এক ব্যক্তি একটি বাসা ক্রয় করেছেন। কিন্তু ক্রয়ের অর্থ এখনও তার হাতে থেকে গেছে। যেহেতু বিশেষ কিছু কারণে বাড়ীর মালিক (বিক্রেতা) এখনও বাসাটি ছেড়ে দেননি। কিন্তু তিনি বাসাটি ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে সংকল্পবদ্ধ। উল্লেখ্য, তারা উভয়ে এই মর্মে একমত হয়েছেন যে, বাসাটি ছেড়ে দেয়ার আগে বিক্রেতা মূল্য গ্রহণ করবে না। এমতাবস্থায় ক্রেতা তার হাতে বাসাক্রয় বাবদ যে অর্থ আছে সেটা কি যাকাতের সম্পদের মধ্যে হিসাব করবেন; নাকি করবেন না। বারাকাল্লাহু ফিকুম।
এক ব্যক্তি একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন এবং ফ্ল্যাটের মূল্য মালিককে বিলম্বে পরিশোধ করবেন; এমতাবস্থায় তার হাতে যে অর্থ রয়েছে সেটার উপর কি যাকাত আসবে?
প্রশ্ন: 169529
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
যদি কোন ব্যক্তি কোন একটি বাসা ক্রয় করেন এবং বিক্রেতার উপর এই শর্তারোপ করেন যে, বিক্রেতা বাসা ছেড়ে দেওয়ার আগে মূল্য পরিশোধ করবে না এমন শর্ত করা জায়েয; এতে কোন অসুবিধা নাই।
আর ক্রেতা বাসা কেনার জন্য যে অর্থটি তার হাতে রয়েছে সেটার উপর যাকাত ফরয হবে। কেননা উক্ত সম্পদ এখনও তার হাতে রয়েছে। এবং এ সম্পদের উপর তার মালিকানা স্থিতিশীল; সে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে এটি ব্যয় করতে পারে।
আর বিক্রেতার অধিকার সুনির্দিষ্টভাবে এ অর্থগুলোর উপর প্রতিষ্ঠিত নয়; বরং ক্রেতার জিম্মাদারির (দায়ের) সাথে সম্পৃক্ত।
আলেমগণ যাকাত ফরয হওয়ার শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখ করেছেন: নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকানা স্থিতিশীল হওয়া।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন: স্থিতিশীল হওয়া মানে: ঐ সম্পদের উপর তার মালিকানা পরিপূর্ণ হওয়া। অর্থাৎ যে সম্পদ বিলুপ্তির লক্ষ্যবস্তু নয়। যদি বিলুপ্তির লক্ষ্যব্স্তু হয় তাহলে সে সম্পদের যাকাত নাই।
আলেমগণ এর উদাহরণ দেন: মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে ভাড়া দিয়ে (বাসার ভাড়া)। ভাড়ার অর্থের মালিকানা স্থিতিশীল নয়। কারণ বাড়ীটি ধ্বংস হয়ে ভাড়ার চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়।[আল-শারহুল মুমতি (৬/১৭)]
প্রশ্নে উল্লেখিত ক্ষেত্রে ক্রেতার হাতে যে অর্থ রয়েছে সে অর্থের মালিকানা স্থিতিশীল। তাই এতে যাকাত ফরয হবে।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব