0 / 0
2,32003/06/2021

শাওয়াল মাসে ছয় রোযা রাখা কি মাকরূহ; যেমনটি কোন কোন আলেম বলে থাকেন?

প্রশ্ন: 34780

রযমানের পর শাওয়াল মাসে ছয় রোযা রাখাকে আপনি কি দৃষ্টিতে দেখেন? ইমাম মালেকের মুয়াত্তা গ্রন্থে এসেছে যে, ইমাম মালেক বিন আনাস রমযানের ঈদের পর ছয় রোযার ব্যাপারে বলেছেন যে, তিনি ইলম ও ফিকহধারী কোন ব্যক্তিকে পাননি যিনি এই রোযাগুলো রাখতেন। এবং তার কাছে কোন সালাফ থেকে এই মর্মে কোন বর্ণনা পৌঁছেনি। আলেমরা এটাকে মাকরূহ মনে করতেন এবং বিদআত হওয়ার আশংকা করতেন এবং অন্যকিছুকে রমযানের অধিভুক্ত করার আশংকা করতেন। এ কথা মুয়াত্তার প্রথম খণ্ড ২২৮নং এ রয়েছে।

উত্তর

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

আবু আইয়ুব (রাঃ) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোযা রাখল, এর অনুবর্তীতে শাওয়াল মাসেও ছয়দিন রোযা রাখল সে যেন গোটা বছর রোযা রাখল।[মুসনাদে আহমাদ (৫/৪১৭), সহিহ মুসলিম (২/৮২২), সুনানে আবু দাউদ (২৪৩৩) ও সুনানে তিরমিযি (১১৬৪)]

এটি সহিহ হাদিস; যা প্রমাণ করে যে, শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখা সুন্নত। ইমাম শাফেয়ি, ইমাম আহমাদ ও একদল আলেম ও ইমাম এর উপর আমল করেছেন। এই হাদিসের বিপরীতে কোন কোন আলেম যে কারণগুলো উল্লেখ করে এই রোযাগুলো রাখাকে মাকরূহ বলেন সেসব সঠিক নয়। যেমন— সাধারণ মানুষ মনে করে বসবে যে, এগুলো রমযানের রোযা, কিংবা কেউ এ রোযাগুলোকে ফরয রোযা ধারণা করার আশংকা, কিংবা তাঁর কাছে এমন কোন তথ্য পৌঁছেনি যে, পূর্ববর্তী কোন আলেম এ রোযাগুলো রেখেছেন; ইত্যাদি অনুমান সহিহ সুন্নাহর মোকাবিলা করতে পারে না। আর যিনি জেনেছেন তিনি যিনি জানেন না তার উপর হুজ্জত (প্রমাণ)।

আল্লাহ্‌ তাওফিক দিন।

সূত্র

আল-লাজনাদ দায়িমা লিল-বুহুছিল ইলমিয়্যা ওয়াল ইফতা (১০/৩৮৯)

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android