কখনও কখনও শয়তান আমাকে যেটাকে “হস্তমৈথুন” বলা হয় সেটা করার প্রতি প্ররোচিত করে। যার ফলে আমি এক দিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামায কিংবা দুইদিনের নামায কিংবা অবস্থা ভেদে এর চেয়ে বেশি দিনের নামায বর্জন করি। এক্ষেত্রে আমার উপর কি করা আবশ্যকীয়? যে নামাযগুলো আমার উপর ফরয ছিল সেগুলো আদায় করা; নাকি গুনাহ মাফের জন্য নফল আদায় করা?
যে ব্যক্তি এক, দুই দিন বা এর চেয়ে বেশি দিনের নামায ছেড়ে দেয়
প্রশ্ন: 90143
আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা
আপনার উপর আবশ্যক হল অতিদ্রুত এ কু-অভ্যাস ত্যাগ করা; যা মর্যাদা ও ব্যক্তিত্ব ক্ষুন্ন করে। ইতিপূর্বে 329 নং প্রশ্নোত্তরে এ কাজটি হারাম হওয়ার দলিলপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে।
অনুরূপভাবে নামায ত্যাগ করা থেকে তওবা করা আপনার উপর আবশ্যক। কেননা নামায বর্জন করা জঘন্য কবিরা গুনাহ। বরং অনেক আলেম নামায বর্জন করাকে কুফরি মনে করেন।
তওবার মধ্যে থাকতে হয়: গুনাহ ছেড়ে দেয়া, কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং ঐ হারাম কাজটি পুনরায় না করার দৃঢ় সংকল্প করা।
আর বেশি বেশি নফল নামায আদায় করুন; যাতে করে যে নামাযগুলো ছুটে গেছে সেগুলোর ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “কিয়ামতের দিন মানুষের যে আমলের হিসাব সর্বাগ্রে নেয়া হবে সেটা হল নামায। আমাদের রব্ব তাঁর ফেরেশতাদেরকে বলবেন অথচ তিনি সর্বজ্ঞ: আমার বান্দার নামায দেখ; সেকি নামায পরিপূর্ণ করেছে; নাকি ঘাটতি করেছে। যদি নামায পরিপূর্ণ থাকে তার আমলনামায় পরিপূর্ণ লেখা হবে। আর যদি কিছু ঘাটতি থাকে তখন বলবেন: দেখ, আমার বান্দার কি নফল আছে। যদি তার নফল থাকে তখন বলবেন: আমার বান্দার নফল থেকে তার ফরযের ঘাটতি পূরণ কর। এরপর এভাবে অন্যান্য আমলের হিসাব নেয়া হবে।”[সুনানে আবু দাউদ (৮৬৪)]
আমরা আল্লাহ্র কাছে আমাদের জন্য, আপনার জন্য এবং সকল মুসলমানের জন্য ক্ষমা, নিরাপত্তা ও দ্বীনের উপর অবিচল থাকার প্রার্থনা করছি।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
সূত্র:
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তরসমূহ