ডাউনলোড করুন
0 / 0
1243117/01/2005

কোরবানীর পশু জবাই করার সময়কাল

প্রশ্ন: 36651

কোন সময়ে কোরবানীর পশু জবাই করতে হয়?

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

কোরবানীর পশু জবাই করার সময় শুরু হয় ঈদুল আযহার নামাযের পর থেকে এবং শেষ হয় ১৩ ই যিলহজ্জ সূর্যাস্তের মাধ্যমে। অর্থাৎ জবাই করার সময়কাল চারদিন: ঈদুল আযহার দিন ও ঈদের পরে আরও তিনদিন।

উত্তম হচ্ছে- ঈদের নামাযের পর দেরী না করে অবিলম্বে কোরবানী করা। যেভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেছেন। এরপর ঈদের দিন প্রথম যে খাবার খাবে সেটা হবে কোরবানীর গোশত।

মুসনাদে আহমাদে (২২৪৭৪) বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন সকালে না-খেয়ে বের হতেন না। আর ঈদুল আযহার দিন (ঈদগাহ থেকে) ফেরার আগে খেতেন না। ফিরে এসে কোরবানীর গোশত খেতেন।”

আল-যাইলায়ী তাঁর ‘নাসবুর রায়াহ’ গ্রন্থে ‘ইবনুল কাত্তান’ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।

ইবনুল কাইয়্যেম তাঁর ‘যাদুল মাআদ’ গ্রন্থে (২/৩১৯) বলেন:

আলী বিন আবু তালেব (রাঃ) বলেন: কোরবানীর দিনসমূহ হচ্ছে- ১০ ই যিলহজ্জ ও এরপর আরও তিনদিন। এটি বসরার ইমাম হাসানের মাযহাব, মক্কাবাসীর ইমাম আতা বিন আবু রাবাহ এর মাযহাব, শামবাসীর ইমাম আওযায়ির মাযহাব, হাদিসবিশারদ ফকীহদের ইমাম শাফেয়ির মাযহাব। ইবনুল মুনযিরও এ মাযহাব গ্রহণ করেছেন। কেননা পরের তিন দিন হচ্ছে- মীনার দিন, কংকর নিক্ষেপের দিন, তাশরিকের দিন যে দিনগুলোতে রোযা রাখা হারাম। এ বিধানগুলোর দিক থেকে এ দিনগুলো ভ্রাতৃতুল্য। সুতরাং কোন দলিল কিংবা ইজমা ছাড়া কোরবানীর পশু জবাই করার ক্ষেত্রে এ দিনগুলোর বিধানে গরমিল হবে কিভাবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দুইটি সনদে বর্ণিত হয়েছে যে, “মীনার সর্বত্র কোরবানীর স্থান এবং তাশরিকের দিনগুলোর সর্বাংশ কোরবানীর সময়” হাদিসটির দুই সনদের একটি অপরটিকে শক্তিশালী করে।[সমাপ্ত]; আলবানী ‘সিলসিলা সহিহা’ গ্রন্থে (২৪৭৬) হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]

শাইখ উছাইমীন ‘আহকামুল উদহিয়্যাহ’ গ্রন্থে কোরবানীর সময় সম্পর্কে বলেন: ঈদের দিন ঈদের নামাযের পর থেকে তাশরিকের সর্বশেষ দিন তথা ১৩ ই যিলহজ্জ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। সুতরাং কোরবানী করা যায় চারদিন: ঈদের দিন নামাযের পর থেকে এবং এরপর তিনদিন। সুতরাং যে ব্যক্তি ঈদের নামায শেষ হওয়ার আগে কিংবা ১৩ ই যিলহজ্জ সূর্যাস্তের পরে কোরবানী করবে তার কোরবানী সহিহ হবে না। কিন্তু, কোন ওজরের কারণে কেউ যদি তাশরিকের দিনের পরে কোরবানী করে; যেমন- কোন অবহেলা না হওয়া সত্ত্বেও কোরবানীর পশু হারিয়ে যাওয়া এবং নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পর সেটি খুঁজে পাওয়া, কিংবা যাকে কোরবানী করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সে ভুলে যাওয়ার কারণে সময় পার হয়ে যাওয়া। এমন কোন ওজর ঘটলে সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও কোরবানী করতে কোন বাধা নেই। ‘যে ব্যক্তি নামায না পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছে কিংবা নামায পড়তে ভুলে গেছে সে ব্যক্তি যখন সজাগ হয় কিংবা যখন তার মনে পড়ে তখন নামায পড়বে’ শীর্ষক মাসয়ালার উপর এ মাসয়ালাটিকে কিয়াস করা হবে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিনে কিংবা রাতে কোরবানীর পশু জবাই করা জায়েয। তবে, দিনের বেলা জবাই করা উত্তম। আর ঈদের দিন খোতবাদ্বয়ের পরে জবাই করা উত্তম এবং পরের দিনের চেয়ে পূর্বের দিনে জবাই করা উত্তম। যেহেতু এতে করে নেকীর কাজটি দ্রুত করা যায়।[সংক্ষেপিত ও সমাপ্ত]

‘ফাতাওয়াল লাজনা দায়িমা’ গ্রন্থে (১১/৪০৬) এসেছে-

“তামাত্তু ও ক্বিরান হজ্জকারীর হাদির পশু জবাই করা এবং কোরবানীর পশু জবাই করার সময় মোট চারদিন: ঈদের দিন ও ঈদের পরে আরও তিনদিন। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, চতুর্থদিনের সূর্যাস্ত যাওয়ার মাধ্যমে জবাই করার সময় শেষ হয়ে যায়।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android
at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android