প্রশ্ন: বিশাল সাহারা অঞ্চলে কখনও গ্রীষ্মকালে রমজান মাস আসে এবং সিয়াম পালন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের জন্য তা অসম্ভব হয়ে পড়ে এবং কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা বিরাজমান থাকে। তারা কিভাবে সিয়াম পালন করবে?
অতি উষ্ণ অঞ্চলের অধিবাসীদের উপর কষ্টকর হওয়ার পরও কি সিয়াম পালন করা ওয়াজিব?
প্রশ্ন: 129831
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
সমস্তপ্রশংসাআল্লাহরজন্য।
“রমজানমাসশুরুহলেপ্রত্যেকমুকাল্লাফ (শরয়ি ভারপ্রাপ্ত), মুকীম(স্বগৃহে অবস্থানকারী) সুস্থমুসলিমেরউপরসিয়াম পালনকরাফরজ।আল্লাহ তাআলাবলেছেন:
(فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمْ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضاً أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ) [2 البقرة : 185]
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এই মাস পেল, সে যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে। আর কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে, অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করবে।”[২ আল-বাক্বারাহ: ১৮৫]
তাই গরমের মৌসুমেও সিয়াম পালন ওয়াজিব। কারণ রমজান মাসে সিয়াম পালন ইসলামের অন্যতম একটি রোকন। আর যে ব্যক্তি রোজা রেখে প্রচণ্ড পিপাসায় প্রাণ চলে যাওয়ার আশংকা করবে সে রোজা ভঙ্গ করে এতটুকু পানাহার গ্রহণ করবে যা তার জীবন বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন। এরপর পুনরায় মুফাত্তিরাত (রোজা ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ) থেকে বিরত থাকবে এবং অন্যসময় সেই দিনের রোজার কাযা পালন করবে।
আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।
আল্লাহইতাওফিকদাতা। আমাদেরনবীমুহাম্মদ, তাঁরপরিবারবর্গওতারসাহাবীগণেরউপরআল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।” সমাপ্ত
আল-লাজনাহ আদ-দায়িমা (গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি)
শাইখ আব্দুল আযিয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায্, শাইখ আব্দুল্লাহ ইবনে গুদাইইয়্যান, শাইখ সালেহ আল-ফাওযান, শাইখ আব্দুল আযিয আলে-শাইখ, শাইখ বকর আবু যাইদ।
[ফাতাওয়াআল-লাজ্নাহ আদ-দায়িমা
সূত্র:
(গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়া সমগ্র) দ্বিতীয় গ্রুপ (পৃঃ ৯/১৪৫)]