ডাউনলোড করুন
0 / 0

ক্রেতার সম্পদ হারাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিক্রি করা

প্রশ্ন: 218764

ইন্টারনেটে বেচাবিক্রির ব্যবসা সংক্রান্ত: Amazon Kindle একটি আমেরিকান ওয়েবসাইট। অর্থাৎ এতে কাফেরেরা আছে। আমি এ ওয়েবসাইটে একটি বই বিক্রি করতে চাই। যারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রয় করে তারা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে ক্রয় করে। যখন কোন ক্রেতা সুদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কিংবা অন্য কোন হারাম পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্রয় করবে আমার উপরে কি সেটার গুনাহ আসবে? এ ক্ষেত্রে কি আমার গুনাহ হবে? কারণ আমি জানি না, ক্রেতা কি হালাল উপায়ে কিনবে; নাকি হারাম উপায়ে? উল্লেখ্য, আমি কোন হারাম বই বিক্রি করব না (আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাই)। ক্রেতার সম্পদ যদি হারাম হয়, সে যদি নেটের মাধ্যমে আমার বইটি কেনে এবং আমি সে সম্পদের মালিক হই—এতে করে কি আমার গুনাহ হবে?

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

এক:

ইতিপূর্বে কয়েকটি ফতোয়ায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের বিধান, কোন কোন ধরণের ক্রেডিট কার্ড জায়েয, কোন ধরণের ক্রেডিট কার্ড জায়েয নয়— সেসব বর্ণনা করা হয়েছে।

এবং ইতিপূর্বে এ বিষয়ও আলোচিত হয়েছে যে, ক্রেতা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মূল্য পরিশোধ করলে বিক্রেতার জন্য সেটা গ্রহণ করা জায়েয; যেমনটি আজকাল অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেই চালু আছে। কারণ বিক্রেতা কোন হারাম লেনদেন করেননি; শুধু তার পাওনাটা গ্রহণ করেছে।

আপনার প্রশ্নের অংশ বিশেষ: "ক্রেতার সম্পদ যদি হারাম হয়, সে যদি নেটের মাধ্যমে আমার বইটি কেনে এবং আমি সে সম্পদের মালিক হই—এতে করে কি আমার গুনাহ হবে?"

জবাব: আপনার বিক্রি সঠিক। আপনার কোন গুনাহ হবে না। কেননা বিক্রেতার উপর আবশ্যক নয় যে, ক্রেতাকে তার সম্পদের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা কিংবা এ সম্পর্কে অনুসন্ধান করা। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে যে সম্পদ আছে সেটার মূল বিধান হচ্ছে—সেটা তার সম্পদ; যতক্ষণ পর্যন্ত না এর বিপরীত কোন প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়।

কোন মানুষ যদি হারাম পন্থায় কিছু সম্পদ অর্জন করে এর কারণে তার সাথে আর্থিক লেনদেন নিষিদ্ধ নয়। কারণ ইহুদীরা সুদি কারবার করা সত্ত্বেও মুসলমানেরা তাদের সাথে লেনদেন করত।

ইবনে রজব (রহঃ) বলেন: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ মুশরিকদের ও ইহুদী-খ্রিস্টানদের সাথে লেনদেন করতেন; এটা জানা সত্ত্বেও যে, তারা সকল হারাম থেকে বেঁচে থাকে না।"[জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম (পৃষ্ঠা-১৭৯)]

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন: "মুসলমান, ইহুদী ও খ্রিস্টানদের হাতে যে সব সম্পদ রয়েছে, যার ব্যাপারে প্রমাণের ভিত্তিতে কিংবা আলামতের ভিত্তিতে জানা যায় না যে, এগুলো আত্মসাৎকৃত সম্পদ কিংবা নাজায়েয পদ্ধতিতে হস্তগত সম্পদ—কোন সন্দেহ নেই যে, তাদের সাথে সে সব সম্পদে লেনদেন করা জায়েয। ইমামদের মাঝে এ নিয়ে আমি কোন মতভেদ জানি না।"[মাজমুউল ফাতাওয়া (২৯/৩২৭)]

 আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android
at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android