0 / 0

দুনিয়াবী বিষয়ের অন্বেষণ কি দুশ্চিন্তা টেনে আনে?

প্রশ্ন: 297658

আমি এক ভিডিওতে এ কথাটা শুনেছি: ‘কোনো বান্দা দুনিয়ার কোনো বিষয় অন্বেষণ করলে তাকে এর অনুরূপ দুশ্চিন্তা প্রদান করা হয়’। এ কথা কি ঠিক?

উত্তরের সংক্ষিপ্তসার

প্রশ্নে উল্লেখিত কথাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়নি। দুনিয়ার কল্যাণ চেয়ে দোয়া করার ব্যাপারে তাঁর পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি। দুনিয়া চেয়ে দোয়া করা দুশ্চিন্তা টেনে আনে এমন কথা সঠিক নয়। বরং আখিরাতকে বাদ দিয়ে দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার ব্যাপারে অথবা হারাম পথে দুনিয়া কামাই করার ব্যাপারে সতর্কতা বর্ণিত হয়েছে।

উত্তর

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

এক:

শর্তহীনভাবে এই বক্তব্য প্রদান নিঃসন্দেহে প্রত্যাখ্যাত। আবহমানকাল থেকে মানুষ তাদের প্রভুর কাছে প্রার্থনা করছে, তাঁর কাছে প্রবল আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দ্বীনী ও দুনিয়াবী যা কিছু প্রয়োজন চেয়ে আসছে।

শরীয়তে দুনিয়ার কল্যাণ প্রার্থনা করা অথবা দুনিয়া অন্বেষণে প্রচেষ্টা চালানোর বিষয়ে কোনো প্রকার নিষেধ নেই।

বরং বান্দার জন্য নিষিদ্ধ অবস্থা হলো: তার আখিরাতের জন্য কোনো চিন্তা, ব্যস্ততা, প্রচেষ্টা বা আগ্রহ না থাকা। তার একমাত্র চিন্তা ও ধ্যান-জ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু দুনিয়া ও দুনিয়াতে থাকা বিষয়াবলি হয়ে পড়া।

আল্লাহ তা’আলা ব‌লেন:

فَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا وَمَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ * وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ * أُولَئِكَ لَهُمْ نَصِيبٌ مِمَّا كَسَبُوا وَاللَّهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ

“কিছু মানুষ আছে যারা বলে: হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে (যা দেবার) এই দুনিয়াতেই দাও। এরা পরকালে কিছুই পাবে না। আবার এমন মানুষও আছে যারা বলে: হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও, আখিরাতে কল্যাণ দাও; আর আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো। এমন লোকদের জন্য তাদের উপার্জনের অংশ বরাদ্দ থাকবে। আল্লাহ খুব দ্রুত হিসাব করেন।”[সূরা বাকারা: ২০০-২০২]

আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, তাকে বলা হয়েছিল: ‘আপনার ভাইয়েরা বসরা থেকে এসেছে, যেন আপনি তাদের জন্য দোয়া করেন।‘ তিনি তখন যাউইয়্যাতে ছিলেন। তিনি বললেন: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন, আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন। আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন, আখিরাতে কল্যাণ দিন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।’ তারা আরও দোয়া চাইল। তখন তিনি একই দোয়া করলেন। এরপর বললেন: তোমাদেরকে যদি এগুলো দেওয়া হয়, তাহলে যেন দুনিয়া-আখিরাতের শ্রেষ্ঠ কিছু তোমাদেরকে প্রদান করা হলো।[হাদীসটি বুখারী তার আল-আদাবুল মুফরাদ (৬৩৩)-এ বর্ণনা করেন আর শাই্খ আলবানী এটিকে সহীহ বলে গণ্য করেছেন]

বরং উল্লেখিত বক্তব্যের বিপরীতে এমন দলিল আছে যা দুনিয়াবী কিছু চেয়ে দোয়া করাকে অকাট্যভাবে বৈধ প্রমাণ করে।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এই দোয়া শিখিয়ে দেন:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ الْخَيْرِ كُلِّهِ، عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ، مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ الشَّرِّ كُلِّهِ، عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ، مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَاذَ بِهِ عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ النَّارِ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَأَسْأَلُكَ أَنْ تَجْعَلَ كُلَّ قَضَاءٍ قَضَيْتَهُ لِي خَيْرًا

“হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে যাবতীয় কল্যাণ ভিক্ষা করছি, যা তাড়াতাড়ি আসে, যা দেরিতে আসে, যা জানা আছে, যা জানা নেই। আর আমি যাবতীয় মন্দ হতে আপনার আশ্রয় ভিক্ষা করছি- যা তাড়াতাড়ি আগমন করে, এবং যা দেরিতে আগমন করে। আর যা আমি জানি এবং যা অবগত নই। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকটে ঐ মঙ্গল চাচ্ছি যা চেয়েছেন-আপনার (নেক) বান্দা ও আপনার নবী, আর তোমার কাছে ঐ মন্দ বস্তু থেকে পানাহ চাচ্ছি যা হতে আপনার বান্দা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানাহ চেয়েছেন। হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাচ্ছি এবং ঐসব কথা ও কাজ চাচ্ছি যেগুলো আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দেবে। আর আমি জাহান্নাম হতে আপনার নিকট পানাহ চাচ্ছি এবং ঐসব কথা ও কাজ হতেও পানাহ চাচ্ছি যেগুলো আমাকে জাহান্নামের নিকটবর্তী করে দেবে। আর আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি যে, আপনি আমার জন্য যেসব ফয়সালা করে রেখেছেন তা আমার জন্য কল্যাণকর করে দিন।”[সুনানে ইবনে মাজাহ (3846), আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘরে প্রবেশ করলাম। সেখানে ছিলাম শুধু আমি, আমার মা ও আমার খালা উম্মু হারাম। তিনি প্রবেশ করে বললেন:‍ “আমি কি তোমাদেরকে নিয়ে নামায পড়ব না?” সেটি কোনো নামাযের ওয়াক্ত ছিল না। একজন জিজ্ঞাসা করল: আনাসকে তিনি তার কোনদিকে রাখলেন? বর্ণনাকারী বলল: তাকে তাঁর ডানে রাখলেন। তারপর আমাদের নিয়ে নামায পড়লেন। তিনি আমাদের জন্য তথা গৃহবাসীর জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের সব কল্যাণ চেয়ে দোয়া করলেন। আমার মা বলল: হে আল্লাহর রাসূল! আপনার এই ছোট খাদেমের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। তিনি আমার জন্য সব ধরনের কল্যাণের দোয়া করলেন। তাঁর দোয়ার শেষে ছিল: ‍”হে ‍আল্লাহ! আপনি তার সম্পদ ও সন্তান বৃদ্ধি করে দিন এবং তাকে বরকত দান করুন।” [হাদীসটি বুখারী তার ‘আল-আদাবুল মুফরাদ’ (৮৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন আর শাইখ আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন।

দুই:

এক্ষেত্রে নিন্দনীয় ব্যাপার দুটি:

প্রথম ব্যাপার: দুনিয়াই বান্দার চিন্তা-ভাবনা ও প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পড়া; যেমনটা ইতঃপূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে। আখিরাত নিয়ে তার কোনো ভাবনা না থাকা এবং আখিরাতের জন্য তার কোনো প্রচেষ্টা না থাকা।

দোয়ার পুরোটুকু কেবল দুনিয়ার জন্যই হওয়া; অথচ দোয়া হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সবচেয়ে মহৎ কাজ, সবচেয়ে বড় ইবাদত এবং প্রত্যাশিত কিছু অর্জনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “এই উম্মাহকে গৌরব, বিজয় ও ক্ষমতা অর্জনের সুসংবাদ প্রদান করো। তাদের মাঝে যে ব্যক্তি আখিরাতের কাজ দুনিয়ার জন্য করবে তার জন্য আখিরাতে কোনো অংশ থাকবে না।”[হাদীসটি আহমদ (২১২২৩) ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেন এবং শাইখ আলবানী এটিকে বিশুদ্ধ বলে গণ্য করেন]

যাইদ ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “পার্থিব চিন্তা যাকে ঘিরে ফেলবে, আল্লাহ তার কাজে-কর্মে অস্থিরতা প্রদান করবেন, দরিদ্রতা তার নিত্যসঙ্গী হবে এবং সে পার্থিব স্বার্থ ততটুকু লাভ করতে পারবে যতটুকু তার তকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। আর যার উদ্দেশ্য হবে আখিরাত, আল্লাহ তার সবকিছু সুষ্ঠু করে দিবেন, তার অন্তরকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করে দিবেন এবং অবনত হয়ে দুনিয়া তার সামনে উপস্থিত হবে।”ন, তার অন্তরকে ্নিত[হাদীসটি ইবনে মাজাহ (৪১০৫) বর্ণনা করেন এবং শাইখ আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন]

তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দোয়া ছিল: আল্লাহ যেন দুনিয়াকেই তার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পরিণত না করেন।

ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের জন্য নিম্নোক্ত দোয়াগুলো করার আগে কদাচিৎ কোনো মজলিস থেকে উঠে যেতেন:

اللَّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا يَحُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيكَ، وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ، وَمِنَ اليَقِينِ مَا تُهَوِّنُ بِهِ عَلَيْنَا مُصِيبَاتِ الدُّنْيَا، وَمَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا، وَاجْعَلْهُ الوَارِثَ مِنَّا، وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا، وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا، وَلاَ تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا، وَلاَ تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلاَ مَبْلَغَ عِلْمِنَا، وَلاَ تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لاَ يَرْحَمُنَا

“হে আল্লাহ! আমাদের মাঝে আপনি এ পরিমাণ আল্লাহভীতি দান করুন যা আমাদের মাঝে ও আপনার প্রতি অবাধ্যাচারী হওয়ার মাঝে বাধা হতে পারে এবং আমাদের মাঝে আপনার প্রতি এ পরিমাণ আনুগত্য প্রদান করুন যার দ্বারা আপনি আমাদেরকে আপনার জান্নাতে পৌছে দিবেন, এতটা দৃঢ় একীন প্রদান করুন যার মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যে কোন অনিষ্ট আমাদের জন্য সহজসাধ্য করে দিবেন, আপনি যতদিন আমাদেরকে জীবিত রাখবেন ততদিন আমাদের কান, আমাদের চোখ ও আমাদের শক্তিকে উপভোগ করতে দিন, আর এগুলোকে আমাদের উত্তরাধিকার বানিয়ে দাও। যে আমাদের উপরে যুলুম করেছে তার থেকে আমাদের প্রতিশোধ গ্রহণ নির্ধারিত করে দিন, যে আমাদের প্রতি সীমালঙ্ঘন করেছে তার বিরুদ্ধে আমাদেরকে সহযোগিতা করুন, ধর্ম পালনে আমাদেরকে বিপদাক্রান্ত করবেন না, দুনিয়া অর্জনকে আমাদের ও আমাদের জ্ঞানের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পরিণত করবেন না এবং যে আমাদের প্রতি দয়া করবে না তাকে আমাদের উপর প্রভাবশালী (শাসক) করবেন না।”[হাদীসটি তিরমিযী (৩৫০২) বর্ণনা করেন এবং শাইখ আলবানী সহীহ বলে গণ্য করেন]

দ্বিতীয় নিন্দনীয় ব্যাপার হলো: দুনিয়ার ভালোবাসা বান্দাকে এমনভাবে মোহগ্রস্ত করা যে সে কি সে হালালভাবে দুনিয়া অর্জন করছে, নাকি হারামভাবে তার পরোয়াই করে না।

আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‍পবিত্র রূহ তথা জিবরীল আমার অন্তঃকরণে ফুঁকে দিয়েছে যে কোনো আত্মা তার আয়ু পূর্ণ করার আগে ও পরিপূর্ণ রিযিক ভোগ করার আগে মারা যাবে না। সুতরাং তোমরা রিযিক অন্বেষণ সুন্দর করো। রিযিক আসার বিলম্ব যেন তোমাদেরকে পাপের মাধ্যমে রিযিক অন্বেষণের দিকে ধাবিত না করে। কারণ আল্লাহর কাছে যা রয়েছে তা আল্লাহর আনুগত্যের পথ ছাড়া অর্জন করা যায় না।[আবু নু’আইম এটি বর্ণনা করেছেন তার হিলয়া গ্রন্থে (১০/২৬)। এছাড়া অন্যরা এটি বর্ণনা করেছেন। শাইখ আলবানী এটিকে সহিহ বলে গণ্য করেছেন]

যারা দুনিয়াবী কোন কিছুতে মশগুল হওয়া থেকে কিংবা দুনিয়াবী দোয়া করা থেকে সাবধান করেছেন তাদের বক্তব্যগুলোকে এ দুটো অর্থে ব্যাখ্যা করা হবে: দুনিয়ার চিন্তায় আখিরাতের চিন্তা থেকে বিমুখ হয়ে থাকা এবং হালাল-হারামের পরোয়া না করে বান্দা যেখানে সুযোগ পায় সেখান থেকে দুনিয়া অন্বেষণ করা।

আবু মুয়াবিয়া আল-আসওয়াদ বলেন: ‘যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হবে দুনিয়া; কাল কিয়ামতের দিন তার দুশ্চিন্তা দীর্ঘ হবে।’

মাসলামা ইবনে আব্দুল মালিক বলেন: ‘আখিরাতে সবচেয়ে কম দুশ্চিন্তা তাদের যারা দুনিয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে কম দুশ্চিন্তা করে।’[বর্ণনা দুটি ইবনু আবিদ্দুনিয়া তার ‘যাম্মুদ-দুনিয়া’ বইয়ে (২৮৩ ও ২৮৪) বর্ণনা করেন]

সারকথা:

প্রশ্নে উল্লিখিত কথাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়নি। দুনিয়ার কল্যাণ চেয়ে দোয়া করার ব্যাপারে তাঁর পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি। দুনিয়া চেয়ে দোয়া করা দুশ্চিন্তা টেনে আনে এমন কথা সঠিক নয়।

বরং আখিরাতকে বাদ দিয়ে দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার ব্যাপারে অথবা হারাম পথে দুনিয়া কামাই করার ব্যাপারে সতর্কতা বর্ণিত হয়েছে।

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android