আমি নার্সিং কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। আজ আমি এলার্জি টেস্ট করার পদ্ধতি শিখেছি। প্রত্যেক গ্রুপের ছাত্ররা কেবল টেস্ট করার এ পদ্ধতি শেখার জন্য একে অপরকে স্যালাইন ইনজেকশন পুশ করেছে? এর হুকুম কী? উল্লেখ্য এই ইনজেকশনটি চামড়ায় প্রদেয় Intradermal শ্রেণীর।
রমযানের দিনের বেলায় এলার্জি পরীক্ষা করার জন্য চামড়ার নীচে প্রদেয় স্যালাইন ইনজেকশন দিলে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে?
প্রশ্ন: 366883
উত্তরের সংক্ষিপ্তসার
চামড়ার নীচে স্যালাইন ইনজেকশন দিয়ে এলার্জি টেস্ট করতে কোন অসুবিধা নাই; যেহেতু এর মাধ্যমে পুষ্টি সাধিত হয় না।
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
চিকিৎসা শ্রেণীয় ইনজেকশন রোযা ভঙ্গ করে না; যদি না এটি খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত না হয়। যেমন ভিটামিন এবং রক্তে যে সব তরল প্রবেশ করানো হয়।
ফিকাহ একাডেমীর সিদ্ধান্ত ৯৩(১/১০)-এ “চিকিৎসা সংক্রান্ত রোযা ভঙ্গকারী বিষয়াবলীর ব্যাপারে এসেছে:
“নিম্নোক্ত বিষয়াবলী রোযাভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য হবে না… ত্বকে, পেশীতে কিংবা শিরাতে প্রদেয় চিকিৎসা শ্রেণীয় ইনজেকশন; তবে খাদ্যজাতীয় তরল ও ইনজেকশন ব্যতীত।”[সমাপ্ত]
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) কে পেশীতে, শিরাতে কিংবা নিতম্বে প্রদেয় ইনজেকশন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন:
“শিরাতে, পেশীতে ও নিতম্বে প্রদেয় ইনজেকশন নিতে কোন অসুবিধা নাই। যেহেতু এমন ইনজেকশনের মাধ্যমে রোযাদারের রোযা ভাঙ্গে না। কারণ এটি রোযাভঙ্গকারী নয় এবং রোযাভঙ্গকারী বিষয়াবলীর স্থলাভিষিক্তও নয়। যেহেতু এটি পানাহার নয় এবং পানাহারের স্থলাভিষিক্তও নয়। ইতিপূর্বে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি যে, এমন ইনজেকশন রোযার উপর প্রভাব ফেলবে না। বরং যে ইনজেকশন রোযাদারকে পানাহার থেকে অমুখাপেক্ষী করে দেয় এমন ইনজেকশন প্রভাব ফেলবে।”[ফাতাওয়াস সিয়াম (পৃষ্ঠা-২২০) থেকে সমাপ্ত]
পূর্বোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে চামড়ার নীচে স্যালাইন ইনজেকশন দিয়ে এলার্জির টেস্ট করতে কোন অসুবিধা নাই; যেহেতু এর মাধ্যমে পুষ্টি সাধিত হয় না।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব