যিনি এমন কোন প্রত্যয়নপত্র লিখেন যা দিয়ে সুদী ঋণ পাওয়া যায়
প্রশ্ন: 59864
প্রশ্ন: জনৈক ব্যক্তি সরকারের অর্থ বিভাগে চাকুরী করেন। তাঁর দায়িত্ব হচ্ছে- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য আর্থিক প্রক্রিয়াগুলো সম্পাদন করা। এর মধ্যে রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে স্ব স্ব বেতন সম্পর্কে একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা। তাদের কেউ কেউ এই প্রত্যয়নপত্রটি সুদী ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে ব্যবহার করে থাকেন। এমতাবস্থায়, প্রত্যয়নপত্র ইস্যুকারী ব্যক্তি গুনাহগার হবেন কি না? উল্লেখ্য, এটা তার অফিসিয়াল দায়িত্ব।
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
সমস্ত
প্রশংসা
আল্লাহর
জন্য।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
‘বেতন-প্রত্যয়নপত্র’ইস্যু
করতে দোষের
কিছু নেই। তবে
সে
প্রত্যয়নপত্রটি
যদি ঋণ পাওয়ার
জন্য কোন সুদী
ব্যাংককে
সম্বোধন করে
লেখা হয় তাহলে
এ ধরনের
প্রত্যয়নপত্র
প্রদান করা
জায়েয নেই।
যেহেতু এটি
আল্লাহর
অবাধ্যতার
ক্ষেত্রে
সহযোগিতা করা;
বরং একটি কবিরা
গুনাহর
কাজে
সহযোগিতা করা।
ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী
কমিটির
সদস্যগণকে
এমন একজন
কর্মকর্তা
সম্পর্কে
প্রশ্ন করা
হয়েছিল যিনি
কোন একটি
ইউনিভার্সিটির
টাইট রাইটার
হিসেবে কর্মরত
আছেন বিধায় উক্ত
ইউনিভার্সিটির
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
সুদী ব্যাংকে
ঋণ প্রাপ্তির
নিমিত্তে
প্রদত্ত
প্রত্যয়নপত্রগুলো
টাইপ করেন
থাকেন। তাঁর এ
কাজটি কি
জায়েয?
জবাবে
তাঁরা বলেন:
এই
প্রত্যয়নপত্র
টাইপ করা ও
প্রদান করা
জায়েয নয়। যদি
প্রত্যয়নপত্র
ইস্যুকারী ও
টাইপকারী
জানেন যে, যার
জন্য এ পত্রটি
ইস্যু করা
হচ্ছে তিনি
সুদী
লেনদেনের
ক্ষেত্রে এই
প্রত্যয়নপত্রটি
ব্যবহার
করবেন। যেহেতু
এ বিষয়ে নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লামের
উদ্ধৃত
হাদিসটির
বিধান সাধারণ।তিনি সুদ
গ্রহীতা,
সুদদাতা,
সুদের লেখক ও
সাক্ষীদ্বয়কে
লানত করেছেন।
তিনি বলেছেন,
তাদের সকলের
পাপ সমান।
[সহিহ মুসলিম]
এবং যেহেতু এ
বিষয়ে আল্লাহ
তাআলার বাণীর
বিধানও
সাধারণ “সৎকর্ম
ও খোদাভীতিতে
একে অন্যের সাহায্য
কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের
ব্যাপারে একে অন্যের
সহায়তা করো না।
আল্লাহকে ভয় কর।
নিশ্চয় আল্লাহ
তা’আলা কঠোর
শাস্তিদাতা।”[সূরা
মায়েদা, আয়াত:
০২]
আল্লাহই
ভাল জানেন।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব