প্রশ্ন: কোন নারীর জন্যে কি ভিনদেশী পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয হবে; এরপর স্ত্রী দুই বছরের জন্য নিজের দেশে ফিরে আসবেন যাতে কাগজপত্র ঠিক করে তার স্বামীকে নিয়ে আসতে পারেন এবং স্বামী সে দেশে থাকতে পারে।
তারা দু’জন শীঘ্রই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে এরপর স্ত্রী দুই বছরের জন্য দূরবর্তী একদেশে সফরে যাবেন
প্রশ্ন: 131865
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
আলহামদুলিল্লাহ।
একদেশের নারীরসাথে অন্যদেশেরপুরুষের বিয়েহওয়াতে শরিয়তেকোন বাধা নেই।এ বিষয়ে জানতে130596নংপ্রশ্নোত্তরটিদেখুন।
তবে কোনস্ত্রীরজন্যে তারস্বামীর দেশছেড়ে দুই বছরঅনুপস্থিতথাকারক্ষেত্রে: স্বামী-স্ত্রীকিসের উপরএকমত হয়েছেন ওসম্মত হয়েছেনসেটা দেখাইহচ্ছে- মূলবিধান। কারণস্বামীরঅধিকার হচ্ছে-সে যেখানেথাকেস্ত্রীকেসেখানেইরাখবে। যদিস্বামী এঅনুপস্থিতিকেমেনে নেয়তাহলে কোনআপত্তি নেই।
আমরাআপনাকেপরামর্শ দিবস্বামী যদিরাজিও হয় এদীর্ঘ সময়আপনি স্বামীথেকে দূরেথাকবেন না।কারণ এর অনেকক্ষতিকর দিকরয়েছে এবং একারণে নানাসমস্যা সৃষ্টিহয়; যেসমস্যাগুলোঅনেক সময়বিয়ের আগেদেখা দেয় না।
শাইখবিন বায (রহঃ)স্বামী-স্ত্রীপরস্পর দূরেথাকারক্ষতিকর দিকউল্লেখ করতেগিয়ে বলেন: এ দীর্ঘসময়েরদূরত্ব আপনারজন্য ও তারজন্যক্ষতিকর।আপনার উচিতফাঁকে ফাঁকেস্ত্রীর কাছেযাওয়া ও কিছুসময় তার কাছেথাকা। প্রতি ৩মাস বা ৪ মাসপর, বেশিরচেয়ে বেশি ৬মাস পরস্ত্রীর কাছেযাওয়া উচিত;এরপর আপনারচাকুরীস্থলেফিরে আসবেন।যত কম সময়দূরে থাকা যায়তত ভাল। কারণএটি মারাত্মকক্ষতিকর ওঅকল্যাণকর। এযুগে ফিতনাফাসাদ নানারকমের, নানাধরনের। তাইস্বামীর উচিতএ বিষয়গুলোমাথায় রাখা।স্বামীর উচিতনিজের চরিত্র ওতার স্ত্রীরচরিত্রনিষ্কলুষরাখার ব্যাপারেসচেষ্ট থাকাএবং ফিতনারযাবতীয়উপসর্গ থেকেদূরে থাকা।[বিনবাযেরফতোয়াসমগ্রথেকে সমাপ্ত(২১/২৩৪)]
আল্লাহইভাল জানেন।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব