ডাউনলোড করুন
0 / 0
96601/03/2007

শিক্ষাকোর্সের অংশ হিসেবে একমাস তাদেরকে সুদি ব্যাংকে ইন্টার্নি করতে হয়

প্রশ্ন: 90131

আমি কমার্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমাদেরকে কোন এক কোম্পানি বা ব্যাংকে এক মাসের ট্রেনিং করতে হয়। আমি সবসময় ইসলামী ব্যাংকে কাজ করার চিন্তা করি। কিন্তু আমাদের এখানে কোন ইসলামী ব্যাংক নাই। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সুদি ব্যাংকগুলোতে ট্রেনিং করার হুকুম সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে জিজ্ঞেস করছি। যদি ট্রেনিং শেষে কোন সম্মানী দেয়া হয় সেটার হুকুম কি?

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

এক:

আমরা আল্লাহ্‌ তাআলার প্রশংসা করছি, যিনি আপনাকে সত্য জানার প্রজ্ঞা দান করেছেন। আপনি সুদ হারাম হওয়া ও সুদি অঙ্গনে চাকুরী করা হারাম হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আমরা আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করছি তিনি যেন আপনার ইলম ও হেদায়েত বৃদ্ধি করে দেন এবং আপনি যেখানেই থাকেন না কেন আপনার জন্য কল্যাণকে সহজ করে দেন।

দুই:

সুদি কোম্পানি কিংবা ব্যাংকগুলোতে চাকুরী করা নাজায়েয। যেহেতু এতে পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হয়। আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিতে একে অন্যকে সাহায্য করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যকে সহায়তা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ কঠোর শাস্তিদানকারী।[সূরা মায়িদা, আয়াত: ০২]

অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সুদী কাজে লেখার মাধ্যমে ও সাক্ষ্যদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করে তাকে লানত করা বর্ণিত হয়েছে। যেমনটি জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত সহিহ মুসলিমের হাদিসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষীদ্বয়কে লানত করেছেন এবং বলেছেন: তারা সকলে সমান।

অতএব, এই ব্যাংকগুলোতে ট্রেনিং নেয়া জায়েয হবে না; যদি এর মাধ্যমে সুদী কারবার করতে হয় কিংবা সুদী কারবারে সহযোগিতা করতে হয়। তবে কোন ছাত্র যদি নিরুপায় হয়; তাহলে ভিন্ন কথা। অর্থাৎ এর থেকে নিষ্কৃতির কোন উপায় তার না থাকে সেক্ষেত্রে এমন ট্রেনিং-এ সুদকে ঘৃণা করা ও সুদের বিপক্ষে বলা এবং কোন সুদী কারবারে জড়িত না হওয়ার শর্তে হাযির হওয়া জায়েয হবে। বরঞ্চ তাকে উপদেশ দেয়া হবে যাতে সে তাদের কাছে সুদ হারাম হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে। আর সে সুদী প্রক্রিয়াগুলো জানার মাধ্যমে উপকৃত হবে; যাতে করে এ ব্যাপারে তার সম্যক জ্ঞান থাকে।

ট্রেনিং শেষে তাকে যে সম্মানী দেয়া হবে সেটা সে গ্রহণ করে গরীব-মিসকীনের মাঝে বণ্টন করে দেয়ার মাধ্যমে এর থেকে মুক্ত হবে। কেননা সেটি নিন্দিত সম্পদ; যা হারাম কাজের বিনিময় হিসেবে ব্যয় করা হয়েছে।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android
at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android