বিমানের আরোহী কখন ইফতার করবেন?
বিমানের আরোহী কখন ইফতার করবেন?
প্রশ্ন: 37670
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
যদি ভূমিতে থাকাবস্থায় সূর্য ডুবে যায় এবং ইফতার করে নেয়, এরপর বিমান ছাড়ে এবং সূর্য দেখতে পায়, তাহলে তার উপর উপবাস থাকা বর্তাবে না। যেহেতু সে তার রোযাটি পূর্নাঙ্গ দিনে পূর্ণ করেছে। কারণ কোন ইবাদত পূর্ণ করার পর সেটি পুনরায় পালনের কোন পথ নেই। আর যদি সূর্য ডোবার পূর্বে বিমান ছাড়ে এবং তিনি সফরের মধ্যে সেই দিনের রোযাটি পূর্ণ করতে চান তাহলে তার বিমান আকাশের যে স্থান দিয়ে যাচ্ছে সে স্থানে সূর্য ডোবার আগে ইফতার করতে পারবেন না। বৈমানিকের জন্য ইফতার করার জন্য এমন স্তরে নীচে নামা জায়েয নেই; যে স্তর থেকে সূর্য দেখা যায় না। যেহেতু এটি ছলচাতুরি। কিন্তু যদি উড্ডয়নের স্বার্থে নামেন, ফলে সূর্যের গোলকটি লুকিয়ে যায় তাহলে ইফতার করতে পারবেন।[শাইখ বিন বাযের মৌখিক ফতোয়া, দেখুন: ‘রোযার সত্তরটি মাসয়ালা’ শীর্ষক পুস্তিকা]
স্থায়ী কমিটি বলেন:
যদি বিমানের আরোহী ঘড়ি ও টেলিফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, নিকটবর্তী স্থানে ইফতারের সময় হয়ে গেছে; কিন্তু বিমান উপরে থাকার কারণে সে সূর্য দেখতে পায়; তাহলে সে ইফতার করতে পারবে না। যেহেতু আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “তোমরা রাত পর্যন্ত রোযা পূর্ণ কর”। যেহেতু সে সূর্য দেখতে পাচ্ছে তাই তার ক্ষেত্রে সময়ের লক্ষ্যস্থলে পৌঁছা বাস্তবায়িত হয়নি।
আর যদি সেই ব্যক্তি ভূমিতে থাকাকালে ইফতার করে, এরপর বিমান ছাড়ে, এরপর সে সূর্য দেখতে পায়; তাহলে সে বে-রোযদার অবস্থার উপর অব্যাহত থাকবে। যেহেতু তার হুকুম সংশ্লিষ্ট স্থানের হুকুম, যেখান থেকে সে প্রস্থান করেছে এবং সে সেখানে থাকা অবস্থায় সেখানের দিন শেষ হয়েছে।
স্থায়ী কমিটি অন্য এক ফতোয়া বলেন:
যদি কোন ব্যক্তি রোযা অবস্থায় বিমানে থাকেন এবং রাত পর্যন্ত তার রোযাটি পূর্ণ করতে চান; তার জন্য সূর্য ডোবার পূর্বে ইফতার করা জায়েয হবে না।[সমাপ্ত]
[মাজমুউ ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা (১০/১৩৬-১৩৭)]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব