প্রশ্ন: আমি শুনেছি ‘গণতন্ত্র’ ইসলাম থেকে নেয়া হয়েছে। এ কথাটা কি ঠিক? গণতন্ত্রের পক্ষে প্রচারণা করার হুকুম কি?
ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র
প্রশ্ন: 98134
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
আলহামদুলিল্লাহ।এক:
ডেমোক্রেসি(গণতন্ত্র)আরবী শব্দ নয়।এটি গ্রিকভাষার শব্দ।দুটি শব্দেরসমন্বয়েশব্দটি গঠিত: Demos অর্থ-সাধারণ মানুষবা জনগণ। আরদ্বিতীয়শব্দটি হচ্ছে-KRATIA অর্থ- শাসন।অতএব,ডেমোক্রেসিশব্দের অর্থহচ্ছে- সাধারণমানুষের শাসনঅথবা জনগণেরশাসন।
দুই:
গণতন্ত্রইসলামের সাথেসাংঘর্ষিকএকটি তন্ত্র।এই তন্ত্রেআইন প্রণয়নেরক্ষমতা জনগণেরহাতে অথবাতাদেরনিযুক্তপ্রতিনিধি(পার্লামেন্টসদস্য) এরহাতে অর্পণকরা হয়। তাই এতন্ত্রেরমাধ্যমেগায়রুল্লাহরশাসন প্রতিষ্ঠাকরা হয়; বরংজনগণ ও জনপ্রতিনিধিরশাসনপ্রতিষ্ঠাকরা হয়। এতন্ত্রেজনপ্রতিনিধিদেরসকলে একমতহওয়ার দরকারনেই। বরংঅধিকাংশসদস্য একমত হওয়ারমাধ্যমে এমনসব আইন জারীকরা যায় জনগণযেসব আইন মেনেচলতে বাধ্য;এমনকি সে আইনযদি মানবপ্রকৃতি,ধর্ম, বিবেকইত্যাদিরসাথে সাংঘর্ষিকহয় তবুও। উদাহরণতঃএই তন্ত্রেরঅধীনেগর্ভপাত করা,সমকামিতা, সুদিমুনাফারবিধানইত্যাদি জারীকরা হয়েছে। ইসলামিশাসনকে বাতিলকরা হয়েছে।ব্যভিচার ও মদ্যপানকেবৈধ করাহয়েছে। বরং এইতন্ত্রের মাধ্যমেইসলাম ওইসলামপন্থীদেরকেপ্রতিহত করাহয়। অথচআল্লাহ তাআলাতাঁর কিতাবেজানিয়েছেন,হুকুম বাশাসনের মালিকএকমাত্র তিনিএবং তিনিইহচ্ছেন- উত্তমহুকুমদাতা বাশাসক। পক্ষান্তরেঅন্যকে তাঁরশাসনেঅংশীদার করাথেকে নিষেধকরেছেন এবংজানিয়েছেনতাঁর চেয়ে উত্তমবিধানদাতাকেউ নেই।আল্লাহ তাআলাবলেন (ভাবানুবাদ):“অতএব,হুকুম দেওয়ারঅধিকারসুউচ্চ ওসুমহানআল্লাহর জন্য” [সূরাগাফের, আয়াত:১২] আল্লাহতাআলা আরওবলেন (ভাবানুবাদ):“আল্লাহছাড়া কারোবিধান দেওয়ার অধিকারনেই। তিনিআদেশ দিয়েছেনযে, তিনিব্যতীত অন্যকারও ইবাদতকরো না। এটাইসরল পথ।কিন্তুঅধিকাংশ লোকতা জানে না।”।[সূরাইউসুফ, আয়াত: ৪০]আল্লাহ তাআলাআরও বলেন: “আল্লাহ কিহুকুমদাতাদেরশ্রেষ্ঠ নন?” [সূরাত্বীন, আয়াত:০৮] তিনি আরওবলেন(ভাবানুবাদ): “বলুন, তারাকতকালঅবস্থানকরেছে- তা আল্লাহইভাল জানেন।নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলেরগায়েব বিষয়েরজ্ঞান তাঁরইকাছে রয়েছে।তিনি কত চমৎকারদেখেন ও শোনেন!তিনি ব্যতীততাদের জন্যকোনসাহায্যকারীনেই। তিনি নিজহুকুমে কাউকে অংশীদারকরান না।”[সূরাকাহাফ, আয়াত:২৬] তিনি আরওবলেন(ভাবানুবাদ): “তারা কিজাহেলিয়াতের হুকুমচায়? বিশ্বাসীদেরজন্যে আল্লাহরচেয়ে উত্তম হুকুমদাতাআর কে?”[সূরা মায়েদা,আয়াত: ৫০]
