সেখানে থাকতে হবে এবং তার সাথে কাউকে থাকতে দেয়া যাবে না; তাহলে এই শর্ত পূর্ণ করা আবশ্যকীয়।
যেহেতু চুক্তি ও অঙ্গীকারসমূহের শর্ত পূরণ করতে মুসলমানেরা বাধ্য। আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা চুক্তিগুলো পূর্ণ কর”।[সূরা মায়িদা, আয়াত: ০১]
এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “মুসলমানেরা তাদের শর্তের উপর বলবৎ”।[সুনানে আবু দাউদ (৩৫৯৪), আলবানী ‘সহিহ আবু দাউদ’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
যদি ভাড়ার চুক্তিতে কাউকে মেহমান হিসেবে রাখতে বাধা না থাকে; তাহলে আপনি তাকে কিছুদিন মেহমান হিসেবে রাখতে পারেন যাতে করে এই সময়ের মধ্যে সে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারে এবং অন্যত্র কোন বাসা খুঁজে নিতে পারে।
এ ব্যাপারে আপনি ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিতে পারেন ও তাকে জানিয়ে রাখতে পারেন; যাতে করে কোন সমস্যা এড়ানো যায়।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব