মানসিক সমস্যা
সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তি নিজের সন্দেহের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না
আমি শাইখ মুহাম্মদ আ’লিশ এর ‘মিনাহুল জালিল’ এ একটি কথা পড়েছি: “সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রবল ধারণা অজর্ন শর্ত নয়— এটি অর্জনে তার অক্ষমতার কারণে। তার ক্ষেত্রে সন্দেহ হওয়ায় যথেষ্ট”। আপনারা কি এই কথার মর্ম পরিস্কার করতে পারবেন? আর এই কথা অনুযায়ী আমল করার বিধান কী?আমি শাইখ মুহাম্মদ আ’লিশ এর ‘মিনাহুল জালিল’ এ একটি কথা পড়েছি: “সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রবল ধারণা অজর্ন শর্ত নয়— এটি অর্জনে তার অক্ষমতার কারণে। তার ক্ষেত্রে সন্দেহ হওয়ায় যথেষ্ট”। আপনারা কি এই কথার মর্ম পরিস্কার করতে পারবেন? আর এই কথা অনুযায়ী আমল করার বিধান কী?আমি শাইখ মুহাম্মদ আ’লিশ এর ‘মিনাহুল জালিল’ এ একটি কথা পড়েছি: “সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রবল ধারণা অজর্ন শর্ত নয়— এটি অর্জনে তার অক্ষমতার কারণে। তার ক্ষেত্রে সন্দেহ হওয়ায় যথেষ্ট”। আপনারা কি এই কথার মর্ম পরিস্কার করতে পারবেন? আর এই কথা অনুযায়ী আমল করার বিধান কী?উদ্বেগ ও অনিদ্রার চিকিৎসা হিসেবে প্রশান্তিদায়ক ও ঘুমের ঔষধ ব্যবহারের হুকুম
ইসলামে ব্যক্তি নিজে নিজের চিকিৎসা করা সংক্রান্ত কিছু বিধি-বিধান আমি জানতে চাই। আমি বিয়ের পর একটি কঠিন সময় অতিবাহিত করছি। আমার স্বামী আমাকে অবহেলা করে। আমি ঠিক জানি না যে, এটা কি ইচ্ছা করে করে; নাকি অনিচ্ছাকৃত। সারাদিন সে তার কম্পিউটার ও মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকেÑ গেইম খেলে, বন্ধুদের সাথে অনবরত কথা বলে যায়। আমি তার সাথে একটি কথা বলারও অধিকার রাখি নাÑ যাতে করে তাকে তার মোবাইল থেকে বিচ্ছিন্ন হতে না হয়। সারাদিনে সে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা অবিচ্ছিন্নভাবে আমার সাথে সময় কাটায়। বিগত দুই বছরে এই ইস্যু নিয়ে আমরা অনেক ঝগড়াঝাটিতে জড়িয়েছি। কিন্তু শেষে আমি ধৈর্য ধরার এবং চুপ করে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু আমি বিষণ্ণতা, প্রত্যাখ্যান, দুঃখ ও একাকীত্ব অনুভব করছি। আমি ঘুমাতে পারছি না। তাই আমি Muscle relaxant (পেশী শ্লথন) খাচ্ছি; যে প্রকারটি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া পাওয়া যায়। কিন্তু আমি এখন অনুভব করছি যে, আমি এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আমার মাঝে অনেক হতাশা, উদ্বিগ্নতা রয়েছে। কিন্তু এই Muscle relaxant (পেশী শ্লথন) খাওয়ার সাথে সাথে আমি ঘুমিয়ে পড়ি এবং শান্ত হয়ে জেগে উঠি। কোন ডাক্তার আমাকে এই ঔষধ লিখে দেননি। আমার ভালভাবে ঘুমাতে না পারার ইতিহাস রয়েছে। আমি এই ঔষধগুলো মাঝে মাঝে ব্যবহার করি। এই ঔষধটি এক ডোজ খাওয়ার ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে এর ইফেক্ট শুরু হয় এবং চার থেকে ছয় ঘণ্টা এর প্রভাব থাকে। কিন্তু এর পরেও এই ঔষধ আমাকে মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে প্রশান্ত রাখে। আমি জানি যে, ইসলামে মাদকদ্রব্য সেবন হারাম। আমার নিজের সিদ্ধান্তে এই ট্যাবলেটগুলো গ্রহণ করার কারণেও কি আমার ৪০ দিনের নামায কবুল হবে না?মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তি কি শরয়ি দায়িত্বাধীন (মুকাল্লাফ)
আমি flat effect নামক এক রোগে ভুগছি। এটি এমন এক রোগ যার ফলে আমি ভালোবাসা, ঘৃণা, রাগ, স্নেহ, মমতা ইত্যাদি মানবিক অনুভূতিগুলো অনুভব করি না। এগুলো ছাড়া অন্য অনুভূতিগুলোও আমি অনুভব করি না। যদি কখনও অনুভব করি সেটা একেবারে কদাচিৎ ও স্বপ্ল সময়ের জন্য। এমনকি আমি আমার পিতামাতার প্রতিও কোন অনুভূতি অনুভব করি না। ১৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমার এ অবস্থা। আমার এ রোগের কোন চিকিৎসা নাই। আজীবন আমার এ অবস্থা চলমান থাকবে। আমার প্রশ্ন হলো: শরিয়ত অনুযায়ী আমি কি মুকাল্লাফ (শরয়ি দায়িত্বাধীন); নাকি নয়? আমার উপর কি নামায, রোযা ও যাকাত ফরয?যে নারী তার স্বামীর সাথে চুপ করে থাকার সমস্যায় ভুগছেন এবং তার সাথে অব্যাহতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম হচ্ছেন না— এর সমাধান চাচ্ছেন
আমার সমস্যা হলো আমি মানুষের সাথে কম কথা বলি। বিশেষতঃ আমার স্বামীর সাথে। আমাদের বাসায় ব্যাপকভাবে নিরবতা বিরাজ করে। আমি দেখি আমার স্বামী মোবাইল হাতে ধরে উচ্চস্বরে হাসছে। যখন আমার সাথে বসে সে চায় আমি তার সাথে কথা বলি। আমি কিছু বিষয়ে তার সাথে কথা বলা শুরু করি। তবে সে সময় আমি অনুভব করি যে, আমার মাথা খালি। সে রসিকতা অনেক পছন্দ করে; যার অধিকাংশই মিথ্যা। কিন্তু আমি এটা পছন্দ করি না। আমি মাঝেমধ্যে তাকে বলি কারো ব্যাপারে কথা বলো না; এতে সে আমার উপর বিরক্ত হয়। সে বলে: তুমি শুধু চুপ করে থাক। এমনকি সফরকালেও আমরা ক্যাসেট চালিয়ে রাখি। যদি তার কোন বন্ধু ফোন করে সে হয়তো তিন ঘণ্টা তার সাথে কথা বলে। কথার অধিকাংশ হচ্ছে হাসি ও মন্তব্য। এ সময় আমি তার পাশেই থাকি। আমি চাই আমার জীবন পরিবর্তন হোক। উল্লেখ্য, আমার কিঞ্চিত ফোবিয়া আছে। আমাদের বিয়ের বয়স তিন বছর। আমার একটি সন্তান আছে। আমার স্বামীর শখ হচ্ছে বই পড়া, সে ফুটবল ও কবিতা ভালোবাসে।যে নারী অনবরত বায়ু বের হওয়ার রোগে আক্রান্ত, যার কারণে কিছুদিন নামায পড়েননি; তিনি এর প্রতিকার জানতে চান
আমি অনবরত বায়ু বের হওয়ার রোগে আক্রান্ত। এর ফলে এক পর্যায়ে কিছুদিন আমি নামায পড়িনি। এই ওজর নিয়ে আমি কিভাবে নামায আদায় করব?পবিত্রতা ও অন্যান্য বিষয়ে বাধ্যগত শুচিবায়ু থেকে মুক্তির সফল উপায়
বীর্য বের হওয়ার ব্যাপারে আমি সন্দেহে পড়ে গেছি। যখন আমি নিশ্চিত হতে চাইলাম দেখলাম যে, এর রঙ হলুদ ও শুকনো; মজির বিপরীত। মজি তো পিচ্ছিল। কিন্তু বীর্যের বৈশিষ্ট হলো বের হওয়ার সময় অনুভব হওয়া এবং বের হওয়ার পর নিস্তেজতা অনুভব করা। আমি এর কিছুই অনুভব করিনি। আমি জানি বীর্যের গন্ধ খেজুর গাছের মঞ্জরীর গন্ধের মত। কিন্তু খেজুর গাছের মঞ্জরীর গন্ধ কেমন আমি সেটা জানি না। আমি জানি যে, শুকিয়ে গেলে এর গন্ধ ডিমের গন্ধের মত হয়। আমি যখন নিশ্চিত হতে গেলাম তখন এর গন্ধ পেলাম; কিন্তু সেটা ডিমের গন্ধের মত নয়। তাছাড়া আমি যখন ঘুম থেকে জাগি তখন কিছুটা ভেজা পাই; অথচ আমার স্বপ্নদোষ হয়নি। এমতাবস্থায় বীর্য থেকে; আমি বুঝাতে চাচ্ছি সন্দেহের অবস্থা থেকে গোসল করা কি জায়েয হবে? আমি সতর্কতামূলক গোসল করতে চাই; সেটা কি জায়েয? বীর্য থেকে গোসল, হায়েয থেকে গোসল ও ইসলামে প্রবেশ করার গোসল একত্রে করা কি সঠিক হবে? আমি জানি যে, হায়েযের পূর্বেই বীর্য থেকে গোসল করা আমার উপর ওয়াজিব। কিন্তু যখনই আমি ইসলামে প্রবেশের গোসল করতে যাই তখনই আমি গোসলের শুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহে পড়ে যাই। তাই আমি বীর্য থেকে গোসল করিনি।যে নারী কিছু মানসিক সমস্যাগ্রস্ত হয়ে মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন ও তীব্র হতাশাগ্রস্ত তিনি এর চিকিৎসা জানতে চান
আমি মানসিকভাবে অসুস্থ। ১২ বছর ধরে আমি মানুষের সাথে মিশি না, দূরে থাকি। আমার সকল আশা-আকাঙ্ক্ষা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। এর মধ্যে ছিল মাদ্রাসা। আমার বাবা আমাদেরকে গুরুত্ব দেয়নি কিংবা আমাদের ব্যাপারে চেষ্টা করেনি। আমি কিছু মানসিক রোগ ভুগছি। আমি নিজের মাথার চুল নিজে টেনে ছিঁড়ে ফেলি। সমাজকে ভয় পাই ও নার্ভাস ফিল করি। আমি শ্বাসকষ্টে ভুগি। নিজেকে খুব ঘৃণা করি। আমার স্বপ্নগুলোর অন্ত নেই। এখনও আমি আশাবাদী ও দোয়া করি। কিন্তু আমি আমার নিজেকে কিভাবে মুক্ত করতে পারব; যদি আমি কোন সাহায্যকারী না পাই। আমাদের বাবার কাছে গিয়ে যদি অভিযোগ করি তিনি রেগে যান। কখনও আমাদেরকে গালি দেন এবং আমাদেরকে এড়িয়ে যান। আমার মা আমাদেরকে নিয়ে চিন্তা করেন; কিন্তু তার অবস্থা আমাদের মত। আমাদের ভবিষ্যত ধ্বংস হয়ে গেল। আমরা সমাজকে অপছন্দ করি। আমি আশা করব আপনারা আমাকে সাহায্য করবেন। আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমি মরে যেতে চাই; যদি আল্লাহ্ এই কষ্ট থেকে আমাকে রেহাই দেন।যে ব্যক্তির মনে বিভিন্ন কুমন্ত্রণা আসে এবং তিনি ভয় পাচ্ছেন যে, শয়তান তার ঈমান ছিনিয়ে নিবে
আপনারা আমার জন্য সঠিক ধর্মের উপর অবিচল থাকতে পারার দোয়া করুন। আমি শয়তান দ্বারা ফিতনাগ্রস্ত। শয়তান তার সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করছে আমার ধর্ম পরিবর্তন করে দিতে, আমার প্রভুর প্রতি আমার আস্থা ও নিজের প্রতি আস্থা পরিবর্তন করে দিতে। আমি মহান আল্লাহ্র কসম করে বলছি: আমি এমন কষ্টের মধ্যে আছি যা আমার প্রভু ছাড়া আর কেউ জানে না। শয়তান আমার অন্তর থেকে ঈমান ছিনিয়ে নিতে চায় এবং আমাকে কুফর ও বিভ্রান্তিতে প্রবেশ করাতে চায় -আশ্রয় আল্লাহ্র-। এমনকি শয়তান আমার নিজের আকৃতি ধারণ করে। কখনও কখনও কালিমায়ে শাহাদাত উচ্চারণ করে। অর্থাৎ সে আমার সাথে পরিপূর্ণ করে এবং নামাযের মত ইবাদতের নিয়তে সন্দেহ প্রবেশ করায়। আমার সাথে নামাযে প্রবেশ করে আমার নামায নষ্ট করে; হয়তো বাধ্যগত শুচিবায়ুর মাধ্যমে। সে আমার সাথে সূরা ফাতিহা পড়ে, তাশাহ্হুদ পড়ে, সালাম ফিরায়। আমি আমার ঈমানের ব্যাপারে বিপদ সংকুল অবস্থার মধ্যে আছি। আমি আশংকা করছি তার টার্গেট হচ্ছে আমাকে ও প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কাফের বানানো কিংবা আল্লাহ্র সাথে শির্ক করানো। হয়তো তাকে বিচ্যুত করার মাধ্যমে কিংবা কাফের বানানোর মাধ্যমে। আপনারা এই পরীক্ষা থেকে মুক্ত হতে আমাকে সাহায্য করুন।যে ব্যক্তি সন্দেহ করছেন যে, তিনি যাদুগ্রস্ত কিন্তু তিনি ঝাড়ফুঁক তলব করতে চান না যাতে করে তিনি সেই সত্তর হাজার ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে
আমাদের এক প্রতিবেশীনি আমাদেরকে হিংসা করে; যদিও আমরা তাকে সম্মান করি ও তার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করি না। সে আমাদের জন্য যাদু করেছে। আমার নিজস্ব পোশাক ব্যবহার করে; যে পোশাকে আমার ঘামের দাগ ছিল। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে আমি দুইবার স্বপ্নে দেখেছি যে, সে আমার গায়ে একটি তরল পদার্থ ঢালছে যে তরলটিকে আমি চিনি না। আমি ভয় পেয়ে জেগে উঠেছিলাম। আমরা একটি রক্ষণশীল পরিবার; দ্বীনকে ভালবাসি। আমরা যতদূর পারি ভাল আমল করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা কিছু সংকট, ভুল বুঝাবুঝি ও বহু সমস্যায় ভুগছি। কিছুদিন ধরে আমি অনুভব করছি যে, আমার ভেতরে কিছু একটা পরিবর্তন হয়েছে। আমি আগের মত হাসিখুশি, কর্মচঞ্চল ও পরিশ্রমী নই। আমি খুব দ্রুত রেগে যাই। দিনে ঘুমাই, রাতে জেগে থাকি। কোন কারণ ছাড়া আমি দুটো চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। আমি অনুভব করছি যে, কেউ একজন আমাকে কিছু বিষয় করাতে বাধ্য করছে। আমি ক্লান্তি অনুভব করি। আমার বয়স ২৭ বছর। আমি বিরক্তিবোধ করা শুরু করেছি। আমি নিজেকে কোন ঝাড়ফুঁককারীর কাছে পেশ করিনি; যাতে করে আমি সেই সত্তর হাজার মানুষের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারি যারা ঝাড়ফুঁক তলব করে না। আমি ৪০ দিন যাবৎ প্রতিদিন সূরা বাক্বারা তেলাওয়াত করার চেষ্টা করেছি; কিন্তু পারিনি। আমি বহুবার চেষ্টা করেছি। প্রত্যেকবার যখন চেষ্টা করতাম আমি ভয়ানক স্বপ্ন দেখতাম। আমি নামাযে আল্লাহ্র কাছে দোয়া করি তিনি যেন এই যাদুকে নষ্ট করে দেন। আমি অনুভব করছি যে, আমার পরিবারের সবাই যাদুগ্রস্ত। আমি জানি না আমি কী করব? আমাকে ফতোয়া দিন।যে নারী স্যোসাল ফোবিয়া রোগে আক্রান্ত
