আমি দুইজন খ্রিস্টান পিতামাতার মেয়ে। আমি খ্রিস্টান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছি। কিন্তু, আলহামদু লিল্লাহ্; কিছুদিন পূর্বে আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছি। আমার মা খ্রিস্টান হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার পিতা আমার সাথে কঠিন দুর্ব্যবহার করেন এবং তিনি আন-অফিসিয়ালভাবে আমাকে ত্যাগ করেছেন; যেহেতু আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছি। এখন আমি এক ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। খ্রিস্টান ছাত্রীদের সাথে থাকি। এখনও হিযাব পরি না; আমার কঠিন পরিস্থিতির কারণে। এটা কি হারাম? অনুরূপভাবে আমি জানতে চাই যে, যদি কোন মুসলিম যুবক আমাকে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের সুন্নত মোতাবেক বিয়ে করতে চায়; আমার জন্য কোন মুসলিম ফ্যামিলির শরণাপন্ন হওয়া জায়েয হবে কি; যাতে করে তারা আমার বিয়ের দায়িত্ব ও জীবনের দায়িত্ব নিতে পারেন?
নও মুসলিম নারী তার বিয়ের অভিভাবক সম্পর্কে জানতে চান
প্রশ্ন: 166604
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে ইসলামের হেদায়েত দেয়ায়, ঈমানের জন্য আপনার হৃদয়কে প্রশস্ত করে দেয়ায় আমরা তাঁর প্রশংসা করছি। আমরা তাঁর কাছে দোয়া করছি তিনি যেন আপনাকে অবিচল রাখেন, আপনাকে দ্বীন ও দুনিয়ার যাবতীয় তাওফিক দেন।
হিযাব প্রত্যেক মুসলিম নারীর ওপর ফরয। তাই আপনার সাধ্যানুযায়ী হিযাব পরিধানের চেষ্টা করুন; যদি সেটা ইউনিভার্সিটির বাইরেও হয় তবুও।
বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য নারীর অভিভাবক কর্তৃক বিয়ের আকদ (চুক্তি) সম্পন্ন করতে হয়। অভিভাবক হচ্ছে— নারীর বাবা, এরপর দাদা, এরপর ভাই্…এভাবে তার আসাবা (ওয়ারিশযোগ্য) শ্রেণীয় পুরুষগণ। তবে শর্ত হলো অভিভাবককে মুসলিম হতে হবে। যদি কোন নারীর মুসলিম অভিভাবক না থাকে তাহলে মুসলিম বিচারক তাকে বিয়ে দিবেন। যদি কোন মুসলিম বিচারক না থাকে তাহলে ইসলামিক সেন্টারের ইমাম বা এমন কোন ব্যক্তি তাকে বিয়ে দিবেন মুসলিম সমাজে যার কর্তৃত্ব ও মর্যাদা রয়েছে। যদি এমন কোন ব্যক্তিও না থাকেন তাহলে যে কোন মুসলিম পুরুষ লোক তাকে বিয়ে দিবেন।
আরও জানতে দেখুন: 48992 নং প্রশ্নোত্তর।
সারকথা:
আপনার বিয়ের ক্ষেত্রে যিনি আপনার অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি হচ্ছেন ইসলামিক সেন্টারের পরিচালক কিংবা মুসলিম সমাজে কর্তৃত্বশালী ব্যক্তি। যদি এমন কাউকে পাওয়া সহজ না হয় তাহলে আপনি যে পরিবারের কথা বলেছেন সে পরিবারের কিংবা অন্য কোন পরিবারের ন্যায়বান মুসলিম পুরুষ।
আর আপনি হিযাব পরার জন্য সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করুন। যদি আপনি অক্ষম হন তাহলে আল্লাহ্ তাঁর রহমত ও অনুগ্রহে আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ্ কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্বারোপ করেন না। কিন্তু যে পরিবেশ আপনার দ্বীনকে প্রকাশ্যে পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে সেই পরিবেশ পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন।
আমরা আল্লাহ্র কাছে দোয়া করছি তিনি যেন আপনাকে নেক স্বামী দান করেন এবং নেক বংশধর দান করেন।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তরসমূহ