এলাকাতে এমন একটি মসজিদ আছে যেখান থেকে প্রচার করা হয় ও ঘোষণা দেয়া হয় যে, খ্রিস্টমাস উপলক্ষে অমুক চার্চে অনুষ্ঠান আছে এবং চার্চ কর্তৃক ভিজিটরদের জন্য ফ্রি থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে…। সমস্যা হল—যে ভাইয়েরা এ বিজ্ঞাপনটি প্রচার করছেন তারা জানেন যে, তারা চার্চের পক্ষে প্রচার করছেন; এরপরেও তারা বলেন: “এতে দোষের কী?!” এ কাজটি কী কুফরির পর্যায়ে পৌঁছবে না? নানা মত ও পথ থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেক মুসলিম নিশ্চিতভাবে জানেন যে, চার্চ হচ্ছে—কুফর ও শির্ক প্রচার করার স্থান। মুসলমান হিসেবে এটি আমাদের আকিদা ও মানহাজের সাথে সাংঘর্ষিক। এ সকল প্রচারকদের জন্য ‘কাফের উপাধি’ সাব্যস্ত করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে হুজ্জত প্রতিষ্ঠা করা কী আবশ্যকীয়? এটি তো ইসলাম ধর্মের অনিবার্যভাবে জ্ঞাত বিষয়; এরপরেও কী হুজ্জতের প্রয়োজন আছে?! যারা তাদের পক্ষে কথা বলছেন তাদের ব্যাপারটা কী হবে; এ কথা কি বলা যাবে যে, এদের পক্ষ নিয়ে তারাও কুফরিতে লিপ্ত হয়েছে?
কোন কোন মুসলিম কর্তৃক চার্চে অনুষ্ঠিতব্য খ্রিস্টমাস উৎসবের বিজ্ঞাপন দেয়ার হুকুম কী?
سوال: 176011
اللہ کی حمد، اور رسول اللہ اور ان کے پریوار پر سلام اور برکت ہو۔
ইতিপূর্বে 160470 নং প্রশ্নোত্তরে আমরা উল্লেখ করেছি যে, কোন খ্রিস্টানকে চার্চে পৌঁছে দেয়া জায়েয নয়। যেহেতু এর মধ্যে পাপ কাজে সহযোগিতা রয়েছে। বরং সবচেয়ে জঘন্য পাপ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা রয়েছে। কারণ সে ব্যক্তি চার্চে গিয়ে তাদের কাছ থেকে স্পষ্ট শির্ক শুনবে; যেমন—তারা দাবী করে যে, আল্লাহ্ সন্তান গ্রহণ করেছেন! উল্লেখিত কাজ ও খ্রিস্টানদেরকে তাদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে কোন চার্চের সন্ধান দেয়া—এ দুটোর বিধানের মাঝে কোন তফাৎ নেই। বরং এটি আরও জঘন্য পাপ। কেননা এতে বাতিল ধর্মীয় উৎসব উদযাপন বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা রয়েছে। এভাবে তাদের এ পদক্ষেপটি দুইটি মহাপাপের সহযোগি হয়েছে: চার্চে যাওযার পাপ এবং তাদের ধর্মীয় উৎসবে যোগদান করার পাপ। ইতিপূর্বে আমরা 69558 নং ও 50074 নং প্রশ্নোত্তরে একদল আলেমের মতামত উল্লেখ করেছি যে, খ্রিস্টানদেরকে তাদের উৎসব পালন ও উদযাপনে সহযোগিতা করা হারাম। নিঃসন্দেহে ‘খ্রিস্টমাস’ এর সময় চার্চ যে অনুষ্ঠানাদি পালন করবে সেগুলো ঐ উৎসব পালনের বিভিন্ন চিত্র.
অতএব, যারা খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসবের প্রচার করে এবং উৎসবস্থল দেখিয়ে দেয় তারা মহা আশংকার মধ্যে আছে; এবং নিঃসন্দেহে তারা মহা পাপে নিমজ্জিত।
স্থায়ী কমিটির আলেমগণ বলেন: “কোন মুসলিমের জন্য কাফেরকে তাদের উৎসব পালনে কোন ধরণের সহযোগিতা করা জায়েয নেই। এ ধরণের সহযোগিতার মধ্যে পড়বে—তাদের উৎসবের প্রচার করা, বিজ্ঞাপন দেওয়া। অনুরূপভাবে তাদের উৎসবের দাওয়াত দেয়াও জায়েয নেই; সেটা যে মাধ্যমেই হোক না কেন, মিডিয়ার মাধ্যমে হোক কিংবা…।”
শাইখ আব্দুল আযিয আলে শাইখ, শাইখ আব্দুল্লাহ আল-গুদইয়ান, শাইখ সালেহ আল-ফাওযান, শাইখ বাকর আবু যায়েদ।[ফাতাওয়াল লাজনাহ আদ-দায়িমা (২৬/৪০৯) থেকে সমাপ্ত]
খ্রিস্টানদের খ্রিস্টমাস (বড়দিন) উৎসব উদযাপন মূলতঃ এটা কি মানব নবী ঈসা আলাইহিস সালাম এর জন্মবার্ষিকী পালন? উত্তর: না; বরং এটি প্রভূ কিংবা প্রভূ-পুত্র ঈসা এর জন্য উদযাপন! তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ্ তাআলা বহু ঊর্ধ্বে। সুতরাং একজন মুসলিম কিভাবে বিশ্বাস করতে পারে যে, এটি একজন নবীর জন্মবার্ষিকী পালনে যোগদান; অথচ তিনি তাদের নিকট উপাস্য কিংবা উপাস্যের পুত্র?!
তবে তা সত্ত্বেও এ ধরণের অংশগ্রহণ কিংবা সহযোগিতা মুসলিম মিল্লাত থেকে বহিষ্কারকারী কুফর হওয়া আবশ্যক নয়; যদি এ কর্মে লিপ্ত ব্যক্তি তাদের ধর্মকে সঠিক মনে না করে। এ কারণে আমরা মনে করি না যে, তারা শুধু এ কর্মের কারণে মুসলিম মিল্লাত থেকে বহিষ্কারকারী বড় কুফরে পতিত হবেন। তাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে—আপনারা তাদের এ কর্মের প্রতিবাদ করবেন, তাদেরকে উপদেশ দিবেন; যাতে করে তারা যা করছে সেটা থেকে বিরত হয়।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
ماخذ:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
متعلقہ جوابات