আমি আধ্যাত্মিক ও সামাজিক ভীতি (স্যোসাল ফোবিয়া) রোগে আক্রান্ত। যে বছর আমি আধ্যাত্মিক ভীতি রোগে আক্রান্ত হয়েছি সে বছর আমি মানসিক রোগ ও শুচিবায়ুতেও আক্রান্ত হয়েছি। আমি ইউরোপের একটি দেশে থাকি। সামাজিক ভীতি রোগের চিকিৎসা করা হয় বিহেবিয়ার থেরাপি (আচরণগত চিকিৎসা)-এর মাধ্যমে কিংবা ঔষুধের মাধ্যমে। বিহেবিয়ার থেরাপি বা মানসিক রোগের ঔষধের ব্যাপারে আপনাদের অভিমত কী? অন্য কোন ঔষধ না নিয়ে কি শুধু কুরআন দিয়ে চিকিৎসা করব? নাকি আমার উচিত কুরআন দিয়ে ও মানসিক ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করানো?যে নারী দেরীতে বিয়ে হওয়ার ভয় করছে এবং যখনই তার কোন বান্ধবীর বিয়ে হয় তখনই সে বিষণ্ণ হয়ে পড়ে
আমি সবসময় দেখি যে, আমার বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। কারো কারো এনগেজমেন্ট হচ্ছে। এতে আমি বিষণ্ণ হই এবং অনুভব করি যে, আমার বিয়ে হতে দেরী হবে। যেহেতু আমাকে কেউ দেখে না। আমি থাকি ঘরের ভেতরে। তাই আমার মনে হয় যে, কখনও আমার বিয়ে হবে না। কিভাবে আমার জন্য ছেলে আসবে; আমি তো ঘরের ভেতরে। ঘর থেকে বের হই না। আমাকে কেউ দেখে না এবং আমি চাকুরীও করি না। আমি যদি ছেলেদের সাথে সম্পর্ক না রাখি তাহলে ভবিষ্যতে যে ছেলে আমাকে বিয়ে করবে সে কোথা থেকে আসবে? এ বিষয়ে আপনারা আমাকে কী উপদেশ দিবেন? এ ক্ষেত্রে কি কি সঠিক পদক্ষেপ অনুসরণ করা উচিত? সর্বদা আমার চিন্তা হচ্ছে: বিয়ের আগে ছেলেটিকে ভালভাবে জানা উচিত এবং তাকে জানার জন্য কিছুদিন তার সাথে কথাবার্তা বলা উচিত; যাতে করে পরবর্তীতে সে খারাপ বা এ ধরণের কিছু না পড়ে। এ দৃষ্টিভঙ্গি কি সঠিক? নাকি সরাসরি বিয়ে করতে হবে?ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত নারী যিনি রোযার ব্যাপারে সন্দিহান
আমি ২৪ বছর বয়সী মেয়ে। আমার বয়স যখন ১৭ বছর ছিল তখন আমি OCD (বাধ্যগত শুচিবায়ু বা ওয়াসওয়াসা) রোগে আক্রান্ত ছিলাম। কিছু সময় পর আমি এর চিকিৎসা নিয়েছি। কিন্তু এখনও আমার সমস্যাটি আছে এবং আমাকে অনেক কষ্ট দেয়। ইদানিং কখনও কখনও কিছু চিন্তার উদ্রেক হচ্ছে যে: 'আমি যখন সেকেন্ডারি স্কুলের সেকেন্ড ইয়ারে ছিলাম তখন আমি ইচ্ছা করে রোযা রাখতাম না এবং এখনও আমি ইচ্ছা করে রোযা রাখছি না'। অথচ আমার স্মরণ পড়ছে না যে, আমি রোযা রাখিনি। এ রোগের কারণে আমি অনেক কিছু ভুলে যাই; স্মরণ করতে পারি না। এটা কি ঠিক যে, হতে পারে আমি রোযা রাখিনি?ওয়াসওয়াসা বা শুচিবায়ু ও এর প্রতিকার
আমার স্ত্রী যখন আমার সাথে কথা বলে তখন আমি তার কথার উত্তর দিই না; শুচিবায়ু এর কারণে কিংবা আমার এ বিশ্বাসের কারণে যে, তার কারণে আমার এ শুচিবায়ু হয়েছে। তার কথার উত্তর না দেয়া কি তালাক হিসেবে বিবেচিত হবে? আমি যখন তার সাথে রেগে, প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে কথা বলি সেটা কি তালাক হিসেবে বিবেচিত হবে?জনৈক নারী পবিত্রতা সংক্রান্ত ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত
জনৈক নারী পবিত্রতা সংক্রান্ত ওয়াসওয়াসা এবং ওযু করার পর মলমুত্র রোধ করার অনুভূতি হওয়াতে আক্রান্ত। একবার তিনি অনুভব করেছেন যে, কেউ একজন তাকে কুরআনকে গালি দিতে ও আল্লাহ্কে গালি দিতে নির্দেশ দিচ্ছে। তখন তিনি কেঁদে ফেলেন। এই ওয়াসওয়াসার চিকিৎসা ও এর থেকে মুক্তির উপায় কিভাবে?