প্রশ্ন: আমার নানা মারা গেছেন। তিনি এক স্ত্রী (আমার নানী), এক ছেলে (আমার মামা) ও এক মেয়ে (আমার মা) রেখে গেছেন। এর কয়েক বছর পর আমার নানী মারা গেছেন। তিনি ছেলে, মেয়ে, দুই বোন ও দুই ভাই রেখে গেছেন। এখন পর্যন্ত আমার নানার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বণ্টন করা হয়নি। নানার সম্পত্তি বলতে ৪৮,০০,০০০ ইয়েমেনী রিয়ালের একটি বাড়ী।
তার নানা তার নানী, তার মামা ও তার মাকে রেখে মারা গেছেন। এখন মীরাছ কিভাবে বণ্টন করা হবে
প্রশ্ন: 203695
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য।
আপনি মৃতব্যক্তির যে পরিচয় উল্লেখ করেছেন সে আলোকে তাঁর রেখে যাওয়া সম্পত্তি তিন জনের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
মৃতব্যক্তির স্ত্রী (আপনার নানী): তিনি পাবেন আট ভাগের এক ভাগ। যেহেতু মৃতব্যক্তির শাখা ওয়ারিস (সন্তান) আছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে তাহলে তাদের জন্য আট ভাগের এক ভাগ ।”[সূরা আন-নিসা, ৪:১২]
মৃতব্যক্তির সন্তানেরা (আপনার মামা ও মা): অবশিষ্ট সম্পত্তির সবটুকু তারা পাবে। একজন ছেলে দুইজন মেয়ের অংশের সমান। আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেন, এক ছেলের জন্য দুই মেয়ের অংশের সম পরিমাণ।” [সূরা আন-নিসা, ৪:১১]
যদি এরপর আপনার নানী মারা যান, তাহলে আপনার নানার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে আপনার নানীর যে ভাগ আছে সে ভাগ শুধু তাঁর সন্তানেরা (আপনার মামা ও মা) পাবে। আপনার নানীর ভাইবোন (দুই ভাই, দুই বোন) তাদের বোনের (আপনার নানীর) সম্পত্তির কোন ভাগ পাবে না। যেহেতু মৃত নারীর ছেলে ওয়ারিশ (আপনার মামা) আছে।
বাড়ী ভাড়ার টাকা ওয়ারিসদের মাঝে বণ্টন করা হবে। প্রত্যেক ওয়ারিসের অংশ অনুযায়ী বণ্টন করতে হবে। উদাহরণত ওয়ারিস যদি এক ছেলে ও এক মেয়ে হয় যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে- ছেলে বাড়ী ভাড়ার দুই ভাগ পাবে, মেয়ে পাবে এক ভাগ। যেহেতু ফরায়েজ অনুযায়ী পুরুষ নারীর দ্বিগুণ পেয়ে থাকে।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব