আমি পড়েছি যে, যেসব থালা-বাসন, চামচ বা চাকু শূকরের গোশতের স্পর্শে এসেছে সেগুলো সাতবার পানি দিয়ে এবং একবার বালু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে— এটা কি সঠিক? কোন হাদিসের ভিত্তিতে এ হুকুমটি এসেছে? থালা-বাসন সাবান দিয়ে একবার ধুয়ে নিলে কি চলবে না?
শূকরের গোশতের নাপাকি
প্রশ্ন: 10528
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
শূকরের গোশত হারাম।শূকরের গোশত, চর্বিঅথবা অন্য যে কোনো অংশ খাওয়া নাজায়েয। দলিল হচ্ছে আল্লাহর বাণী (ভাবানুবাদ): “তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে— মরা প্রাণী, রক্ত ও শূকরের গোশত।”[সূরা আল-মায়িদা: ৩]
মুসলমানগণ শূকরের সবকিছু হারাম হওয়ার ব্যাপারে‘ইজমা’ (ঐক্যমত্য) করেছেন। শূকরের মধ্যে ক্ষতিকর উপাদান থাকায় এবং শূকর অপবিত্র হওয়ার কারণে আল্লাহ তাআলা শূকর খাওয়া হারাম করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: (ভাবানুবাদ): “বলুন, যা কিছু আমার কাছে ওহী করা হয়েছে, তাতে আহারকারীর আহার হিসেবে কোন কিছুই নিষিদ্ধ পাই না— মরা প্রাণী, প্রবহমান রক্ত ও শূকরের গোশত ছাড়া; কারণ তা (শূকরের গোশত) অপবিত্র”[সূরা আল আনআম:১৪৫]
শূকরের গোশত রোগের উৎস। বিজ্ঞান যত আগাচ্ছে বিজ্ঞানীরা শূকরের গোশত খাওয়ার ফলেসৃষ্ট নতুন নতুন রোগের সন্ধান পাচ্ছে। তাই যে কোন মুসলমানের উচিত যেখানে এই নিকৃষ্ট গোশত ভক্ষণকরা হয় সেখানে না যাওয়া; যাতে করে নিজের অজান্তে তা খেয়ে ফেলা থেকে বেঁচে থাকতে পারে।
থালা-বাসন ধোয়ার ব্যাপারে বলব যে, এই নিকৃষ্ট গোশতের নাপাকি যেভাবে চলে যায় সেভাবে ভাল করে ধুয়ে নিলে চলবে। এ ব্যাপারে বিশুদ্ধ মত হল— শূকরের গোশত অন্যান্য সাধারণ নাপাকির মত। এ ক্ষেত্রে সাতবার পানি দিয়ে; একবার মাটি দিয়ে ধৌত করার দরকার নেই।
দেখুন: শাইখ ইবনে উছাইমীন এর ‘আশশারহুল মুমতে’ ১/৩৫৬
আল্লাহই ভাল জানেন।
সূত্র:
শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