ডাউনলোড করুন
0 / 0

ফজরের ওয়াক্ত হয় নাই মনে করে আযানের পর পানি পান করেছে

প্রশ্ন: 27227

আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। তাই ফজরের আযান শুনিনি। ঘড়ির এলার্ম সঠিক সময়ের চেয়ে বিলম্বে সেট করা ছিল। আমি এক গ্লাস পানি পান করার পর নামাযের ইকামত শুনতে পেলাম। এমতাবস্থায় আমার উপর কী বর্তাবে? সে ব্যাপারে আমাকে অবহিত করুন। আপনারা সওয়াব পাবেন।

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

আলহামদুলিল্লাহ।

যে ব্যক্তি ফজরের ওয়াক্ত হয়নি মনে করে, পানাহার করে ফেলেছে; পরবর্তীতে প্রতীয়মান হয় যে তখন ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গিয়েছে; আলেমদের বিশুদ্ধ মতানুযায়ী তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না। কেননা সে ব্যক্তি সময় সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল। তাই সে ওজরগ্রস্ত।

শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন: “যদি রোযাদার অজ্ঞতাবশতঃ রোযা-ভঙ্গকারী কোন একটি বিষয়ে লিপ্ত হয় সেক্ষেত্রে তার রোযা শুদ্ধ হবে। তার এ অজ্ঞতা সময় সম্পর্কে হোক কিংবা হুকুম সম্পর্কে হোক। সময় সম্পর্কে অজ্ঞতার উদাহরণ হল, কেউ শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠল, তার ধারণা ছিল যে, তখনও ফজরের ওয়াক্ত হয়নি, তাই সে পানাহার করে নিল। কিন্তু বাস্তবে প্রতীয়মান হল যে, তখন ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গিয়েছিল। এমন ব্যক্তির রোযা শুদ্ধ হবে। যেহেতু তিনি সময় সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলেন।

আর হুকুম সম্পর্কে অজ্ঞতার উদাহরণ হচ্ছে, কোন রোযাদার শিঙ্গা লাগাল। কিন্তু তিনি জানতেন না যে, শিঙ্গা লাগালে রোযা ভেঙ্গে যায়। এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও বলা হবে: আপনার রোযা শুদ্ধ। এই অভিমতের দলিল হচ্ছে, আল্লাহ্‌র বাণী: “হে আমাদের রব্ব! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের উপর তেমন বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।”[সূরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬] এটি কুরআনের দলিল।

আর সুন্নাহ্‌র দলিল হচ্ছে: ইমাম বুখারী তাঁর সহিহ গ্রন্থে আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায় একবার মেঘাচ্ছন্ন দিনে আমরা ইফতার করে ফেললাম, এরপর সূর্য উঠল।” অর্থাৎ তারা দিন থাকতে ইফতার করে ফেলেছেন। কিন্তু তারা জানতেন না। বরং তাদের ধারণা হয়েছিল যে, সূর্য ডুবে গেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে সে রোযাটি কাযা পালন করার নির্দেশ দেননি। যদি কাযা পালন করা ওয়াজিব হত তাহলে তিনি অবশ্যই তাদেরকে সে নির্দেশ দিতেন। আর যদি তিনি তাদেরকে নির্দেশ দিতেন তাহলে সে তথ্য আমাদের কাছে অবশ্যই পৌঁছত।”[মাজমুউল ফাতাওয়া ১৯]

আরও জানতে দেখুন 38543 নং প্রশ্নোত্তর

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android
at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android