প্রশ্ন :
রমজানের আগে আমার স্ত্রী বিগত রমজান মাসের কিছু কাযা রোযা পালন করছিলেন। এমতাবস্থায় আমি তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হয়েছি। সে সবগুলো রোযা কাযা করতে পারেনি।
বিঃ দ্রঃ সে পূর্বেই আমার কাছে রোযা পালনের অনুমতি চেয়েছিল এবং আমি তাকে অনুমতি দিয়েছিলাম।
স্ত্রী রমজানের কাযা রোযা পালনকালীন সময়ে স্বামী তার সাথে সহবাস করেছে; এখন তাদের উভয়ের করণীয় কি?
প্রশ্ন: 50632
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
সমস্তপ্রশংসাআল্লাহর জন্য।
এক:
যিনি কোন ওয়াজিবরোযা শুরু করেন(যেমন: রমজানেরকাযা রোযা বা কসমভঙ্গেরকাফফারাস্বরূপরোযা) তারজন্য কোন ওজর (শরিয়তঅনুমোদিতঅজুহাত) ছাড়া রোযাভঙ্গ করা জায়েযনয়। ওজরেরউদাহরণ হচ্ছে-রোগ বা সফর।
যদিতিনি কোনো ওজরবশতঅথবা ওজর ছাড়ারোযা ভঙ্গ করেথাকেন তবে সেরোযাটি পালন করাতার দায়িত্বেবাকি থেকেযাবে এবং যেদিনের রোযাবিনষ্টকরেছিলেনসেই দিনেরপরিবর্তেঅন্য একদিনতাকে রোযাপালন করে নিতেহবে।
যদিতিনি কোন ওজরছাড়া রোযাটি ভঙ্গকরে থাকেন তবেএ রোযাটিপুনরায় পালনকরার সাথে তাকেএই হারাম কাজথেকে তওবাকরতে হবে।
আপনারস্ত্রীর উপরকোন কাফফারানেই।কারণকাফফারা শুধু রমজানমাসে দিনেরবেলা সহবাসেরকারণে ওয়াজিবহয়। এরবিস্তারিতবিবরণ ইতিপূর্বে(49985)নং প্রশ্নেরউত্তরে উল্লেখকরা হয়েছে।
দুই:
আপনি আপনারস্ত্রীররোযা বিনষ্টকরে খুবইখারাপ কাজকরেছেন।কারণ কোনস্ত্রী যখনতার স্বামীরঅনুমতি নিয়ে রমজানেরকাযা রোযাপালন করে তখন স্বামীরতার রোযাবিনষ্ট করারকোন অধিকারনেই।তাইআপনাদের দু’জনেরউচিত আল্লাহরকাছে তওবাকরা। এ কাজেরজন্য অনুতপ্তহওয়া। একাজ পুনরায় নাকরারব্যাপারে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধহওয়া।আর যদিআপনি আপনার স্ত্রীকেজোরপূর্বকবাধ্য করেথাকেন তবে তারকোনো গুনাহহবে না। আল্লাহইসবচেয়ে ভালোজানেন।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তরসমূহ