আল্লাহতাআলাসৃষ্টিকুলেরস্রষ্টা।তিনি জানেন,কোন বিধানতাদের জন্যউপযুক্ত; কোনবিধান তাদের জন্যউপযুক্ত নয়।সব মানুষেরবিবেক-বুদ্ধি,আচার-আচরণ ওঅভ্যাস এক রকমনয়। নিজেরজন্য কোনটাউপযোগী মানুষসেটাই তো জানেনা; থাকতোঅন্যের জন্যকোনটাউপযুক্ত সেটাজানবে। একারণে যেদেশগুলোতেজনগণেরপ্রণীত আইনেশাসন চলছে সেদেশগুলোতেবিশৃঙ্খলা,চারিত্রিকঅবক্ষয়,সামাজিকবিপর্যয় ছাড়া আরকিছু দেখা যায়না।
তবেকিছু কিছুদেশে এতন্ত্রটিনিছক একটি শ্লোগানছাড়া আর কিছুনয়; যারকোনরূপবাস্তবতা নেই।এ শ্লোগানেরমাধ্যমেজনগণকে ধোঁকাদেয়া উদ্দেশ্য।প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপ্রধানও তারসহযোগীরাইহচ্ছে- আসলশাসক এবং জনগণহচ্ছে তাদেরকরদ। এর চেয়েবড় প্রমাণেরআর কি প্রয়োজনআছে, শাসকবর্গযা অপছন্দ করেডেমোক্রেসিতেযদি এমন কিছুথাকে তখন তারাসেটাকে পায়েরনীচে পিষ্টকরে।নির্বাচনেকারচুপি,স্বাধীনতা হরণ,সত্য কথা বললেটুটি চেপে ধরাইত্যাদি এমনকিছুবাস্তবতা যা সকলেরজানা; এগুলোসাব্যস্তকরার জন্য কোনদলিলেরপ্রয়োজন নেই। দিনেরঅস্তিত্বসাব্যস্তকরার জন্য যদিদলিল লাগেতাহলে বিবেকেআর কিছু ধরবেনা।
‘মাউসুআতুলআদইয়ান ওয়ালমাযাহেবআল-মুআসেরা’ গ্রন্থ(২/১০৬৬) তেএসেছে-
পার্লামেন্টারিডেমোক্রেসি:এটি এমন একটি গণতান্ত্রিকশাসনব্যবস্থাযাতে জনগণেরনির্বাচিতপ্রতিনিধিবর্গেরনির্বাচনে গঠিতপরিষদেরমাধ্যমে জনগণশাসনকার্যপরিচালনা করেথাকে। এব্যবস্থায়জনগণ বিশেষকিছু ক্ষেত্রেবিশেষ কিছুপ্রক্রিয়ায়শাসনকার্যেসরাসরি হস্তক্ষেপকরার অধিকাররাখে। সে প্রক্রিয়াগুলোরমধ্যে রয়েছে-
১. ভোটদেওয়ারঅধিকার:জনগণের কতিপয়ব্যক্তিবর্গকোন একটিআইনেরবিস্তারিত বাসংক্ষিপ্তবিল উত্থাপনকরে। এরপরপার্লামেন্টকমিটি সেটারউপর আলোচনাকরে ও ভোট দেয়।
২.গণভোট দেওয়ারঅধিকার: কোনএকটি আইন পার্লামেন্টেরঅনুমোদনের পর জনগণেররায় প্রকাশকরার জন্য পেশকরা।
৩. না-ভোটদেওয়ারঅধিকার: কোনএকটি আইনপ্রকাশ করারনির্দিষ্টকিছু সময়েরমধ্যেসংবিধান কর্তৃকনির্ধারিতসংখ্যক লোকেরপক্ষ থেকে এআইনেরবিরুদ্ধেআপত্তিজানানোরঅধিকার। যাতেকরে এ আপত্তিরফলে গণভোটের মাধ্যমেসমাধান করাযায়। যদিহ্যাঁ-এরপক্ষে বেশি ভোটপড়ে তাহলেআইনটিকার্যকর করাহয়। আর যদি না-এরপক্ষে বেশিভোট পড়ে তাহলেসেটি বাতিলকরা হয়।