0 / 0

রোযা অবস্থায় মুখ পরিস্কারক ও সুগন্ধিকারক উপাদান ব্যবহার করার হুকুম

প্রশ্ন: 155153

আপনাদের কাছে আশা করব যে এই প্রশ্নটির জবাব দিবেন: রোযা অবস্থায় আঙ্গুলের সমপরিমাণ এক টুকরো জীবানুনাশক কটন দিয়ে জিহ্বা ও দাঁত মোছা কি জায়েয হবে? এ কটন রোযা অবস্থায় দুর্গন্ধ ও জীবানু দূর করতে ব্যবহার করা হয় এবং বিভিন্ন ফ্লেভারের পাওয়া যায়; যেমন পুদিনা পাতার ফ্লেভার…।

উত্তর

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

আপনি যে জিনিস ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন সেটি ব্যবহার করতে কোন আপত্তি নেই; এই শর্তে যদি কোন কিছু গলার ভেতরে চলে না যায়। বরং মুখের ভেতরে কিছু থেকে গেলে মানুষ তা ফেলে দিবে কিংবা গড়গড়া কুলি করে ফেলবে।

শাইখ সালেহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ্‌) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:

“ফার্মেসিগুলোতে মুখের জন্য বিশেষ পারফিউম পাওয়া যায়। সেটা এক ধরণের স্প্রে। রমযান মাসের দিনের বেলায় মুখের গন্ধ দূর করার জন্য এটি ব্যবহার করা জায়েয হবে কি?

জবাবে তিনি বলেন: রোযা অবস্থায় মুখের স্প্রের বদলে মিসওয়াক ব্যবহার করাই যথেষ্ট; যা ব্যবহার করার প্রতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদ্বুদ্ধ করেছেন। আর যদি কেউ স্প্রে ব্যবহার করে এবং কোন কিছু গলার ভেতরে চলে না যায় তাহলে কোন অসুবিধা হবে না। তবে রোযার কারণে মুখে যে গন্ধ হয় সেটাকে অপছন্দ করা উচিত নয়। যেহেতু তা ইবাদত পালনের আলামত ও আল্লাহ্‌র কাছে প্রিয়। হাদিসে এসেছে: রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ্‌র কাছে মিসকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি প্রিয়[আল-মুনতাক্বা মিন ফাতাওয়াশ শাইখ সালেহ আল-ফাওযান (৩/১২১)]

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

সূত্র

আল-মুনতাক্বা মিন ফাতাওয়াশ শাইখ সালেহ আল-ফাওযান (৩/১২১)

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android