0 / 0

فَلا رَفَثَ وَلا فُسُوقَ وَلا جِدَالَ فِي الْحَجِّ এই আয়াতে কারীমার তাফসীর

প্রশ্ন: 36808

প্রশ্ন: আল্লাহ তাআলার বাণী:

الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلا رَفَثَ وَلا فُسُوقَ وَلا جِدَالَ فِي الْحَجِّ

(অর্থ- হজ্বের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস আছে। যে ব্যক্তি সেসব মাসে নিজের উপর হজ্ব অবধারিত করে নেয় সে হজ্বের সময় কোন যৌনাচার করবে না, কোন গুনাহ করবে না এবং ঝগড়া করবে না)[সূরা বাকারা (২): ১৯৭] এ আয়াতের অর্থ কী?

উত্তর

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

সমস্তপ্রশংসাআল্লাহরজন্য।এইআয়াতেকারীমারমধ্যে আল্লাহতাআলা হজ্জেরকিছুবিধিবিধান ওআদব-আখলাকউল্লেখকরেছেন। আল্লাহতাআলা বলেন:

الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ (অর্থ-হজ্বেরনির্দিষ্টকয়েকটিমাসআছে।) এমাসগুলোহচ্ছে-শাওয়াল,জিলক্বদ ও জিলহজ্বেরদশদিন। কোনকোন আলেমেরমতে, গোটা জিলহজ্বমাস।

আল্লাহতাআলারবাণী:فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ (অর্থ-যেব্যক্তিসেসবমাসেনিজেরউপরহজ্বঅবধারিতকরেনেয়)।অর্থাৎ ইহরামবাঁধার মাধ্যমে।কারণ ইহরামবাঁধলে হজ্জসম্পন্ন করাঅবধারিত হয়েযায়। যেহেতুআল্লাহ তাআলাবলেছেন:

وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَلِلَّهِ

(অর্থ-তোমরাআল্লাহর জন্যহজ্জ ও উমরাসম্পন্ন কর)[সূরাবাকারা (২): ১৯৬]

আল্লাহতাআলার বাণী: ( فَلا رَفَثَ وَلا فُسُوقَوَلا جِدَالَ فِي الْحَجِّ )(অর্থ- সেহজ্বেরসময়কোনোযৌনাচার করবেনা, কোনোগুনাহকরবেনাএবংঝগড়াকরবেনা) অর্থাৎকোন ব্যক্তিরইহরাম বাঁধারপর তার কর্তব্যহবে এ ইহরামেরমর্যাদারক্ষা করা।ইহরামবিনষ্টকারীযৌনাচার, গুনারকাজ ও ঝগড়াঝাঁটি থেকেনিজেকেহেফাযত করা।

الرفث (যৌনাচার) বলা হয়সহবাসকে এবংসহবাসপূর্ব কথা ওকাজকে। যেমন-চুম্বন, কামোদ্দীপক ও যৌনআলাপচারিতাইত্যাদি। আবার অশ্লীলও খারাপকথাকেও الرفثবলা হয়।

আর الفسوق (পাপ) বলা হয়সবধরনেরগুনার কাজকে।যেমন- পিতামাতারঅবাধ্যতা,আত্মীয়তারসম্পর্ক ছিন্ন করা, সুদখাওয়া, এতিমেরসম্পদভক্ষণ করা,গীবত করা,চোগলখোরিকরা ইত্যাদি। আবার ইহরামঅবস্থায়নিষিদ্ধকাজগুলোওফুসুক বা পাপেরঅন্তর্ভুক্ত হবে।আরএর الجدالঅর্থ হচ্ছে-ঝগড়া-বিবাদ,অন্যায়বিতর্ক। হজ্জবা উমরারইহরামঅবস্থায় কারোজন্যঅন্যায়ভাবেবিবাদ করাজায়েয নেই। তবেসত্যকেপ্রকাশ করারজন্য উত্তমপন্থায় বিতর্ককরা আল্লাহরআদেশের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহবলেন: “ডাকতোমারপ্রতিপালকেরদিকে হিকমত ওওয়াজের মাধ্যমেএবং তাদেরসাথে বিতর্ককর উত্তম পন্থায়।”[সূরা নাহল,আয়াত: ১২৫]এইবিষয়গুলো(অর্থাৎঅশ্লীল কথা,গুনার কাজ, অন্যায়ঝগড়া)যদিওসর্বাবস্থায়নিষিদ্ধকিন্তু হজ্জেরমধ্যে এগুলোরনিষিদ্ধতাআরওজোরদার হয়।কেননা হজ্জেরউদ্দেশ্যহচ্ছে- আল্লাহরপ্রতি দীনতা,হীনতা প্রকাশকরা। তাঁর আনুগত্যেরমাধ্যমেনৈকট্য হাছিলকরা, পাপ থেকেপবিত্র থাকা।এভাবে আদায়করলে হজ্জটিমাবরুর হজ্জহবে।আর মাবরুরহজ্জেরপ্রতিদানজান্নাত ছাড়াআর কিছু নয়।আমরাপ্রার্থনাকরছি আল্লাহআমাদেরকেতাঁর যিকির,শুকর ও উত্তমইবাদত করারসামর্থ্য দিন।

আল্লাহইভাল জানেন।

দেখুন:ফাতহুল বারী(৩/৩৮২),তাফসীরে সাদী(পৃষ্ঠা-১২৫),বিন বাযেরফতোয়াসমগ্র(১৭/১৪৪)।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android