বর্তমানেপ্রায় সকলসংবিধান এনিয়মে চলছে। কোনসন্দেহ নেইগণতান্ত্রিকশাসনব্যবস্থাআল্লাহরআনুগত্য ওআইনপ্রণয়ন অধিকারেরক্ষেত্রেএকটি নব্যশিরকের স্বরূপমাত্র।যেহেতু এ প্রক্রিয়ায়স্রষ্টাহিসেবেআল্লাহর আইনপ্রণয়ন করার এককঅধিকারকেক্ষুণ্ণ করাহয় এবংমাখলুককে এঅধিকারপ্রদান করাহয়। অথচআল্লাহ তাআলাবলেন: “তোমরাআল্লাহকেছেড়ে নিছক কিছুনামের ইবাদতকর, সেগুলোতোমরা এবংতোমাদেরবাপ-দাদারাসাব্যস্ত করেনিয়েছে।আল্লাহ এদেরকোন প্রমাণঅবতীর্ণকরেননি।আল্লাহ ছাড়াকারও বিধান দেওয়ারঅধিকার নেই।তিনি আদেশদিয়েছেন যে, তিনিব্যতীত অন্যকারও ইবাদতকরো না। এটাইসরল পথ।কিন্তুঅধিকাংশ লোকতা জানে না।”।[সূরাআল-আনআম, আয়াত:৫৭] সমাপ্ত।
তিন:
অনেকমানুষ ধারণাকরে,ডেমোক্রেসিমানে- স্বাধীনতা,মুক্ততা! এটিএকটি ভুলধারণা। যদিও ‘স্বাধীনতা’ডেমোক্রেসির উদ্ভাবিতএকটি পণ্য।আমরা এখানেস্বাধীনতা বলতেবুঝাতে চাই:বিশ্বাসেরস্বাধীনতা,চারিত্রিকস্খলনেরস্বাধীনতা, মতপ্রকাশেরস্বাধীনতা। ইসলামীসমাজের উপরএগুলোরনেতিবাচকপ্রভাব অনেক। এপ্রভাব মতপ্রকাশেরস্বাধীনতারনামে রাসূলগণ,তাদেররিসালাত,কুরআন,সাহাবায়েকেরামের উপরদোষারোপ করারপর্যায়েপর্যন্তপৌঁছে যায়।স্বাধীনতারনামে বেপর্দা,বেহায়াপনা,খারাপ ছবি ও ফিল্মঅনুমোদনদেওয়ারপর্যায়েপৌঁছে যায়।এভাবে এরতালিকা লম্বাহতেই থাকে। এসবগুলোউম্মতেরদ্বীনদারি ওচরিত্র ধ্বংসকরার অপচেষ্টা।পৃথিবীর নানারাষ্ট্রগণতান্ত্রিকশাসনের আড়ালেযেস্বাধীনতারদিকে আহ্বানজানায় সে স্বাধীনতাআবারসবক্ষেত্রেনয়। বরংস্বার্থ ওপ্রবৃত্তিরশিকলে এস্বাধীনতাআষ্টেপৃষ্ঠেবাঁধা। মতপ্রকাশেরস্বাধীনতারনামে তারামুহাম্মদরাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামও কুরআনকেদোষারোপ করাঅনুমোদন করে;কিন্তু ‘নাৎসিদেরইহুদি নিধন’ নিয়েকথারক্ষেত্রেস্বাধীনতা নিষেধ।বরং যেব্যক্তি এহত্যাযজ্ঞকেঅস্বীকার করেতাকে শাস্তিদেয়া হয়, জেলেপুরা হয়। অথচএটি একটিঐতিহাসিক ঘটনা;এটাকে যে কেউঅস্বীকারকরতেই পারে।
যদিআসলেই তারাস্বাধীনতারআহ্বায়ক হতোতাহলে তারাইসলামীরাষ্ট্রেরজনগণকেনিজেদের সিদ্ধান্তনিজেদেরকেনেয়ার সুযোগদিল না কেন?! কেনতারামুসলমানদেরদেশগুলোকেউপনিবেশ বানাল,তাদের ধর্ম ওবিশ্বাসপরিবর্তনেরপদক্ষেপ গ্রহণকরল?ইতালিয়ানরাযখন লিবিয়ারজনগণকে হত্যাকরছিল তখন এস্বাধীনতাকোথায় ছিল?ফ্রান্স যখনআলজেরিয়াতেহত্যাযজ্ঞচালাচ্ছিলঅথবা ইতালিয়ানরামিশরেগণহত্যাচালাচ্ছিল বাআমেরিকানরা যখনআফগান ও ইরাকেহত্যাযজ্ঞচালাচ্ছিলতখন এস্বাধীনতাকোথায় ছিল?
এসবস্বাধীনতারদাবীদারদেরনিকটেওস্বাধীনতাকতগুলোনিয়ম-কানুনদ্বারা শৃঙ্খলিত;যেমন-
১- আইন:কোন মানুষের এঅধিকার নেইযে, সেরাস্তাতে সাধারণচলাচলেরবিপরীত দিকেচলবে বা গাড়ীচালাবে। অথবালাইসেন্সছাড়া কোনদোকান-পাটখুলবে। যদি সেবলে আমিস্বাধীন; কেউতার দিকেভ্রুক্ষেপওকরবে না।
২- সামাজিকপ্রথা: উদাহরণতঃকোন নারী সাগরযাপনের পোশাকপরে কোনমৃতব্যক্তিরশোকাহতবাড়ীতে যেতেপারে না! যদিবলে আমিস্বাধীন,মানুষ তাকেতুচ্ছ-তাচ্ছিল্যকরবে, তাড়িয়েদিবে। কারণ এটিপ্রথারবিপরীত।
৩- সাধারণরুচিবোধ: উদাহরণতঃকোন ব্যক্তিমানুষেরসামনে বায়ু ত্যাগকরতে পারে না!এমনকি ঢেকুরতুলতে পারে না।যদি সে বলে,আমি স্বাধীন,তাহলে মানুষতাকে হেয়প্রতিপন্নকরে।
এখনআমরা বলতেচাই:
তাহলেআমাদেরধর্মের কেন এঅধিকার থাকবেনা যে, আমাদেরস্বাধীনতাকেশৃঙ্খলিতকরবে। যেমন-তাদের স্বাধীনতাবেশ কিছু বিষয়দ্বারা শৃঙ্খলিতহয়েছে যেবিষয়গুলোকেতারাঅস্বীকার করতেপারে না?! কোনসন্দেহ নেইইসলাম ধর্ম যানিয়ে এসেছে এরমধ্যেই রয়েছেকল্যাণ ওমানুষের জন্যউপকার।নারীকেবেপর্দা হতেনিষেধ করা,মদপানে বারণকরা, শুকুরখেতে নিষেধকরা ইত্যাদিসব মানুষেরশারীরিক,মানসিক ওজৈবনিককল্যাণেই।কিন্তু ধর্মযদি তাদেরস্বাধীনতাকেবিধিবদ্ধ করেতখনি তারাসেটাপ্রত্যাখ্যানকরে। আর যদিতাদের মত অন্যকোন মানুষ বাঅন্য কোনআইনের পক্ষথেকে আসে তখনতারা বলে “শুনলাম ওমানলাম”।
চার:
কিছুমানুষ ধারণাকরে- ডেমোক্রেসিশব্দটাইসলামে ‘শুরা’ শব্দেরপ্রতিশব্দ।এটি কয়েকটিকারণে ভুল। কারণগুলোনিম্নরূপ:
১. শুরাবা পরামর্শকরা হয় নতুন কোনবিষয় নিয়ে,এমন বিষয়ে যেবিষয়েকুরআন-হাদিসেরবক্তব্যসুস্পষ্ট নয়।পক্ষান্তরে ‘জনগণেরশাসন’ এধর্মেরঅকাট্যবিষয়গুলোনিয়েওআলোচনা-পর্যালোচনাকরা হয়। এরপরহারামকেহারাম ঘোষণাকরা হয় না,হালাল অথবাওয়াজিবকেহারাম ঘোষণাকরা হয়। এসবআইনের বলে মদবিক্রিরবৈধতা দেয়াহয়েছে।ব্যভিচার ওসুদের বৈধতা দেয়াহয়েছে। এসবআইনেরমাধ্যমেইসলামি সংস্থাগুলোও আল্লাহরদিকেআহ্বানকারীদেরতৎপরতাকেকোণঠাসা করাহয়েছে। এ ধরণেরকোণঠাসাকরণইসলামিশরিয়ার সাথেসাংঘর্ষিক।শুরাপদ্ধতিতে এমনকোনসিদ্ধান্তনেয়ার কোন সুযোগআছে কি?!
২. শুরাকমিটি গঠিত হয়এমনব্যক্তিবর্গদেরসমন্বয়েযাদের মধ্যেফিকহ, ইলম,সচেতনতা ওচরিত্রইত্যাদিরএকটা উন্নতমান বিদ্যমান থাকে।কারণ চরিত্রহীনব্যক্তি বাবোকার সাথেপরামর্শ করাযায় না; আরকাফের বানাস্তিকেরসাথে পরামর্শতো আরও দূরেরকথা। পক্ষান্তরেডেমোক্রেটিকপার্লামেন্টে:পূর্বোক্তগুণগুলোর কোনবিবেচনা নেই।একজন কাফের,দুর্নীতিবাজ,নির্বোধব্যক্তিওপার্লামেন্টসদস্য হতেপারবে।সুতরাং শুরারসাথে এতন্ত্রের কিসম্পর্ক?!
৩. শাসকশুরারসিদ্ধান্তগ্রহণ করতেবাধ্য নন। হতেপারে শুরাকমিটির একজনসদস্য যেপরামর্শদিয়েছেন তারদলিলেরবলিষ্ঠতারকারণে তিনি সেটাইগ্রহণ করবেন।অন্যসদস্যদেরমতামতের পরিবর্তেএই মতকে সঠিকমনে করবেন।পক্ষান্তরেগণতান্ত্রিকপদ্ধতিতে ‘অধিকাংশসদস্যের’ মতচূড়ান্ত মত।জনগণকে এ মতমেনে চলতেহবে।
অতএব,মুসলমানেরকর্তব্যহচ্ছে- তাদেরধর্মকে নিয়েগৌরববোধ করা,তাদের রবেরপক্ষ থেকে দেয়াবিধানেরপ্রতি আস্থারাখা; এ বিধানতাদের দুনিয়াও আখেরাতেরকল্যাণেযথেষ্ট এবংআল্লাহরশরিয়ত বিরোধীসকল তন্ত্র-মন্ত্রথেকে নিজেরমুক্ততাঘোষণা করা।
শাসক ওশাসিত সকলমুসলমানেরকর্তব্যজীবনের সকলক্ষেত্রেআল্লাহরবিধান মেনেচলা। ইসলামছাড়া অন্য কোনতন্ত্র বাজীবনপদ্ধতিগ্রহণ করাহারাম।আল্লাহকে রবহিসেবে,ইসলামকে ধর্মহিসেবে ওমুহাম্মদসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামকেনবী হিসেবেগ্রহণ করারদাবী হচ্ছে- প্রকাশ্যেও গোপনেইসলামকেআঁকড়ে ধরা,আল্লাহরশরিয়তকেসম্মান করা,নবীর আদর্শেরঅনুসরণ করা।
আমরাআল্লাহর নিকটপ্রার্থনাকরছি তিনি যেনইসলামেরমাধ্যমে আমাদেরকেশক্তিশালীকরেন এবংষড়যন্ত্রকারীদেরষড়যন্ত্রনস্যাৎ করে দেন।
আল্লাহইভাল জানেন।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব