0 / 0
8,885১/রমজান/১৪৩৬ , 18/জুন/2015

ইফতারের সময় রোজাদারের দু’আ

Савол: 26879

আমরা রোজা রেখে ইফতারের সময় কি দু’আ করতে পারি।

Матни ҷавоб

Хурмат ба Аллоҳ ва солиҳуно ба росули Аллоҳ ва хандонаш.

ইবনে উমর (রাঃ) বলেছেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইফতার করে বলতেন: "ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ"

অর্থ- “তৃষ্ণা দূর হয়েছে; শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং প্রতিদান সাব্যস্ত হয়েছে; ইনশাআল্লাহ”।[সুনানে আবু দাউদ (২৩৫৭), দারা কুতনী (২৫), ইবনে হাজার তাঁর ‘আত-তালখিসুল হাবির’ গ্রন্থে (২/২০২) বলেন: হাদিসটির সনদ ‘হাসান’]

পক্ষান্তরে اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وعلى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ 

অর্থ- “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার রিযিক দিয়ে ইফতার করছি।” এ দু’আটি আবু দাউদ (২৩৫৮) বর্ণনা করেছেন। এটি মুরসাল হাদিস ও যয়িফ (দুর্বল)। আলবানি প্রণীত ‘যয়িফ আবু দাউদ’ গ্রন্থ (৫১০)।

যে কোন ইবাদতের পর দু’আ করার পক্ষে শরিয়তের অনেক মজবুত দলিল রয়েছে। যেমন- নামাযের পর দু’আ করা। হজ্জ আদায় করার পর দু’আ করা। ইনশাআল্লাহ, রোজাও এ বিধানের বাইরে নয়। আল্লাহ তাআলা রোজার বিধান সংক্রান্ত আয়াতের মাঝখানে দু’আর আয়াত উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন: “আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে, বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি ঈমান আনা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে।”[সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬] এ মাসে দু’আর গুরুত্ব তুলে ধরতে আল্লাহ তাআলা এ স্থানে এ আয়াতটি উল্লেখ করেছেন।

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন:

আল্লাহ তাআলা অবহিত করছেন যে, তিনি বান্দাদের নিকটবর্তী; তাকে ডাকলে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন। এটি তাদেরকে প্রতিপালন করার, তাদের চাহিদা পূরণ করার ও ডাকে সাড়া দেয়ার ব্যাপারে জ্ঞাপন। অতএব, তারা যদি তাঁকে ডাকে তাহলে তারা তাঁর রুবুবিয়্যত (প্রতিপালকত্ব) এর প্রতি ঈমান আনল। এরপর তিনি তাদেরকে দুইটি নির্দেশ দেন, তিনি বলেন: “কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি ঈমান আনা তাদের একান্ত কর্তব্য।”[সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬]

এক. তিনি তাদেরকে ইবাদত ও ইস্তিআনা (সাহায্য প্রার্থনা) এর যে নির্দেশ দিয়েছেন সেটা তামিল করা।

দুই. তাঁর রুবুবিয়্যত (প্রতিপালকত্ব) ও উলুহিয়্যত (উপাসত্ব) এর প্রতি ঈমান আনা। অর্থাৎ তিনিই তাদের রব্ব (প্রতিপালক) ও ইলাহ (উপাস্য)। এজন্য বলা হয়: আকিদা ঠিক থাকলে ও পরিপূর্ণ আনুগত্য থাকলে দু’আ কবুল হয়। যেহেতু আল্লাহ দু’আর আয়াতের পরে বলেছেন: “কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি ঈমান আনা তাদের একান্ত কর্তব্য।”

[মাজমুউল ফাতাওয়া, ১৪/৩৩]

Сарчашма

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android