আমি কোন এক বইতে পড়েছি যে, অর্ধ শাবানের রাতে রোযা রাখা বিদাত। অন্য এক রেফারেন্সে পড়েছি যে, যে দিনগুলোতে রোযা রাখা মুস্তাহাব এর মধ্যে রয়েছে অর্ধ শাবানের রাত্রি।এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত হুকুম কি?
অর্ধ শাবানের রাতের জন্য কোন ইবাদতকে খাস করা যাবে না
প্রশ্ন: 8907
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
অর্ধ শাবানের রাতের ফযিলতের ব্যাপারে কোন সহিহ মারফু হাদিস সাব্যস্ত হয়নি; যে হাদিসের উপর ফযিলতের ক্ষেত্রে আমল করা যেতে পারে। বরং তাবেয়ীদের থেকে কিছু আছার (উক্তি) সাব্যস্ত হয়েছে। এবং কিছু হাদিস উদ্ধৃত হয়েছে; যে হাদিসগুলো মাওযু (বানোয়াট) কিংবা খুবই দুর্বল। ঐ রেওয়ায়েতগুলো অনেক দেশে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যে দেশগুলোতে অজ্ঞতার সয়লাব বেশি। সে রেওয়ায়েতগুলোতে রয়েছে যে, এ রাত্রিতে মানুষের মৃত্যুর সময়ক্ষণ ও আয়ুষ্কাল লিপিবদ্ধ করা হয়…।
উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে এ রাতটি ইবাদতে কাটানো, এ দিনে রোযা রাখা কিংবা এ রাতে বিশেষ ইবাদত পালন করা শরিয়তসম্মত নয়। না জেনে অনেক মানুষ করে বিধায় সেটা ধর্তব্য হবে না। আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
শাইখ বিন জিবরীন।
যদি কেউ বছরের অন্য রাতের মত এ রাতেও কিয়ামুল লাইল আদায় করতে চায়, অতিরিক্ত কোন আমল বা শ্রম ব্যতিরেকে, কিংবা বিশেষ কোন ইবাদত খাস না করে তাহলে তাতে কোন অসুবিধা নেই। অনুরূপভাবে কেউ যদি ১৫ই শাবান রোযা রাখতে চায় এই হিসেবে যে, এটা বীযের দিন এবং ১৪ ও ১৩ তারিখেও রোযা রাখে তাতে কোন অসুবিধা নেই। কিংবা এই হিসেবে রোযা রাখে যে, ১৫ তারিখ সোমবারে পড়েছে বা বৃহস্পতিবারে পড়েছে তাতেও কোন অসুবিধা নেই; যদি এমন কোন ফযিলতের বিশ্বাস না করে যে ফযিলত সাব্যস্ত নয়।আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
সূত্র:
শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তরসমূহ