0 / 0
1,729২০/রজব/১৪৪৪ , 11/ফেব্রুয়ারী/2023

যে ব্যক্তির ডিউটি টাইম ফজর পর্যন্ত বিলম্বিত সে কি যোহর-আসর একত্রে আদায় করতে পারবে?

Вопрос: 98647

আমি সৌদি আরামকো কোম্পানিতে চাকুরী করি। আমি শিফটিং সিস্টেমে কাজ করি; হারাদ এলাকায়। সাতদিনের জন্য আমার প্রাত্যহিক ডিউটি টাইম সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত। এতে করে যোহর ও আসরের নামায জামাতের সাথে আদায় করতে আমার খুব কষ্ট হয়। আমার জন্যে কি যোহর ও আসরের নামায একত্রে আদায় করা জায়েয হবে? উল্লেখ্য, আমি জেদ্দা শহরে থাকি। শুধু চাকুরীর জন্য হারাদে যাই; এরপর সপ্তাহ শেষে জেদ্দাতে ফিরে আসি। আমি সময়মত নামাযের জন্য জাগার আপ্রাণ চেষ্টা করি। কিন্তু অনেক সময় আমার জামাতের সাথে নামায পড়া ছুটে যায়।

Текст ответа

Хвала Аллаху, мир и благословение будут на Посланника Аллаха и его семью.

এক:

চাকুরীজীবীসহ অন্য সবার উপরে ওয়াক্তমত নামায আদায় করা ওয়াজিব (আবশ্যকীয়)। যেহেতু আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের উপর ফরয।[সূরা নিসা, আয়াত: ১০৩] এবং আল্লাহ্‌ তাআলা এই মর্মে মুমিনদের প্রশংসা করেছেন যে, তাদের কাজকর্ম তাদেরকে আল্লাহ্‌র আনুগত্য থেকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে না। তিনি বলেন: এমন লোকেরা, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর যিকির থেকে, নামায কায়েম করা থেকে এবং যাকাত প্রদান করা থেকে দূরে না রাখে। তারা ভয় করে সেই দিনটিকে যে দিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ ওলটপালট (বিপর্যন্ত) হয়ে যাবে। যাতে আল্লাহ্‌ তাদেরকে তাদের কাজের সেরা প্রতিদান দেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহ থেকে তাদেরকে আরো বেশী দান করেন। আল্লাহ্‌ যাকে চান বিনে হিসেবে জীবিকা দান করেন।[সূরা নূর, আয়াত: ৩৭-৩৮]

তাই আপনার উপর ওয়াজিব হলো নামাযের ওয়াক্তে ঘুম থেকে জাগার ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়া এবং জাগার জন্য উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা। যদি এমনটি ঘটে যায় যে, কোন কোন বার আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন এবং আপনার জামাতে নামায ছুটে গেছে; যদিও আপনি জাগতে সচেষ্ট ছিলেন এবং উপায়-উপকরণ গ্রহণ করেছিলেন; সেক্ষেত্রে আপনার কোন গুনাহ হবে না।

দুই:

যে ব্যক্তি কোন স্থানে সফর করে সেখানে চারদিনের বেশি সময় অবস্থান করার নিয়ত করেছে; তার ক্ষেত্রে মুকীমের হুকুম প্রযোজ্য। নামাযগুলো পূর্ণ সংখ্যায় আদায় করা তার উপর আবশ্যক। তার ক্ষেত্রে সফরের কারণে দুই ওয়াক্তের নামায একত্রিত করা জায়েয হবে না। কিন্তু দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করার বিধানটি কেবল সফরের জন্য খাস নয়। বরং অসুস্থ, বৃষ্টি ও কষ্ট ইত্যাদি ওজরের কারণেও সেটি জায়েয।

ইতিপূর্বে 38079 নং প্রশ্নোত্তরে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।

অতএব, যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে, আপনি যোহরের নামাযের জন্য জাগতে পারবেন না এবং সেটি আপনার জন্য কষ্টকর হবে; সেক্ষেত্রে আপনি যোহরের নামাযকে বিলম্বে আসরের সাথে একত্রিত করলে ইনশাআল্লাহ্‌ কোন গুনাহ হবে না। তবে সেটি কেবল কষ্টকর অবস্থায় হতে হবে এবং রেগুলার কোন বিষয় হতে পারবে না; চাই কষ্টকর হোক বা না-হোক।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

Источник

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android