প্রশ্ন: কেউ কেউ মনে করেন শাসকবর্গ কবিরা গুনাহ ও পাপে লিপ্ত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ফরজ; তাদের হাত থেকে ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা করা অপরিহার্য; যদিও এতে মুসলমানদের কিছু ক্ষতি হোক না কেন। আমাদের মুসলিম বিশ্ব যে সমস্যাগুলোতে জর্জরিত সেগুলো অনেক। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?
শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার বিধান
প্রশ্ন: 9911
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
আলহামদুলিল্লাহ।
ইসলামীশরিয়ার একটিসূত্র হচ্ছে-“মন্দকেমন্দতর দিয়েপ্রতিরোধ করাযাবে না। বরংযা দিয়েমন্দকেনির্মূল করাযাবে, কিংবাকমানো যাবে তাদিয়ে মন্দকেপ্রতিরোধকরতে হবে”। তাই যেশাসকসুস্পষ্টকুফুরীতেলিপ্ত তাকে যারাক্ষমতাচ্যুতকরতে চায়তাদের যদি এমনসক্ষমতা থাকে যাদিয়ে তারাতাকে পদচ্যুতকরতে পারবে,তার বদলে একজনভাল ও নেককারশাসক বসাতেপারবে এবং এরফলেমুসলমানদেরমধ্যে বড়ধরনের কোনবিশৃংখলা তৈরীহবে না, এশাসকেরঅনিষ্টেরচেয়ে বড় কোনঅনিষ্টের শিকারহবে না—তাহলে এতে কোনবাধা নেই।
পক্ষান্তরে,এ বিদ্রোহেরমাধ্যমে যদিবড় ধরনেরবিশৃংখলা তৈরীহয়, নিরাপত্তাবিঘ্নিত হয়,নিরপরাধমানুষ জুলুম ওগুপ্ত হত্যারশিকার হয়…ইত্যাদিইত্যাদি তাহলেবিদ্রোহ করা জায়েযহবে না। বরংধৈর্য ধারণকরতে হবে, শাসকেরভালনির্দেশেরআনুগত্য করতেহবে। শাসককেউপদেশ দিতেহবে, ভাল কাজকরার দিকেডাকতে হবে।মন্দকে কমানোও ভালকেবাড়ানোরচেষ্টা করতেহবে। এটাই সরলপথ; যে পথঅনুসরণ করাকর্তব্য।কারণ এ পথেমুসলমানদেরজন্য সাধারণকল্যাণ নিহিত;এ পথে ক্ষতির দিককম, কল্যাণেরদিক বেশি; এপথে আরও বড়অকল্যাণ থেকেমুসলমানদেরনিরাপত্তানিহিত আছে।
সূত্র:
শাইখ বিন বাযের ‘মাজমুউ ফাতাওয়া ও মাকালাত লি সামাহাতিশ শাইখ আল্লামা বিন বায, খণ্ড-৮; পৃষ্ঠা-২০২