মানসিক ও সামাজিক সমস্যা
পর্ণ ওয়েবসাইটগুলো দেখায় আসক্ত স্বামীর পরিত্রাণের উপায়
আমার বিয়ে হয়েছে দেড়মাস। আমি আবিষ্কার করেছি যে, আমার স্বামী পর্ণ ছবি ও ভিডিও ক্লিপ দেখে। আমি আমার ভেতরে আফসোস ও যন্ত্রণা অনুভব করছি। আমার জীবন সুখ থেকে দুঃখে পরিবর্তিত হয়েছে। আমি আমার স্বামীকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি কিছুতেই এটা মানতে পারিনি। আমি তার সাথে বিদেশে অবস্থান করছি। আমি আশা করেছিলাম সে আমার জন্য আদর্শ স্বামী হবে। আমি আমার সাথে তার ভাল আচরণকে অস্বীকার করি না। কিন্তু এই বিষয়টি উদঘাটনের পর আমার মন ভেঙ্গে গেছে। আমি সারাক্ষণ কাঁদছি। সারাদিন চুপ করে থাকি; যা আমার আসল চরিত্রের বিপরীত। কিন্তু যেহেতু আমি বিদেশে অবস্থান করছি এবং আমার পরিচিত কেউ নেই। আমার স্বামীকে না জানিয়ে কোথাও যাওয়া আমার জন্য কঠিন। কারণ আমি চাই না যে, সে জানুক যে আমি কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাহায্য চাচ্ছি। সে আমাকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, সে ধুমপায়ী। আমি বিয়ের আগে এটি জানতাম না এবং বিয়ের পরও কিছুদিন পর্যন্ত জানতাম না। আমি খুব চিন্তায় পড়ে গেছি যে, সে আমাকে নিয়ে সুখী হবে না কিংবা আমার সাথে তার জীবন সুখী হবে না। আমার স্বামীর সাথে আমার আচরণের পদ্ধতি সম্পর্কে আমি আপনাদের সাহায্য চাই। সে তৃতীয় লিঙ্গের ছবি ও ভিডিও দেখা, পুরুষের অঙ্গবিশিষ্ট নারীদের চিত্র দেখার অর্থ কি সে সমকামী?যে ব্যক্তি নিজের পিতা ও ফুফুদের সাথে কথা বলে না, নামায পড়ে না এবং আল্লাহ্র প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করে
যে ব্যক্তি তার পিতার আচার-ব্যবহার খারাপ হওয়া, মহিলাদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখা, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালন না করা এবং প্রতিবারে তার মাকে তালাক দেয়ার কারণে পিতার সাথে কথা বলে না এবং কখনও জিজ্ঞেস করবে না। তার ফুফুরা তার মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করেছে বিধায় কখনও তাদেরকে দেখতে যাবে না; কিন্তু রাস্তায় দেখা হলে সালাম দিবে। কিছু সমস্যা ঘটায় কর্মস্থলে তার সহকর্মীদের সাথে কথা বলে না। যদিও সে তার বিরুদ্ধে কোন হিংসা বা ক্রোধ ধারণ করে না। সে নামায পড়ে না। কেননা সে সবসময় বলে যে, আল্লাহ্ তার নামায কবুল করবেন না। কারণ সে পাঁচ ওয়াক্ত নামায মসজিদে পড়তে পারে না এবং সে আত্মীয়তার সম্পর্ক কর্তনকারী। সে আরও কিছু মানুষের সাথে কথা বলে না; কারণ তারা তার সাথে খারাপ আচরণ করেছে এবং সে কখনও তাদেরকে ক্ষমা করবে না। এমন ব্যক্তির হুকুম কী?স্বামী তার স্ত্রীর ওপর শর্তারোপ করেছিলেন যে, স্বামীর একজন আত্মীয়াকে স্ত্রীর সাথে একই বাসায় থাকতে দিতে হবে। এখন এই আত্মীয়া স্ত্রীকে নানাভাবে কষ্ট দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর ওপর আরোপকৃত শর্ত কি বাতিল হবে?
আমি একজন নারী। বছর খানেক আগে আমার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পূর্বে আমার স্বামী আমার ওপর শর্তারোপ করেছিলেন যে, তাঁর মায়ের খালার মেয়েকে আমাদের বাসায় থাকতে দিতে হবে; যেহেতু তিনি একজন বয়স্ক মহিলা। স্বামীর এ শর্তে আমি রাজী হয়েছিলাম। বিয়ের পর আমি জানতে পারলাম যে, এ বাড়ীর অর্ধেক আসবাবপত্র এই মহিলার। বাসার কোন একটি আসবাবপত্র আমি ধরতে পারি না, ছুঁইতে পারি না। শুধু তাই নয়- তিনি আমাকে, আমার পরিবারকে গালিগালাজ করেন। আমার স্বামী এর কোন প্রতিবাদ করে না। ভদ্রমহিলা বলেন: আমার পিতা নাকি জারজ সন্তান! আমার মধ্যে নাকি আদব কায়দা কম! কারণ- আমার স্বামী ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় আমি তার সাথে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে যাই। এ বিষয়গুলো আমি আমার পরিবারকে অবহিত করলে তারা এসে আমাকে নিয়ে যায়। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি কি আমার স্বামীর নিকট আলাদা বাসস্থান দাবী করতে পারি? এই ভদ্রমহিলা আমাদের সাথে বসবাস করার শরয়ি বিধান কি?এক তালিবে ইল্ম নারীদেরকে ইল্ম শিক্ষা দিতে গিয়ে নিজে তাদের একজনের সাথে বিশেষ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন
আমাদের দেশে একজন তালিবে ইল্ম আছে। তাঁর ইল্ম ভাল। তিনি আমাদেরকে ইলম অর্জন, তাকওয়া, সুন্নাহর অনুসরণ ও আলেমদের সাথে আদব মেনে চলার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন। আমরা তাঁকে হকপন্থী সালাফী হিসেবে জানি। তিনি আমাদেরকে দ্বীনের খুঁটিনাটি যা কিছু শিক্ষা দেন আমরা তাঁকে অনুসরণ করে চলি। কুরআনে কারীম ও রাসূল (সাঃ) এর হাদিস শিক্ষাদানের জন্য তিনি সনদপ্রাপ্ত। যদিওবা আমরা উনার তাকলীদ করি, কিন্তু তিনি আমাদেরকে তাকলীদ না-করার প্রতি উৎসাহিত করেন। তিনি ফতোয়ার ক্ষেত্রে অথবা নারী হিসেবে আমাদের সাথে আচার আচরণের ক্ষেত্রে আল্লাহ্কে ভয় করেন বলে আমি মনে করি। আমি তার জ্ঞান প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু ভূমিকা রেখে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একজন মহিলা আমাকে অবহিত করেছেন (আমার কাছে তাকে সত্যবাদী মনে হয়) যে, এই নারীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে। সেটা সম্পূর্ণ গোপনে। আমি আবারও বলছি সম্পূর্ণ গোপনে। মহিলাটি জানাচ্ছেন যে, তিনি এ সম্পর্ককে বিয়ের মাধ্যমে শরিয়তসম্মত রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু নিজস্ব কিছু পরিস্থিতির কারণে তিনি সেটা পারছেন না। পরিতাপের বিষয় হলো- তা সত্ত্বেও তিনি এ মহিলার সাথে কথাবার্তা বন্ধ করেননি। তিনি বলছেন যে, তিনি পরিবেশ তৈরী করার চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায়, আমরা কি তার কাছ থেকে ইলেম অর্জনে বিরত থাকব? তার দরসে বসা থেকে বিরত থাকব? শয়তান আমাকে ধাঁধায় ফেলে দিচ্ছে, আমাকে বলছে- এই আলেম যা বলে তিনি নিজে সে অনুযায়ী আমল করেন না। তার প্রতিটি কথার মধ্যে শয়তান আমাকে সন্দেহে ফেলে দিচ্ছে। নাকি আমরা বলব- মানুষ মাত্রই গুনাহগার। হতে পারে এই গুনার কাছে তিনি হেরে গেছেন। আমাদের সাথে আচার ব্যবহারে তিনি আল্লাহ্কে ভয় করেন এটাই তো আমরা জানি। আর এ বিষয়টি একেবারে একটা গোপন বিষয়। গুটিকতক মানুষ ছাড়া এ বিষয়টি কেউ জানে না। আমি যে, এ বিষয়টি জানি তিনি তা জানেন না। নবী ছাড়া তো নিষ্পাপ কেউ নেই।স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মাঝে তীব্র বিরোধ, আমরা কি তাকে তালাক দেয়ার উপদেশ দিব?
আমি একজন বিবাহিত পুরুষ। আমার কয়েকজন সন্তান ও একজন স্ত্রী রয়েছে। কিন্তু, স্ত্রীর সাথে সব সময় আমার ঝগড়া লেগে থাকে। আমি অনেকবার তার সাথে আমার সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছি; কিন্তু কোন কাজ হয় নাই। সে তালাকের প্রতি সন্তুষ্ট নয়। জৈবিক দিক থেকেও সে আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। আমাদের এখানে প্রথাগতভাবে দ্বিতীয় বিবাহ অনুমতি নয়। কিংবা মানুষ বিবাহিত পুরুষের কাছে তাদের মেয়েদেরকে বিয়ে দেয় না। আমার আশংকা হচ্ছে- এভাবে চলতে থাকলে আমি হারামে লিপ্ত হতে পারি। আপনারা আমাকে অবহিত করুন ও গাইড করুন। আমি আশা করব আপনারা আমাকে উপদেশ দিবেন, কিভাবে আমি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। এর ভাল সমাধান কী হতে পারে? আল্লাহ্ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।যে ব্যক্তি বলেন: ‘মুসলমানদের দারিদ্রের কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি’ সে ব্যক্তির হুকুম কি?
প্রশ্ন: যিনি বলেন: এ যুগে মুসলমানদের দরিদ্রতা, দুর্বলতা ও পিছিয়ে থাকার কারণ হচ্ছে– অর্থনৈতিক অগ্রগতির তুলনায় জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ও অধিক জন্মহার। আপনাদের দৃষ্টিতে এ ব্যক্তির ব্যাপারে শরয়ি হুকুম কি এবং তার প্রতি আপনাদের নসীহত কি?এক মাসের গর্ভবতী নারী তার বাচ্চা নষ্ট করতে চায়; যেহেতু শীঘ্রই তার স্বামী তাকে তালাক্ব দিবে
এক লোকের সাথে আমার বোনের বিয়ে হয়েছে। এ বিয়ের কারণে আমার বোন পরীক্ষায় পড়ে যান। সর্বাধিক জঘন্য পরীক্ষা হচ্ছে এই লোকের নামায না-পড়া এবং স্ত্রীকে প্রহার করা। তাই আমার বোন তার সাথে খুলা করেছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমার বোন এই লোকের ঔরশে একটি মেয়ে প্রসব করেছে। এই মেয়েটি তার মায়ের ভীষণ কষ্টের কারণ হয়েছিল। আমার বোন জামাই ঈদের মত প্রতিটি আনন্দের উপলক্ষ্যে মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিত। পরবর্তীতে অপর এক লোকের সাথে তার বিয়ে হলো। তখন এই নারীর আসল পরীক্ষা শুরু হল। কারণ লোকটি ছিল মানসিক রোগী। এখন আমার বোন আশংকা করছে যে, তার প্রথম স্বামীর সাথে যে কষ্টটি মোকাবিলা করেছিল সেটির পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে। আমার বোন এখন তালাক্ব চাচ্ছে। কিন্তু সে এক মাসের গর্ভবতী। প্রথম মাসের এই বাচ্চাটি নষ্ট করার হুকুম কি?ব্যক্তি কিভাবে যে কোন কর্ম পরিপূর্ণ করতে পারে?
