এমন অর্থ দিয়ে হজ্জ আদায় করা যে অর্থের মূল হচ্ছে- সুদি ঋণ
প্রশ্ন: 149111
প্রশ্ন: কিছুকাল আগে আমি গাড়ী কেনার জন্য একটি সুদি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি। তবে, এখন আমি আমার সে সুদি লেনদেনের জন্য অনুতপ্ত, আমি আল্লাহর কাছে তওবা করেছি এবং দোয়া করি আল্লাহ যেন আমার তওবা কবুল করেন। এখন আমি সে গাড়ীটি বিক্রি করে দিয়েছি। এ বছর আমি হজ্জে যেতে চাচ্ছি। আমার কাছে অন্য কোন অর্থ নেই। আমার জন্য সে গাড়ীর বিক্রিত মূল্য দিয়ে হজ্জ করা জায়েয হবে কি? উল্লেখ্য, আমি এখনো আমার মাসিক বেতন থেকে সুদভিত্তিক সে ঋণের কিস্তি ব্যাংককে পরিশোধ করে আসছি। আমার মাসিক বেতন আমার হাতে আসার কয়েকদিন আগেই সরাসরি সে ঋণের কিস্তি কেটে নেয়া হয়। এছাড়া আমার আর কোন অর্থের উৎস নেই। আমাকে পরামর্শ দিবেন। জাযাকুমুল্লাহু খাইরা।
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
আলহামদুলিল্লাহ।
ঋণ
দেয়া কিংবা
গ্রহণ করা উভয়
ক্ষেত্রেই
সুদি লেনদেন
করা নাজায়েয। যে
ব্যক্তি এ
গুনাতে লিপ্ত
হয়েছেন তার
উচিত এ গুনাহ
থেকে মুক্ত
হয়ে, অনুতপ্ত
হয়ে ও পুনরায়
এ গুনাতে
লিপ্ত না
হওয়ার দৃঢ় সিদ্ধান্ত
নিয়ে আল্লাহর
কাছে তওবা
করা।
সুদি ঋণ
গ্রহণ করা
জঘন্য হারাম
হওয়া
সত্ত্বেও এর
মাধ্যমে সঠিক মালিকানা
অর্জিত হয়।
তাই
সুদভিত্তিক
গৃহীত ঋণ আপনার
মালিকানাধীন
সম্পদ; এর
মাধ্যমে আপনি
ইচ্ছামত বৈধ
সব সুবিধা
গ্রহণ করতে
পারেন যেমন-
গাড়ী খরিদ করা
ইত্যাদি।
দেখুন:
আব্দুল্লাহ
বিন মুহাম্মদ
আল-উমরানি
রচিত
‘আল-মানফাআ
ফিল ক্বারদ’
(পৃষ্ঠা-
২৪৫-২৫৪)
অতএব,
আপনার কাছে যে
অর্থ আছে সেটা
দিয়ে হজ্জ আদায়
করা জায়েয
হবে। পূর্বেই
তওবা করার কথা
উল্লেখ করা
হয়েছে। ব্যাংকের
কিস্তি
পরিশোধ করা
চলমান থাকাতে
আপনার কোন
ক্ষতি হবে না।
ঋণ
থাকা
সত্ত্বেও
হজ্জ আদায় করতে
কোন অসুবিধা
নেই; যদি সে ঋণ
বিলম্বে
পরিশোধযোগ্য
হয় কিংবা
কিস্তিভিত্তিক
হয় এবং
উপযুক্ত সময়ে আপনি
সে ঋণ আদায়ের সামর্থ্য
রাখেন। দেখুন:
3974 নং ও
4241 নং
প্রশ্নোত্তর।
আমরা
আল্লাহর কাছে
আমাদের জন্য ও
আপনার জন্য তাওফিক
প্রার্থনা
করছি।
আল্লাহই
ভাল জানেন।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব