অবৈধ সন্তানের কি আকিকা করা যাবে?
অবৈধ সন্তানের কি আকিকা করা যাবে?
প্রশ্ন: 228538
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
নবজাতকের আকিকা করার প্রতি সুন্নাহ সাধারণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে; কাউকে খাস না করে।
সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “প্রত্যেক ছেলে তার আকিকার বদলে বন্ধক। সপ্তম দিনে যেটি তার পক্ষ থেকে জবাই করা হয়, তার মাথা মুণ্ডন করা হয় এবং তার নাম রাখা হয়।”[সুনানে আবু দাউদ (২৮৩৮), সুনানে তিরমিযি (১৫২২), আলবানী ‘ইরওয়াউল গালিল’ গ্রন্থে (৪/৩৮৫) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
উম্মে কারায (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন: “ছেলে বাচ্চার পক্ষ থেকে দুইটি ভেড়া এবং মেয়ে বাচ্চার পক্ষ থেকে একটি ভেড়া।”[সুনানে তিরমিযি (১৫১৬), তিরমিযি বলেন: এটি একটি সহিহ হাদিস]
জারজ সন্তান এই হাদিসগুলোর সার্বিকতার অন্তর্ভুক্ত; তাই তার পক্ষ থেকেও আকিকা দেয়া হবে।
যেহেতু জারজ সন্তানকে তার মায়ের দিকে সম্বন্ধিত করা হয়; তাই তার মা তার পক্ষ থেকে আকিকা দিবেন।
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:
মায়ের জন্য তার ব্যভিচারজাত সন্তানের আকিকা দেয়া কি জায়েয আছে? এবং এ সন্তানের কি ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকার আছে?
জবাবে তিনি বলেন: হ্যাঁ; মা তার আকিকা দিবেন। তার সন্তানের আকিকা দেয়া তার জন্য মুস্তাহাব এবং এ সন্তানের ভরণপোষণ বহন করা তার উপর ওয়াজিব; যদি তিনি সামর্থ্যবান হন। যদি সামর্থ্য না রাখেন তাহলে রাষ্ট্রীয় প্রতিপালনাগারে হস্তান্তর করবেন। আর সক্ষম হলে তাকে প্রতিপালন করবে, তার প্রতি অনুগ্রহ করবে, তার পক্ষ থেকে আকিকা দিবে। তাকে প্রতিপালন করা তার উপর আবশ্যক। এবং যা করে ফেলেছেন সেটা থেকে আল্লাহ্র কাছে তাওবা করবেন। এই সন্তানকে তার দিকেই সম্বন্ধিত করা হবে।
আর যে পুরুষ তার সাথে ব্যভিচার করেছে তার উপর আবশ্যক তাওবা করা। তবে তার উপর ভরণপোষণ দেয়া আবশ্যক নয় এবং এটি তার বাচ্চা নয়; জারজ বাচ্চা। তার উপর আবশ্যক তাওবা করা। সন্তানটি এই মহিলার এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব তার।
[মাজমুউল ফাতাওয়াস শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (২৮/১২৪) থেকে সমাপ্ত]
আল্লাহ তাআলাই সর্বজ্ঞ।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব