0 / 0
6,343২৫/জ্বিলকদ/১৪৩৭ , 28/আগস্ট/2016

যিলহজ্জ মাসের আটদিন রোযা রাখা হজ্জপালনকারী ও সাধারণ মুসলমান সকলের জন্য মুস্তাহাব

Question: 84271

প্রশ্ন: হজ্জপালনকারীর জন্য যিলহজ্জ মাসের প্রথম আটদিন রোযা রাখার হুকুম কি? উল্লেখ্য, আমি জানি যে, আরাফার দিন রোযা রাখা মাকরুহ।

Answer

Praise be to Allah, and peace and blessings be upon the Messenger of Allah and his family.

যিলহজ্জ মাসের প্রথম আটদিন রোযা রাখা হজ্জপালনকারী ও হজ্জপালনকারী নয় সকলের জন্য মুস্তাহাব। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “অন্য যে কোন সময়ের নেক আমলের চেয়ে এ দশদিনের নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। তারা (সাহাবীরা) বলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয়!! তিনি বলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয়; তবে কোন লোক যদি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে এবং কোন কিছু নিয়ে ফেরত না আসে সেটা ভিন্ন কথা।”[সহিহ বুখারী (৯৬৯) ও সুনানে তিরমিযি (৭৫৭) তে ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত হাদিস হিসেবে সংকলিত। হাদিসের এ ভাষাটি তিরমিযির]

‘আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা’ গ্রন্থে (২৮/৯১) এসেছে- আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, আরাফার দিনের পূর্বে যিলহজ্জ মাসের প্রথম আটদিন রোযা রাখা মুস্তাহাব…। মালেকি ও শাফেয়ি মাযহাবের আলেমগণ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন: হজ্জপালনকারীর জন্যেও এ দিনগুলোতে রোযা থাকা সুন্নত।[সমাপ্ত]

‘নিহায়াতুল মুহতাজ’ গ্রন্থে (৩/২০৭) বলেন: আরাফার দিনের পূর্বে আটদিন রোযা রাখা সুন্নত। ‘আর-রাওযা’ গ্রন্থে পরিস্কার করে দেয়া হয়েছে যে, এক্ষেত্রে হজ্জপালনকারী ও অন্যেরা সমান। পক্ষান্তরে, হজ্জপালনকারী সবল হলেও আরাফার দিন রোযা রাখা তার জন্য সুন্নত নয়; বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণে এবং দুআ করার জন্য যেন শক্তিশালী থাকার নিমিত্তে রোযা না-রাখা মুস্তাহাব।[কিছুটা পরিমার্জিত ও সমাপ্ত]

আল্লাহই ভাল জানেন

Source

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android