দুর্বল হাদিসসমূহ
আলী (রাঃ) এর দিকে সম্বন্ধিত মাসয়ালা: আপনি কি মুহাম্মাদের মাধ্যমে আপনার প্রভুকে চিনেছেন? এ মাসয়ালাটি কি সঠিক?
আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) জিজ্ঞেস করেছেন যে, “আপনি কি মুহাম্মাদের মাধ্যমে আপনার প্রভুকে চিনেছেন? নাকি আপনার প্রভুর মাধ্যমে মুহাম্মাদকে চিনেছেন...?” শীর্ষক হাদিসটি কি সহিহ?“কতক ক্বারীকে কুরআন লানত করে” এই হাদিসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সহিহ নয়
এমন কোন হাদিস আছে কি: “কতক ক্বারীকে কুরআন লানত করে”?রমজান মাসের প্রতি দিন বা রাতে পড়ার জন্য বিশেষ কোন দু’আ নেই
আমি শুনেছি আল্লাহ তাআলা রমজান মাসকে তিনভাগে ভাগ করেছেন। রমজানের প্রথম দশদিন- রহমত। দ্বিতীয় দশদিন- মাগফিরাত। তৃতীয় দশদিন- জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি। বলা হয় প্রত্যেক ভাগের জন্য আলাদা আলাদা দু’আ রয়েছে। প্রথমভাগে আমাদেরকে বলতে হবে, ‘আল্লাহুম্মারহামনি ইয়া আরহামার রাহিমীন’ (অর্থ- হে সর্বাধিক দয়াবান, আমাকে দয়া করুন)। দ্বিতীয়ভাগে বলতে হবে, ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি যুনুবি, ইয়া রাব্বাল আলামীন’ (অর্থ- হে জগতসমূহের প্রতিপালক, আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন।” তৃতীয়ভাগে বলতে হবে, আল্লাহুম্মা আ’তিকনি মিনান নার; ওয়া আদখিলনিল জান্নাহ’ (অর্থ- হে আল্লাহ আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত রাখুন এবং জান্নাতে প্রবেশ করান)। এ ধরনের বক্তব্য কি সঠিক? এর পক্ষে কি দলিল আছে? রমজান মাসে কোন দু’আগুলো বেশি বেশি পড়া উচিত? আমার জ্ঞানানুযায়ী শুধু ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফউন; তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি’ এ দু’আটি রমজানের শেষ দশদিনে লাইলাতুল ক্বদর সন্ধানকালে বেশি বেশি পড়া উচিত। কিন্তু রমজানের অন্য রাত্রিগুলোতে পড়ার জন্য বিশেষ কোন দু’আ আছে কিনা?এটা কি সঠিক যে, ইফতারের মূহূর্তে আল্লাহ্র মাঝে ও তাঁর বান্দাদের মাঝে পর্দা তুলে নেয়া হয়?
এটা কি সঠিক যে, ইফতারের মূহূর্তে আল্লাহ্র মাঝে ও তাঁর বান্দাদের মাঝে পর্দা তুলে নেয়া হয়?“আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজব ও শাবান ওয়া বাল্লিগ না রমজান” হাদিসটি সহিহ নয়; দুর্বল
আমি জানতে চাই- রজব মাসের প্রথম রাত্রিতে বলতে হয় এমন কোন নির্দিষ্ট দু’আ আছে কি? দু’আটি হচ্ছে- “আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজব ও শাবান ওয়া বাল্লিগ না রমজান।” আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদেরকে সহিহ হাদিসের উপর অটল রাখেন।এটা কি ঠিক যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নফল রোযাগুলো বাদ পড়ে গেলে তিনি সেগুলো শাবান মাসে কাযা করতেন
"রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি মাসের তিনদিন রোযা রাখতেন। কখনও কখনও তিনি সে রোযাগুলো রাখতে বিলম্ব করতেন যাতে করে সারা বছরের রোযা একত্রিত করে তিনি শাবান মাসে রোযাগুলো রাখতেন।" এ হাদিসটির শুদ্ধতা কি?শাবান মাসের প্রতি বৃহস্পতিবারে দুই রাকাত নামায পড়া সংক্রান্ত হাদিস মাওযু (বানোয়াট)
ইমেইলে আমার কাছে একটি মেইল এসেছে। সেটি নিম্নরূপ: মহান শাবান মাসের প্রতি বৃহস্পতিবার দুই রাকাত নামায পড়া। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি সেই দিন দুই রাকাত নামায পড়বে, প্রত্যেক রাকাতে ফাতিহাতুল কিতাব (সূরা ফাতিহা) ও 'কুল হু আল্লাহু আহাদ' (সূরা ইখলাস) একশতবার পড়বে, সালাম ফিরানোর পর একশবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দুরুদ পড়বে আল্লাহ্ তার দ্বীন ও দুনিয়ার সকল প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন"। আমি এ হাদিসটির সত্যতা জানতে চাই। এ দুই রাকাত নামায পড়ার পদ্ধতি জানতে চাই। উল্লেখ্য, সেখানে বলা আছে যে, 'কুল হু আল্লাহু আহাদ' একশবার পড়তে হবে। এটা কি নামাযের রাকাতদ্বয়ের ভেতরে পড়া হবে; নাকি নামাযের শেষে?শিঙ্গা লাগানোর সময় নির্ধারণ সংক্রান্ত কোন হাদিস সহিহ নয়
শনিবার কিংবা শুক্রবারে শিঙ্গা লাগানো কি মাকরুহ; যদি সেই দিন ১৯ তারিখ বা ১৭ তারিখ কিংবা ২১ তারিখ হয়? যেহেতু হাদিসে এসেছে, তোমরা বুধবারে, কিংবা শুক্রবারে, কিংবা শনিবারে, কিংবা রবিবারে শিঙ্গা লাগিও না। বৃটেনের মুসলমানদের নিকট এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। এ সংক্রান্ত হাদিসগুলো কি দুর্বল; না সহিহ?মধ্য শাবানে কি রোযা রাখা যাবে; এ সংক্রান্ত হাদিসটি দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও?
অর্ধ শাবানের রাত্রিতে তোমরা কিয়ামুল লাইল পালন কর এবং দিনে রোযা রাখ" হাদিস যয়ীফ (দুর্বল) জানার পরেও আমলের ফযিলতের বিবেচনা থেকে সে হাদিস গ্রহণ করা কি আমাদের জন্য জায়েয হবে? উল্লেখ্য, সে নফল রোযাটি আল্লাহ্র জন্য ইবাদত হিসেবে পালিত হয়; যেমনিভাবে কিয়ামুল লাইলও ইবাদত হিসেবে পালিত হয়।ঈদের রাতে কিয়ামুল লাইল পালনের ফযিলত সংক্রান্ত একটি দুর্বল হাদিস
ঈদের রাতে কিয়ামুল লাইল পালনের ব্যাপারে উদ্ধৃত হাদিসটি কি সহিহ?