আমার সমস্যা হচ্ছে আমি যে কাজই শুরু করি সে কাজ শেষ করতে পারি না। হোক সে কাজ কার্যত আমি শুরু করেছি; কিংবা শুরু করার নিয়ত করেছি। হোক সে কাজ আমার ইবাদাতের সাথে সম্পৃক্ত কিংবা আমার দুনিয়াবী জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। সবসময় আমি মাঝপথে এসে কেটে পড়ি। আশা করি আপনারা আমাকে পরামর্শ দিবেন। ধন্যবাদ।মায়ের মৃত্যুর কারণে যে মেয়েটি সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে কাটায়
প্রশ্ন: আমার একজন বান্ধবী আছে। তার মা মারা গেছেন। সে সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে। আসলে তার কী করা উচিত।যে ব্যক্তি জীবনকে ঘৃণা করে মরে যেতে চায়
শরিয়তে এমন ব্যক্তির হুকুম কি যে ব্যক্তি জীবনকে প্রচণ্ড ঘৃণা করে আল্লাহ্র কাছে দোয়া করেছে যে, যদি মৃত্যু তার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে আল্লাহ্ যেন তাকে মৃত্যু দেন এবং সে মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে?বিয়ের প্রস্তাবকারী পাত্রের পক্ষ থেকে পাত্রীর হিযাব পরিধানে অসম্মতি
প্রশ্ন: আমি তিউনিসিয়ার অধিবাসী একজন ধার্মিক মেয়ে। আমার সমস্যা হচ্ছে- আমাকে বিয়ের প্রস্তাবকারী ছেলে আমার হিযাব পরাকে মেনে নিচ্ছে না, এমনকি সেটা যদি আধুনিক যুগের হিযাব হয় সেটাও না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- আমি কি তার সাথে সম্পর্ক করব; নাকি প্রত্যাখ্যান করব? উল্লেখ্য, অধিকাংশ তিউনিসিয়ান ছেলে এ ধরনের মানসিকতার হয়ে থাকে।হেদায়েত পাওয়ার পর ঈমানী দুর্বলতা এবং কয়েক দিন নামায না পড়া
আমার একটি সমস্যা আছে এবং একটি ফতোয়া সম্পর্কে প্রশ্ন আছে। আল্লাহ্র অনুগ্রহে কয়েক মাস ধরে আমি দ্বীন মেনে চলছি। কিছু দিন যাওয়ার পর আমি দুর্বল হতে শুরু করেছি। কিন্তু আমি এর কোন কারণ জানি না। ধীরে ধীরে মনোবল দুর্বল হতে শুরু করেছে। এক পর্যায়ে এমন কিছু মূহূর্ত অতিবাহিত হয়েছে যে, আমি নামায পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছি। আমার মনোবল দুর্বল হয়ে পড়েছে। আলহামদু লিল্লাহ্, আমি চেষ্টা করেছি যাতে কোন পাপে লিপ্ত না হই। কিন্তু আমি দ্বীনদার হওয়ার পর অনেক নামায নষ্ট করেছি। হয়তো ঘুমে কেটেছে কিংবা বাহিরে ছিলাম। আমি দ্বীনদারিতে ফেরার কিছুদিন পর কয়েকদিন নামায পড়িনি...। এখন আমি কি করব? আমি অনুভব করছি যে, নামাযের ক্ষেত্রে আমার একটি গিঁট (জটিলতা) আছে। কারণ আমি অনেক নামায নষ্ট করি। আমি অনুভব করি যে, এই গিঁট (জটিলতা) থেকে আমি কখনও সুস্থ হব না। এখন এর সমাধান কি?কসমেটিক সার্জারি করার হুকুম
আমি নাকের কসমেটিক সার্জারির ব্যাপারে জানতে চাই; সেটি কি হারাম? বিশেষতঃ যদি এটি মানসিকভাবে আমাকে পেরেশান করে এবং আমার জীবনযাত্রার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাছাড়া ডাক্তারেরাও বলেছে যে, এটি প্রয়োজন।উদ্যমহীনতা কারণ ও এর প্রতিকার
জনৈক ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করতেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি নিরুদ্যম হয়ে পড়েন। এখন তিনি আগের মত কুরআন তেলাওয়াত করেন না। দ্বীনদারির ক্ষেত্রে উদ্যমহীনতা দূর করার উত্তম উপায় কী?