রোযাদারকে ইফতার করানোর সওয়াব বড়; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবেন তিনি রোযাদারের সমান সওয়াব পাবেন; তবে রোযাদারের সওয়াব থেকে একটুও কমানো হবে না।”[সুনানে তিরমিযি (৭০৮) আলবানী ‘সহিহুত তারগীব ওয়াত তারহীব’ (১০৭৮)-এ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
এ সওয়াব যে কোন রোযাদারকে ইতফার করালেই অর্জিত হবে; সে রোযাদার দরিদ্র হওয়া শর্ত নয়। কেননা এটি দান-শ্রেণীয় নয়; বরং উপহার-শ্রেণীয়। উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে উপহারগ্রহীতা দরিদ্র হওয়া শর্ত নয়। বরং ধনী গরীব সবাইকে উপহার দেয়া যেতে পারে।
তবে যে দাওয়াতগুলোর উদ্দেশ্য— গৌরব ও অহংকারের প্রতিযোগিতা করা; এমন দাওয়াত নিন্দনীয়। এমন ব্যক্তি দাওয়াত খাওয়ানোর জন্য কোন সওয়াব পাবে না। এর মাধ্যমে সে ব্যক্তি নিজেকে প্রভুত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত করে।
এ ধরণের উদ্দেশ্য থেকে কাউকে দাওয়াত দেয়া হলে তার উচিত এমন দাওয়াতে না যাওয়া এবং এতে অংশগ্রহণ না করা। বরং নিজের একটা ওজর পেশ করা। পরবর্তীতে যদি এ ব্যক্তিকে গ্রহণযোগ্য সুন্দর পদ্ধতিতে উপদেশ দিতে সক্ষম হন তাহলে সেটা করা ভাল। তবে সরাসরি না বলে ইঙ্গিতে বলবেন। কোমল ভাষা ব্যবহার করবেন। নির্দিষ্টভাবে কাউকে উদ্দেশ্য না করে আমভাবে বলবেন।
কোমল ভাষা, সুন্দর শৈলীর ব্যবহার এবং রূক্ষ ও কর্কশ শব্দগুলো পরিহার করা উপদেশ গ্রহণীয় হওয়ার কারণ। একজন মুসলিম তার মুসলিম ভাই সত্যকে গ্রহণ করুক ও এর উপর আমল করুক এ ব্যাপারে আগ্রহী থাকবেন।
যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করতেন। তার সাহাবীদের মধ্যে কেউ এমন কোন কাজ করে ফেলত যা তিনি অপছন্দ করতেন। কিন্তু তিনি তাদেরকে সরাসরি সমালোচনা করতেন না। বরং তিনি বলতেন: কিছু কিছু লোকের কী হল তারা এমন এমন কাজ করে?
এ পদ্ধতির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত কল্যাণ সাধিত হয়।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।